মন ভাল নেই... শরীর দুর্বল হয়ে পড়লে, ঘুম পেলে কিংবা বিরক্তিবোধ করলে আমরা হাই তুলি। কিন্তু সম্প্রতি হাই তোলার একটি নতুন ব্যাখ্যা দিলেন আমেরিকার বিশেষজ্ঞরা।
আমেরিকার প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটির একদল গবেষক জানিয়েছেন, হাই তোলা হলো প্রাকৃতিক উপায়ে মস্তিষ্ককে ঠান্ডা করার প্রক্রিয়া। সহজ ভাষায় ঘন ঘন হাই উঠলে বুঝতে হবে, আশপাশের পরিবেশের আবহাওয়ার চেয়ে আপনার মাথা অনেক বেশি গরম হয়ে গেছে। তাই হাই এসে আপনার মস্তিষ্ককে ঠান্ডা করছে।
প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটির ইকোলজি অ্যান্ড এভ্যুলশনারি বায়োলজি ডিপার্টমেন্টের পোস্ট ডক্টরাল অ্যাসোসিয়েট এবং এই গবেষণার প্রধান অ্যান্ড্রু গালাপ জানান, মানুষের হাই তোলার মাত্রা নির্ভর করে তার পারিপার্শ্বিক আবহাওয়া ও তাপামাত্রার ওপর। ঋতুভেদেও হাই তোলার মাত্রর পরিবর্তন হয়।
তিনি জানান, তাদের গবেষণায় দেখা গেছে মানুষ শীতকালে বেশি হাই তোলে। কারণ এ সময় আমাদের আশপাশের তাপমাত্রার চেয়ে আমাদের মস্তিস্ক বেশি গরম হয়ে যায়। আর তখনই আমাদের হাই ওঠে।
এতে করে বাইরের ঠান্ডা বাতাস মুখ দিয়ে ঢুকে সরাসরি আমাদের মস্তিষ্কে চলে যায় এবং মাথা ঠান্ডা করে।
অন্যদিকে শীতের চেয়ে গরমের সময় হাই অনেক কম ওঠে। কারণ ওই একই। তখন আমাদের আশপাশের তাপমাত্রার চেয়ে মাস্কিষ্কের তাপমাত্রা কম থাকে। ব্যাপারটা আরো পরিষ্কারভাবে বোঝা যায়, যদি অনেকক্ষণ রোদে দাঁড়িয়ে থাকার পর আমরা কোনো ঠান্ডা রুমে ঢুকি, দেখা যাবে কিছুক্ষণের মধ্যেই আমাদের ঘন ঘন হাই আসছে।
এর মানে হলো আমাদের মস্তিষ্ক চাইছে তাকে ঠান্ডা করা হোক। তাই হাইয়ের মাধ্যমে ওই রুমের ঠান্ডা বাতাসগুলো মুখ দিয়ে মস্তিষ্ক পর্যন্ত পৌঁছে তা মাথাকে ঠান্ডা করছে।
গালাপ এবং তার সহকর্মীরা এই গবেষণাটি ১৬০ জন আমেরিকানের ওপার চালান। তারা শীতকালে ৮০ জনকে পর্যবেক্ষণ করেন এবং গ্রীষ্মকালে আরো ৮০ জনকে পর্যবেক্ষণ করেন। সেখানে তারা লক্ষ করেন যে, গ্রীষ্মকালের তুলনায় শীতকালে মানুষ বেশি হাই তুলছে।
তাই এই হাই তোলাকে গবেষকরা নতুন একটি নাম দিয়েছেন, যা হলো-প্রাকৃতিক মস্তিষ্ক শীততাপ নিয়ন্ত্রক।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।