তমা তার বয়ফ্রেন্ডের সাথে ঝগড়া করেছে। বাসায় বসে যখন ফোনে কথা হচ্ছিল তখন। ঝগড়ার কারণ- তার অসুখ। প্রতিদিন তার কোন না কোন অসুখ লেগে আছে। যেমন: মাথা ব্যথা, গ্যাস্ট্রিক, চোখ দিয়ে পানি পড়া, দুর্বল লাগা , অশান্তি ভাব করা ইত্যাদি।
সে প্রতিদিন ভাবে আজকে তুহিনকে আর বলবেনা যে ও অসুস্থ। কারণ তুহিন তাকে "দৈনিক রোগী" বলে চেতায়। কথাটার যৌক্তিকতাও আছে। কোনো না কোনো অসুখ তার লেগেই থাকে। তারপরও দৈনিক রোগী শুনতে তার খারাপ লাগে।
মনে হয় যেন সে বহুদিন থেকে হাসপাতালের বেডে যমের সাথে টেক্কা দিয়ে ঠিকে আছে। আজকের ঘটনা পুরাই অদ্ভূত । এর জন্য ওর নিজেরই নিজের উপর রাগ হচ্ছে। সকাল বেলা উঠে ও ক্যাম্পাসে গেছে। সবকিছু ঠিকঠাক।
কোনরকম ব্যথা ট্যাথা নাই।
তুহিনের সাথে ঘাসের উপর বসে বসে গল্প করেছে । তার খুব ভাল লাগছে কারণ তুহিন সাধারণত এতক্ষণ বসে থাকেনা। বারবার উঠার জন্য বলছিল।
তমা কথার ছলে বলছে কি মহাশয়, আজকে তো আমি ফিট!! তুহিন বলল যে দিন তো শেষ হয়নি- পিকচার আবি বাকি হ্যায় ইয়ার ।
একথা বলার মিনিট খানেকের মধ্যে তার বাঁ চোখ দিয়ে পানি পরতে শুরু করল। কি আজব!!
কারণ ছাড়াই চোখে পানি আসবে কেন ? চোখে পানি দেখে তুহিন হাসছে । তমা বলে দেখতো কি যেন পড়ল। এজন্যই বলি যেখানে সেখানে না বসতে। তমা মনে মনে ভাবছে যে আগে উঠে গেলে তো আর এই বিদ্রুপের হাসি শুনতে হত না।
অবশ্য তুহিনের মুখে যেকোন রকম হাসি দেখতে তার অনেক ভাল লাগে।
সে চিন্তা করছে তুহিনের এই হাসি জনি লিভারের জোকসের চেয়েও সুন্দর, সেকি তা জানে। অবশ্য এ কথা ও তুহিনকে বলবেনা। কারণ তুহিন তখন আর এরকম হাসবেনা। বাসায় ফিরে তমার পায়ে ব্যথা শুরু হল।
কিছু পরে তুহিনকে ফোন দিয়ে বলল
- কি কোন খবর নিতে হয় না নাকি?
- হ্যাঁ নিতে হয়তো। ভাল আছ নাকি?
- আমার পায়ে ব্যথা করছে।
-হাহাহা হাহাহা "দৈনিক রোগী"। এই ডাক শুনে ওর কাঁদতে ইচ্ছে হল কিন্তু তুহিনের হাসিমাখা মুখ চিন্তা করে না কেঁদেই ফোন কেটে দিল। আর এখন ভীষণ মন খারাপ লাগছে।
........
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।