বলুনঃ সত্য এসেছে এবং মিথ্যা বিলুপ্ত হয়েছে। নিশ্চয় মিথ্যা বিলুপ্ত হওয়ারই ছিল। [১৭:৮১-পবিত্র কুরআন] সবকিছু যদি ঠিক থাকে অর্থাৎ আগামী কয়েক ঘন্টার মধ্যে ফিলিস্তিনের সরকার যদি যুক্তরাষ্ট্রের কাছে নতি স্বীকার না করে তাহলে আগামীকাল ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে মহাসচিব বান কি মুনের কাছে স্বাধীণ ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতির জন্য আবেদন করবেন। এ আবেদনেই যে ফিলিস্তিনের স্বাধীণতা আসবে তা নয়, কিন্তু এর একটি তাৎপর্য আছে। বলতে গেলে গত ২০ বছর ধরে সরাসরি এবং পরোক্ষ আলোচনা চালিয়ে ফিলিস্তিনের প্রাপ্তি শূণ্য।
অন্যদিকে অত্যন্ত সুকৌশলে অবৈধ স্থাপনার আড়ালে ইসরায়েল তার আয়তন বৃদ্ধি করেছে। এখন ফিলিস্তিনের কাছে বিশ্ববাসীর সামনে স্বাধীণতার বিষয়টি তুলে আনা ছাড়া অন্য কোন পথ খোলা নেই।
বিশ্ববাসী অবাক হয়ে দেখবে সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশের সমর্থন থাকা সত্ত্বেও ফিলিস্তিনের স্বাধীণতার দাবী জাতিসংঘে বাতিল হয় শুধুমাত্র এক যুক্তরাষ্ট্রের ভেটোর কারণে। গণতন্ত্রের বুলি আওড়ানো খোদ জাতিসংঘেই নেই গণতন্ত্র। সমরশক্তিতে বলীয়ান যুক্তরাষ্ট্রের ভয়ে ভীত এই জাতিসংঘ।
বিশ্ববাসী বিস্ময়ে হবে হতবাক, যখন দেখবে জায়নিস্টদের মায়াজালে আবদ্ধ যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতিতে খুব সহজে আসে না কোন ভিন্নতা, হোক সেটা প্রেসিডেন্ট বুশ অথবা ওবামা।
অর্থনৈতিক মন্দায় জর্জরিত যুক্তরাষ্ট্র এ ঘটনার পর মধ্যপ্রাচ্যে তথা মুসলিম বিশ্বে তার ক্রমাগত নিম্নমুখী প্রভাবকে কোনভাবেই উর্ধ্বমুখী করতে পারবে না। ইসরায়েল হবে তিরস্কৃত আর ফিলিস্তিন লাভ করবে সহানুভুতি ও নিপীড়িত মজলুম জনগোষ্ঠীর সমর্থন। যুক্তরাষ্ট্রের মনে রাখা উচিত সময় যত সামনের দিকে এগিয়ে চলে নিপীড়িত মজলুম জনগোষ্ঠীর শক্তি ততই বৃদ্ধি পেতে থাকে আর জালিমের পতন হয়ে ওঠে অবশ্যম্ভাবী। খুব বেশী দূরের ইতিহাস মনে করতে হবে না, সম্প্রতী আরব বিশ্বে বয়ে চলা জেসমিন বিপ্লবই এর সুন্দর উধাহরণ।
আর আমার ফিলিস্তিনের ভাই বোনেরা, কষ্ট করে আর একটু ধৈর্য্য ধরতে হবে আপনাদের, বিজয় খুব সামনেই। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।