হাই। আমি ফিরোজ । বাংলাদেশে থাকি । neernitt আমার একটা নিক নেম । ভালবাসি র্যাপগান শুনতে আর কম্পিউটার চাপতে আর ঘুরে বেরাতে আর নেট ব্রাউজ করতে আর…………আপাতত মনে পড়ছে না ।
পেশায় একজন ছাত্র । বয়স বেশি না ১৭.৬ বছর । প্রচুর পরিমানে মুভি দেখি । অবসর সময় বই পড়ি আমি ভেদরগঞ্জ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের একজন প্রাক্তন ছাত্র । এবং আমার বাবা ঐ স্কুলের প্রধান শিক্ষক ! তো যাই হোক আসুন আমরা আগে খবর টা দেখি এবং সাংবাদিক কি লিখে সেটা বিচার করি ।
শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্র পেটানো ও ছাত্রীর সঙ্গে অশ্লীল আচরণের অভিযোগ
ভেদরগঞ্জ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়
নিজস্ব সংবাদদাতা, শরীয়তপুর, ২২ সেপ্টেম্বর ॥ বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের শারীরিক নির্যাতনের বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা ও শিক্ষকদের প্রতি এ বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রীর কঠোর হুঁশিয়ারি থাকা সত্ত্বেও জেলার ভেদরগঞ্জ উপজেলা সদরে ভেদরগঞ্জ হেডকোয়ার্টার পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণীর ছাত্র খালিদ নুর তনুকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছে বিদ্যালয়ের ২ শিক্ষক। তাদের কোচিংয়ে ভর্তি না হওয়া ও তাদের নিকট প্রাইভেট পড়তে না যাওয়ার জের ধরে শিক্ষকদ্বয় এ ঘটনা ঘটায়। আহত ছাত্র খালিদ নুর তনুকে চিকিৎসার জন্য ভেদরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করা হয়েছে। এ ব্যাপারে নির্যাতিত ছাত্রের পিতা নুর মোহাম্মদ বুধবার রাতে ভেদরগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযুক্ত শিক্ষকদ্বয় হলেন বিদ্যালয়ের কম্পিউটার শিক্ষক মোঃ ফারুক হোসেন ও খ-কালীন শিক্ষক মাসুম।
ঘটনার পর থেকেই মাসুম পলাতক। একই বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণীর এক ছাত্রীর সঙ্গে শ্রেণীকক্ষে পাঠদানের সময় অশস্নীল আচরণ করেছেন আরেক শিক্ষক ফারুক হোসেন। এ ব্যাপারে ছাত্রীর মা শাহানাজ বেগম বুধবার প্রধান শিক্ষকের নিকট বিচার দাবি করতে গিয়ে লাঞ্ছিত হয়েছেন এবং ছাত্রীকে বিদ্যালয় থেকে বের দিয়েছেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রব মিয়া। বৃহস্পতিবার ঐ ছাত্রীর মা শাহানাজ বেগম তাঁর মেয়ের নির্যাতনের ঘটনা উলেস্নখ করে ভেদরগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, মেয়র ও থানাসহ বিভিন্ন শিক্ষা অফিসে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের অভিভাবক এ ঘটনার বিচার দাবি করেছেন।
জানা গেছে, ভেদরগঞ্জ হেডকোয়ার্টার পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রব মিয়া বিদ্যালয়ের ২/৩টি কক্ষ দখল করে আবাসিক কোচিং সেন্টার খুলেছেন। প্রধান শিক্ষকের এই কোচিং সেন্টারে বিদ্যালয়ের সহকারী কম্পিউটার শিক্ষক মোঃ ফারুক হোসেন ও খ-কালীন শিক্ষক মাসুমসহ অন্য শিক্ষকরা পাঠদান করেন। বুধবার সকালে বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণীর ক্লাস নিতে যান খ-কালীন শিক্ষক মাসুম। তিনি অপর শিক্ষক ফারুক হোসেনের প্ররোচনায় পড়া না পাড়ার অজুহাতে ও প্রধান শিক্ষকের কোচিং সেন্টারে ভর্তি না হওয়ার কারণে খালিদ নুর তনুকে বেত ও ডাস্টার দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটাতে থাকেন। এতে রক্তাক্ত জখম হয়ে এক পর্যায়ে খালিদ নুর তনু মাটিতে লুটিয়ে পড়ে অজ্ঞান হয়ে যায়।
সুত্রঃ Click This Link
১। তনু যদি গুরুতর আহত হয়ে থাকে তাহলে আজ ওকে সাইকেল দিয়ে ঘুরতে দেখল কিভাবে ( আমার ভাই )। একদিনের মাথায় হাসপাতাল পিটাপিটির জখম এবন অজ্ঞান ছাত্রকে ঠিক করে দেয়। নতুন ডিজিটাল পদ্ধতি ।
২।
বিনা বেতনে পড়ালে সেটা কিভাবে কোচিং হয় সেটা আমার জানা নেই । প্রধান শিক্ষক কয়েকটা অতি খারাপ ছাত্রদের পড়াশুনার উন্নতির জন্য নিজে কষ্ট করে বিনা বেতনে কোচিং করান এবং আবাসিক থাকার ব্যাবস্থা করার উদ্যোগ নেন(অতিরিক্ত কয়টা কক্ষে ) । উল্লেখ্য এই প্রধান শিক্ষক আসার পরে বিদ্যালয়ের ফলাফল ক্রমাগত ভাল হতে থাকে । গত বছর JSC পরীক্ষায় বিদ্যালয় হতে বৃত্তি পায় ১৯ জন ( শরীয়তপুর জেলার মধ্যে সর্বোচ্চ ) এবং এস এস সি পরীক্ষায় ৪ টা জিপিএ৫ সহ পাশের হার ৯১%। উল্লেখ্য এই প্রধান শিক্ষক আসার পুর্বে এই বিদ্যালয়ের নাম শরীয়তপুরের সেরা ১০ এও ছিল না ।
এবং এই প্রধান শিক্ষকের আমলেই বিদ্যালয়ে প্রথম দ্বীতল ভবন হয় এবং ত্রিতল ভবন নির্মানাধীন রয়েছে ।
৩। বিদ্যালয়ে এমপিও ভুক্ত শিক্ষক(সরকার অনুমোদিত) মাত্র ১২ জন ! ছাত্র সংখ্যা ১২০০ । সরকারের কাছে এবং শিক্ষামন্ত্রির কাছে প্রশ্ন ১২০০ ছাত্রকে কিভাবে ১২ জন শিক্ষক দ্বারা উন্নতমানের পাঠ দান করা যায়? তাই খণ্ডকালিন শিক্ষকের উদ্যোগ গ্রহন। এবং যেহেতু এই খন্ডকালীন শিক্ষক সরকারের এমপিওর বাইরে তাই সরকারী নিয়ম কানুন তার ক্ষেত্র কতটুকু প্রযোয্য তা নিয়ে প্রশ্ন রইল ? যদিও মাসুম তনুকে পিটান নি এবং তিনি পলাতকও নয় ( একটু আগেই তার সাথে ফোনে কথা হয়েছে।
)
৪। এবার আসি মেয়ের বিষয়ে, মেয়ের ক্ষেত্রে ঘটনা হচ্ছে ও পড়া না পাড়ায় টেনশনে নাকি ক্লাসেই মাথা ঘুরে পড়ে যায়। তারপর এই লাঞ্ছিত করার অভিযোগ করে ( হয়তো সংবাদপত্রে নাম ঊঠার জন্য ) । মাথা ঘুরে পড়ে যাওয়ার ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে অন্যান ক্লাসমেট এবং শিক্ষককে জিজ্ঞাসা করে । এ ধরনের বিনা কারনা লাঞ্ছনার অভিযোগ আনলে কার না মাথা খারাপ হয় ।
প্রধান শিক্ষকের ক্ষেত্রেও ব্যাতিক্রম নয় ।
এবার বলুন সাংবাদিকরা কিভাবে গল্প বানায় । সংবাদপত্র একটা জানার মাধ্যম । তাতে যদি এইভাবে ভুয়া খবর ছড়িয়ে ভাল একটা বিদ্যলয়ের মানহানি করা হয় আমার মতে ওই সংবাদ দাতা কে বরখাস্ত করা উচিত। যাই হোক এই সংবাদের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি ।
[বিঃদ্রঃ আমি সাধারনত এই সব বিষয় নিয়ে কম ঘাটাঘাটি করি কিন্তু এক্ষেত্রে না করে পারলাম না ।
এবং এই লেখাটি যে যেভাবে পারুন অনুগ্রহ করে শেয়ার করুন। ] ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।