আল-কুরআন এবং রসুলের সত্যতা
প্রথম অধ্যায়ে স্রষ্টার অস্তিত্বের যৌক্তিক প্রমান দেওয়া হয়েছে। সেখানে যে যুক্তি পেশ করা হয়েছে তা প্রত্যেকটা মানুষের সহজাত অর্থাৎ মানুষের চিন্তার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। চিন্তাশীল মানুষের পক্ষে স্রষ্টার বৈশিষ্ট্য অনুধাবন করা খুবই স্বাভাবিক। স্রষ্টার বৈশিষ্ট্য হবে এমন- যাকে কেউ জন্ম দেয়নি,যিনি প্রাণীর মত কাওকে জন্ম দেননি,যিনি অনাদী,অনন্ত,অক্ষয়,অসীম,যিনি সবকিছু যানেন,দেখেন,বুঝেন,পরিচালনা করেন,যিনি মহা পরাক্রমশালী,সর্ব শক্তিমান। আল-কুরআন নামক যে পুস্তকটি আমরা পেয়েছি সেখানে আল্লাহ নামক স্রষ্টার অস্তিত্বের যৌক্তিক প্রমান স্পষ্ট ভাবে পাওয়া যায়।
এখানে আল্লাহ নিজের সম্পর্কে যে বৈশিষ্ট্যের কথা উল্লেখ করেছেন, তা চিন্তাশীল মানুষের চিন্তার সাথে হুবহু মিলে যায়। তিঁনি নিজের সম্পর্কে যে বৈশিষ্টগুলো উল্লেখ করেছেন তার কিছু অংশ বর্ণীত হলোঃ
“তুমি বলো- তিঁনি আল্লাহ্, একক- অদ্বিতীয়;
আল্লাহ কারো মুখাপেক্ষী নন,
তাঁর থেকে কেউ জন্ম নেয় নি, তিঁনি কারো থেকে জন্মগ্রহণ করেন নি।
আর তাঁর সমতুল্যও দ্বিতীয় কেউ নেই। ” (সূরা ইখলাস)
"আল্লাহ ছাড়া দ্বিতীয় কোন ইলাহ নাই। তিঁনি চিরজ্ঞীব পরাক্রমশালী সত্ত্বা।
ঘুম বা তন্দ্রা তাঁকে স্পর্শ করে না। আসমান সমুহ ও যমীন সমূহে যা কিছু আছে তাঁর সব কিছুর একমাত্র মালীকানা তাঁর(আল্লাহর)। কে এমন আছে যে, তাঁর(মানুষ বা অন্য প্রাণী,যে কোন সৃষ্টি) দরকারে তাঁর(আল্লাহর) অনুমতি ব্যতীত কোন সুপারিশ করতে পারে ? তাদের(মানুষ) বর্তমান ভবিষ্যতের সব কিছুই তিঁনি জানেন ,তাঁর(আল্লাহ) জানা বিষয় সমূহের কোন কিছুই তাঁর(আল্লাহ) সৃষ্টির কারো জ্ঞানের সীমা, পরিসীমার আয়ত্বাধীন হতে পারে না। তবে (কিছু জ্ঞান যদি) তিঁনি কাউকে দান করে থাকেন (তবে তা ভিন্ন কথা) তাঁর বিশাল ক্ষমতা আসমান যমীনের সব কিছুতেই পরিবেষ্টিত হয়ে আছে। এ উভয়টির হেফাজত করার কাজ কখনও তাকে পরিশ্রান্ত করে না।
" (আল-কুরআন, ২ঃ২৫৫, ‘আয়াতুল কুরসী’)
অর্থাৎ আমাদের এতক্ষনের (যৌত্তিক)অনুমানের সাথে এ বর্ণনা সামঞ্জস্যপূর্ণ এবং আমরা এই একটি কিতাবেই এ জাতীয় বিষয়গুলো দেখতে পাচ্ছি। মূলতঃ স্রষ্টা আল্লাহ,তাঁর প্রেরিত কিতাব,নবী-রসুল এগুলোর কোন একটি সম্পর্কে অসম্পুর্ণ ধারণা আমাদেরকে বিভ্রান্তিতে ফেলে দিবে এজন্য এ ব্যাপারে আমাদের স্পষ্ট ধারণা থাকতে হবে।
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা বলেন ঃ
“শপথ জ্ঞানগর্ভ কুরআনের ! নিশ্চয় আপনি রসূলদের একজন,অবশ্যই আপনি সরল পথে প্রতিষ্ঠিত। আল-কুরআন অবতীর্ণ হয়েছে মহা পরাক্রমশালী,পরম দয়ালু আল্লাহর পক্ষ থেকে। ”(আল-কুরআন,৩৬ঃ২-৫) “আমি আপনার প্রতি যে কিতাব অবতীর্ণ করেছি, তা সত্য, এটি পূর্ববর্তী কিতাবের সমর্থক।
”(আল-কুরআন,৩৫ঃ৩১) “আমি তো আপনাকে সত্যসহ প্রেরণ করেছি সুসংবাদদাতা ও সতর্ককারী রুপে,এমন কোন সম্প্রদায় নাই, যার কাছে সতর্ককারী প্রেরণ করিনি। ”(আল-কুরআন, ৩৫ঃ২৪)
এবার আমরা এই কিতাবের আর্বিভাব সম্পর্কে জানার চেষ্টা করব ঃ
আরবের কুরাইশ বংশের বনু হাশিম গোত্রের মুহাম্মদ নামক এক ব্যক্তি আজ থেকে চৌদ্দশত বছর পূর্বে নিজেকে আল্লাহর প্রেরিত সত্য নবী ও রাসূল বলে দাবী করেন এবং এই আল-কুরআন নামক কিতাব বিভিন্ন অবস্থার প্রেক্ষিতে তাঁর উপর অবতীর্ণ হয় বলে জানা যায়। তিনি এর সাহায্যে তৎকালীন প্রচলিত সামাজিক ব্যবস্থা ভেঙ্গে এই কিতাবের অনুকূলে একটি সমাজ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এখন প্রশ্ন হলো, এই যে আল কুরআন নামক কিতাব, এটাতো একক কোন স্বত্তা নিজের হাতে পৃথিবীতে পৌঁছাননি বা এর মধ্যে যে সমস্ত কথা জানা যায়, তা নিজের মুখ দিয়ে বলেন নি। তাহলে, এ থেকে আমরা সিদ্ধান্তে আসতে পারি যে, এটা হয় সেই সত্তার কথা, নয়ত এটি মুহাম্মদ নামক সেই রাসুলের নিজস্ব কথা, যিনি দাবী করেছেন যে, এই কিতাবের আয়াতসমূহ একজন বিশেষ ফেরেশতার মাধ্যমে আল্লাহর পক্ষ থেকে তাঁর উপর অবতীর্ণ হয়েছে।
এবার আমরা রাসূল দাবী করা এই ব্যক্তির সম্পর্কে ইতিহাস থেকে জানব। সংক্ষেপে তাঁর ইতিহাস হলোঃ তিনি ৫৭১ খৃষ্টাব্দে জন্ম গ্রহণ করেন। তাঁর পিতা তাঁর জন্মের কয়েকমাস পূর্বে মারা যান এবং শৈশবে তিনি তাঁর মা’কেও হারিয়েছিলেন। দারিদ্র ছিল তাঁর নিত্যদিনের সঙ্গী। দারিদ্রের কারণেই হোক বা যেভাবেই হোক তার কোন রকম পড়াশুনা করা হয়নি অর্থাৎ তিনি নিরক্ষর ছিলেন।
তাঁর জীবনের কোন পর্যায়েই তিনি অক্ষরজ্ঞান সম্পন্ন ছিলেন না। তাঁর চল্লিশ বছর বয়সের সময় হতে তিনি উক্ত কিতাবের বিভিন্ন আয়াত জিবরাইল নামক আল্লাহর এক ফেরেশতার মাধ্যমে পেতে থাকেন এবং এ প্রক্রিয়া দীর্ঘ ২৩ বছর ধরে চলে। তিনি ৬৩ বছর বয়সে ইন্তেকাল করেন। প্রশ্ন আসতে পারে তিনি নিরক্ষর ছিলেন, তাহলে এই কিতাব কিভাবে সংরক্ষিত হলো ?
ইতিহাস থেকে জানা যায় (সাড়ে ছয় লক্ষাধিক ঐতিহাসিক, বিশিষ্ট পন্ডিত রাসুল(সা.) এর জীবনী লিখেছিলেন, যা অন্য কারো ক্ষেত্রে ঘটেনি)। তিনি চল্লিশ বছর বয়সে যখন আয়াত বা ঐশী বাণী প্রাপ্ত হলেন, তখন তিনি এই বাণী প্রচারের জন্য কিছু সঙ্গী খুঁজতে থাকেন।
এখানে বলে রাখা প্রয়োজন যে, এই কিতাব প্রাপ্ত হবার বহুপূর্ব থেকেই অর্থাৎ শৈশব থেকেই তিনি স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন ছিলেন। মানবীয় গুনাবলীর যতগুলো দিক আছে তার সবই তার মধ্যে বর্তমান ছিল এবং অল্প বয়সেই তিনি মক্কাবাসীদের বিশ্বাসভাজন হন এবং তাদের প্রিয় ব্যক্তিতে রূপলাভ করে “আল আমিন” বা বিশ্বাসী উপাধীতে ভূষিত হন। মানুষ নিশ্চিন্তে তাদের বিভিন্ন সম্পদ তাঁর কাছে গচ্ছিত রাখত। তিনি মানুষের মধ্যে ঝগড়া বিবাদ মিটিয়ে দিতেন। মানুষের কল্যানে তাঁকে সব সময় দেখতে পাওয়া যেত।
তিনি অল্পকিছুদিনের মধ্যেই তাঁর কিছু বন্ধু-বান্ধব ও আতœীয়-স্বজনদেরকে তাঁর নবুয়্যতের (আল্লাহ কর্তৃক পথ প্রদর্শক হিসেবে মনোনীত হওয়া) কথা বিশ্বাস করাতে পারলেন এবং এভাবে শিক্ষিত অশিক্ষিত নির্বিশেষে তাঁর কিছু সঙ্গী হলো যা ছিল ক্রমবর্ধণশীল। প্রথমে যখন তিনি ঐশী বাণী প্রাপ্ত হন তখন তাঁর স্ত্রীকে একথা বলেন। তাঁর স্ত্রী খাদিজা শিক্ষিতা এবং প্রখ্যাত ব্যবসায়ী ছিলেন।
বলতে চাচ্ছিলাম যে, নিরক্ষর হওয়া সত্বেও আল কুরআন তিঁনি কিভাবে সংরক্ষন করলেন বা সংরক্ষিত হলো ? যখনই কোন আয়াত নাযিল হত তখন তিঁনি তা মুখস্ত করে নিতেন। এরপর ফেরেশ্তা জিবরাইল শুনতেন এবং ত্রুটি হলে সংশোধন করে দিতেন।
পুরোপুরি মুখস্থ হলে জিবরাইল(আঃ) বিদায় নিতেন। এরপর লিখতে জানা সাহাবারা তা লিখে রাখতেন এবং নামাজে,খুতবায় তা ব্যবহৃত হত এবং সাহাবারা তা অনুশীলন করতেন। লিখিত আকারে কুরআনের আয়াত সমূহ বৃক্ষের ছাল,হাড়, চামড়া ও কাপড়ে বা প্রস্তর ফলকে লিখিত হত। প্রাথমিকভাবে এভাবেই সংরক্ষিত হয়। পরবর্তীতে তৃতীয় খলিফা হযরত ওসমানের(রাঃ) সময় এটি সহি ও শুদ্ধ বা নির্ভুল অবস্থায় রসুলের (সাঃ)স্ত্রী হাফসার(রাঃ) কাছে রক্ষিত আল-কুরআনের মূল কপি থেকে পুস্তকাকারে লিপিবদ্ধ হয় এবং আজও তা অবিকৃত অবস্থায় লিপিবদ্ধ ও সংরক্ষিত আছে।
এ ছাড়া তখন থেকে এখন পর্যন্ত (১৪ শত বছর) অসংখ্য কুরআনী হাফিজের(যারা আল কুরআন মুখস্থ করেন) মধ্যে আলকুরআন সংরক্ষণের ব্যপারে গরমিল পরিলক্ষিত হয়নি বা হয়না।
এখানে আরও কিছু কথা উল্লেখ না করে পারছি না। যেভাবে মুহাম্মদ নামক রসূল সৃষ্টিকর্তার বাণী প্রাপ্ত হয়েছিলেন ঠিক সেভাবেই পৃথিবীতে তাঁর পূর্বে আরও অনেক নবী,রসূল স্রষ্টার বানী প্রাপ্ত হয়েছিলেন। প্রতিটি কিতাবেই পরবর্তী নবীর আগমন বার্তা থাকত। তো ওই সময়ে পৃথিবীতে যে সমস্ত ঐশী কিতাব বিকৃত (কিছু অংশ বিকৃত, কিছু অংশ অবিকৃত) অবস্থায় ছিল ,তার কিছু পন্ডিত ব্যক্তিও ঐ সময় ছিল এবং একক সত্ত্বায় বিশ্বাসী কিছু লোকও ছিল যাদের সংখ্যা ছিল মাত্র কয়েক জন(কোন কোন ঐতিহাসিক, তাদের সংখ্যা নয় জন বলে উল্লেখ করেছেন)।
তবে তৎকালীন জ্ঞানী লোক বা ঐশীজ্ঞানে পন্ডিত লোকেরা এ ব্যপারে বিশ্বাস করত এবং বংশ পরম্পরায় ঐশী কিতাবের জ্ঞান দ্বারা জানত যে- এমন এক পরিস্থিতিতে (অজ্ঞানতার অন্ধকারে নিমজ্জিত,হানাহানি,কুসংষ্কার,অন্ধবিশ্বাসে পরিপুর্ণ একটি অবস্থা,যা ঐ যুগের সাথে মিলে যায়)একজন নবী বা পথ প্রদর্শকের আবির্ভাব ঘটবে। এমনকি সেই নবীর বর্ণনা, তাঁর কর্মকান্ড কি হবে ? কোথায় জন্মগ্রহন করবে ? এবং সময় কাল সম্পর্কেও পূর্ববর্তী ঐশী কিতাবে (আল্লাহ কতৃক প্রাপ্ত বাণী পূর্ণ কিতাব)উল্লেখ ছিল। এমন কি যারা এই ঐশী কিতাবের(আল-কুরআন)
বিরোধীতা করেছিল তারাও জানত একজন নবীর আবির্ভাবের কথা। ইহুদীরা তো রীতি মত মানুষ কে ভয় ভীতি দেখাতো যে -‘আমাদের শেষ ও শ্রেষ্ঠ নবী আসুক,আমাদের উপর করা অত্যাচারের প্রতিশোধ নিব। ’ (ইহুদী ধর্ম যাযকরা জানত যে, শেষ নবী আসবে ইসমাঈল আঃ এর বংশধরের মধ্য থেকে, ইহুদী বা ইসরাঈলদের মধ্য থেকে নয়,কিন্তু তা প্রকাশিত হলে তাদের প্রাধান্য খর্ব হবে ভেবে, তারা তা প্রকাশ করতো না,যদিও কয়েকজন ধর্ম যাযকের নাম ইতিহাসে পাওয়া যায়, যারা ব্যপারটি শুধু স্বীকারই করতো না বরং ওই সময়ে মক্কায় নিয়মিত খোজ খবর নিত- রসুলের আগমন ঘটেছে কিনা তা জানার জন্য।
)
আমরা যাবুর, ঈঞ্জীল(বাঈবেল),তাওরাত ছাড়াও প্রাচীন ভারতীয় বিভিন্ন ধর্ম গ্রন্থের আদী সংস্করনেও ওই সময়ে সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ নবীর আবির্ভাবের কথা এবং তাঁর বৈশিষ্ট,স্থান, সময়কাল সম্পর্কে তথ্য পাই। যাইহোক ওই সময়ে ঐশী জ্ঞানে পন্ডিতদের অন্যতম ছিলেন ‘ওয়ারাকা বিন নওফেল’ নামক একজন ঐশী কিতাবের পন্ডিত ব্যক্তি যিনি মুহাম্মদ এর স্ত্রী খাদিজা(রাঃ)এর আপন চাঁচাত ভাই ছিলেন। তো যখন মুহাম্মদ (সাঃ) প্রথম ঐশী বাণী প্রাপ্ত হলেন তখন এটাকে একটি অলৌকিক ঘটনা মনে করে খাদিজা তাকে নিয়ে তার ভাই ওয়ারাকা বিন নওফেলের কাছে গেলেন। ওয়ারাকা তখন তার পূববর্তী ঐশী কিতাবের জ্ঞান দিয়ে মুহাম্মদের জন্ম থেকে ওই সময়কাল পর্যন্ত সমস্ত ঘটনা বিশ্লেষণ করে তাঁকে সত্যনবী হিসেবে মেনে নিলেন। এমনকি ওয়ারাকা বিন নওফেল ভবিষ্যতে মুহাম্মদের উপর যে বিভিন্ন অত্যাচার হবে এবং পরবর্তীতে যে বিভিন্ন ঘটনা ঘটবে (যেমন, মুহাম্মদ(সা.) শীঘ্রই জন্মভূমি ছাড়া হবে, নিজ বংশ কর্তৃক অত্যাচারিত হবে, এমনকি ওয়ারাকা কিছু শত্র“র নাম উল্লেখ করে সতর্ক হতে বলেন, তাঁর হাতে একসময় বিজয় আসবে ইত্যাদি) সে ব্যাপারেও বলেন (ইতিহাস থেকে যানা যায় সেগুলো পরবর্তীতে ঘটেছিল) আর সাথে সাথে দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, ‘আমি যদি সে সময়ে উপস্থিত থাকতাম তবে অবশ্যই তোমাকে রক্ষা করার জন্য সর্বোচ্চ শক্তি প্রয়োগ করতাম’।
উল্লেখ্য ওয়ারাকা সে সময়ে এত বৃদ্ধ ছিলেন যে, ঠিকমত হাঁটাচলা করতে পারতেন না এবং অন্ধ হয়ে গিয়েছিলেন। ইতিহাসে এমন অসংখ্য ঘটনা পাওয়া যায়, যা এ অল্প পরিসরে বর্ণনা অসম্ভব । পাশ্চাত্যের পন্ডিতদের লেখা ইতিহাস থেকেও আমরা একই রকম তথ্য পাই ।
......>>>>>>।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।