আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

স্রষ্টার অস্তিত্ব !!! ৭

আল-কুরআনের চ্যালেঞ্জ আমরা ইতিহাসে ঢুকলেও ইতিহাস রায় দেয় যে, তিঁনি সত্য নবী ছিলেন। আর ইতিহাসে এই ব্যক্তির ইন্তেকালের পর থেকে আজ পর্যন্ত এমন বৈশিষ্ট সম্পন্ন মানুষের সন্ধান পাওয়া যায়নি। একথা তো সর্বজন স্বীকৃত(১৪ শত বছর ধরে সারা বিশ্বে স্বীকৃত) যে- তাঁর মত বৈশিষ্ট সম্পন্ন মানুষ পৃথিবীতে দ্বিতীয়টি আসেনি,সম্ভবও নয়। মানলাম, আলকুরআন সংরক্ষিত হয়েছে বা অবিকৃত রয়েছে কিন্তু এটাই যে সেই সৃষ্টি কর্তার বানী তা বুঝব কি করে ? সৃষ্টিকর্তা তো নিজে এসে তা পাঠকরে শুনিয়ে যাননি। এটা তো মুহাম্মদের নিজের তৈরী বাণীও হতে পারে ! কারণ আমরা এ বানীগুলো তাঁর মুখ থেকেই শুনেছি।

হ্যা, এ সম্পর্কে তাঁর জীবদ্দশায় সে প্রশ্ন ওঠেনি তা নয়। প্রথমে মানুষেরা তাই বলেছিল। তাকে যাদুকর ,পাগল বলেছিল। কেউ কেউ ভাল কবি আখ্যায়িত করেছিল(তবে বহু যাদুকর,কবি,সাহিত্যিক,গণক স্ব স্ব ক্ষেত্রে উচ্চতর তালিম নিতে এসে বোকা বনে যায় এবং ইসলাম গ্রহন করে এ কারনে যে ,রসুল যা বলেন তার সাথে উক্ত বিষয়ের কোন মিল হয়না,এ এক স্বতন্ত্র বাণী যা পূর্বে কেউ কখনও শুনেনি)। এ বাণীগুলো সৃষ্টিকর্তার কিনা তা প্রমান করার একমাত্র রাস্তা হচ্ছে , এটি মানুষের তৈরী নয় তা প্রমান করা, যেহেতু মানুষ ছাড়া আমরা অন্য কোন জীবকে বুদ্ধিমান হিসেবে পাচ্ছি না, তাই মানূষকেই এ সংক্রান্ত বিষয়ে চেষ্টা চালাতে হবে।

মুহাম্মদের(সাঃ)জীবদ্দশায় আল-কুরআনের সত্যতার ব্যাপারে প্রশ্ন উঠেছিল বহুবার। তাই এই আল কুরআনের ভেতর স্রষ্টা মানবজাতির উদ্দেশ্যে একটি বড় চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেয় তা হলো ঃ “আমার বান্দার প্রতি যা (আল-কুরআন) নাযিল করেছি তাতে যদি তোমাদের সন্দেহ হয় ,তবে তেমন একটি সুরা নিয়ে এস এবং তোমরা যদি সত্যবাদী হও তবে আল্লাহ ব্যতীত তোমাদের সকল সাহায্যকারীদেরকে আহবান কর” (আল-কুরআন,২ঃ২৩) “(হে নবী)তুমি বল , যদি সব মানুষ ও জ্বীন এ উদ্দেশ্যে একত্রিত হয় যে,তারা এই কুরআনের অনুরুপ বানিয়ে আনবে, তাতেও তারা এর মত কিছু আনতে পারবে না, যদিও এব্যাপারে তারা একে অপরকে সাহায্য করে। ” (আল-কুরআন,১৭ঃ৮৮) এ আয়াত নাযিল হবার পর সব থেকে ছোট সুরা ‘সুরা কাওসার’ এর ২টি আয়াত “ইন্না আ-তায়না ক্কাল কাওসার / ফাসাল্লি -লি রাব্বিকা ওয়ানহার” এটি কাবার দেওয়ালে টাঙ্গিয়ে দেওয়া হয়(ক্কাবা ছিল এমন একটি স্থান যেখানে কোন ঘটনা ঘটলে দ্রুত চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়ত,সর্ব শ্রেষ্ঠ পবিত্র স্থান হিসেবে আরব এবং তার বাইরের এলাকার মানুষদের তীর্থস্থান ছিল ক্কাবা)। আর এর মত আয়াত তৎকালীন প্রখ্যাত কবি,সাহিত্যিক,দার্শনিক,চিন্তাবিদদেরকে তৈরী করতে বলা হয়। এই ২ আয়াত যেভাবে এবং যে ব্যকরণ ব্যবহার করে, ভাষার মৌলিকত্ব,সমীকরণ, ব্যচনভঙ্গী, ভাষার গঠন শৈলী ঠিক রেখে,তৈরী করা হয়েছে সেভাবে এই দুই আয়াতের পরবর্তী আয়াত তৈরী করতে বলা হয়েছিল।

বহু চেষ্টার শেষে তারা এ কাজে ব্যর্থ হয় এবং শেষে আরবের সেরা কবি “লবিদ” আয়াত দুটোর সাথে ছন্দ মিলিয়ে লিখেন। সুরা কাওসার ইন্না আ-তায়না ক্কাল কাওসার । ফাসাল্লি লি রাব্বিকা ওয়ানহার । ইন্না-শা-নিয়াকা-হুয়াল আবতার । লবিদ কতৃক সংযোজিত ইন্না আ-তায়না ক্কাল কাওসার ।

ফাসাল্লি লি রাব্বিকা ওয়ানহার । লাইসা হাজামিন ক্কালামিল বাশার । শেষ লাইনটির অর্থ হচ্ছে- “এটি কোন মানুষের তৈরী নয়। ” আল্লাহর সেই চ্যালেঞ্জ এখনও গোটা মানবজাতির উদ্দেশ্যে গ্রহন করার কথা বলা হয়েছে (কিয়ামত পর্যন্ত থাকবে)। মহান আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা বলেনঃ “ আমিই আল-কুরআন অবতীর্ণ করেছি আর আমিই একে সংরক্ষণ করব ” (আল-কুরআন,১৫ঃ ৯)“আল কুরআন সংরক্ষণ ও পাঠ করানোর দায়ীত্ব আমারই সুতরাং যখন আমি পাঠ করি তখন তুমি সেই পাঠের অনুসরণ কর,অতঃপর বিশদ ব্যাখ্যার দায়িত্ব আমারই”(আল-কুরআন,৭৫ঃ১৭-১৯) কিন্তু বিগত ১৪শত বৎসরে মানবজাতির মধ্য থেকে কেউ এ চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে সফলতার মুখ দেখেনি বরং তারা বলতে বাধ্য হয়েছে, এটি কোন মানুষের তৈরী নয়।

আল-কুরআনে এমন ব্যাকরণ ব্যবহৃত হয়েছে ,এতে এমন বর্ণনাধারা রয়েছে ,এমন ছন্দ রয়েছে, ভাষার এমন আভিজাত্য রয়েছে,এমন কাব্যরস রয়েছে, ভাষায় এমন নান্দনিকতা ব্যবহৃত হয়েছে, এমন মাধূর্য মিশ্রিত রয়েছে, এমন চিরন্তনী বক্তব্য উপস্থাপিত হয়েছে, উৎকর্ষতায় পরিপূর্ণ এমন ব্যচনভঙ্গী ব্যবহৃত হয়েছে, যে আল-কুরআন অবতীর্ন হবার পর আরবের ভাষা বিশ্বে একটি আলাদা মর্যাদা লাভ করে এবং আরবী ভাষার একটি বিশেষ বৈশিষ্ট হলো এতে উচ্চারণের সামান্য পার্থক্য হলে অর্থ বদলে যায়। একটি শব্দের অনেকগুলো প্রতিশব্দ(৭০টি পর্যন্ত) রয়েছে কোন শব্দ কোন বর্ণনায় ব্যবহৃত হলে ভাষার গঠনরীতি উৎকর্ষতায় পরিপূর্ণ হবে এবং সঠিক ছন্দে উপস্থাপিত হবে তার পরিপূর্ণ নিয়মকানুন এই আল-কুরআনে ব্যবহৃত হয়েছে। স্বাভাবিক ভাবেই মানুষের পক্ষে এতসব বিষয় ঠিক রেখে কিতাব রচনা করা সম্ভব নয়। তাছাড়া এতটা বিষয় ঠিক রেখে আপনি লিখবেনটা কি ? এতে অতীত বর্তমান ভবিষ্যতের যে বর্ণনা রয়েছে, জ্ঞান- বিজ্ঞান সংক্রান্ত যে আলোচনা রয়েছে ,বৃহৎ বর্ণনার যে সারাংশ ব্যবহৃত হয়েছে, মানব জাতির কল্যানের জন্য দিক নির্দেশনামূলক যে বক্তব্য রয়েছে, গোটা মহাবিশ্ব সম্পর্কে এবং যাবতীয় বিষয় সম্পর্কে যে বক্তব্য উপস্থাপিত হয়েছে তা কিভাবে লেখা সম্ভব ? এ রকম একটি কিতাব তৈরী করতে বললে সে হয় হুবহু এর(আল-কুরআনের) কপিই তৈরী করবে আল-কুরআন দেখে দেখে, নয়তো নিজস্ব ভাবে তৈরী করলে বড়জোর একটি কাব্য মহাকাব্য বা উপন্যাস তৈরী করবে। এ রকম আরেকটা তৈরী হওয়া সম্ভব নয় মানুষের দ্বারা।

এছাড়া এর মধ্যে রয়েছে সমীকরণ। বহু সংখ্যা তাত্ত্বিক বিষয় রয়েছে। এর ভেতরে রয়েছে গাণিতিক নিয়ম-কানুন। বিভিন্ন সমীকরণ *** কুরআনে অনেক স্থানে একের সাথে অন্যের তুলনা উপস্থাপিত হয়েছে। এ তুলনা দেওয়ার ব্যপারে একটি অবিশাস্য সংখ্যাতাত্বিক মিল পরিলক্ষিত হয়।

তা হলো দুটি নাম অথবা বস্তুকে সমান সংখ্যাতে উল্লেখ করা। যেমন ঃ সূরা আল ইমরানের ৫৭ নং আয়াতে আল্লাহ বলেন ঃ “আল্লাহ তায়ালার কাছে ঈসার তুলনা হচ্ছে আদমের মত। ” আসলে মানব জন্মের স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় এদের জন্ম হয়নি। এদের কারো পিতা ছিল না। লক্ষ্যনীয় বিষয় হলো ,কুরআনে ঈসা(আঃ) শব্দটি এসেছে ২৫ বার এবং আদম(আঃ) শব্দটিও এসেছে ২৫ বার।

যেহেতু আল্লাহ বলেছেন এ দুজন একই রকম তাই তাঁদের বর্ণনার সংখ্যার মধ্যেও মিল রেখেছেন। সূরা আল্ আহযাবে আল্লাহ বলেন,“যারা আমার আয়াতকে অস্বীকার করে তাদের উদাহরণ হচ্ছে কুকুরের মত”। “যারা আমার আয়াতকে অস্বীকার করে ”কথাটি এসেছে ৫ বার। যেহেতু তাদের উদাহরন হলো কুকুরের মত তাই কুকুর শব্দটিও এসেছে ৫ বার। সাত আসমান শব্দটি এসেছে ৭ বার।

আসমানসমূহ সৃষ্টির কথাও ৭ বার এসেছে। ৭ দিন শব্দটিও ৭ বার এসেছে। দুনিয়া এবং আখিরাত শব্দ দুটি সমান সংথ্যায় এসেছে অর্থাৎ ১১৫ বার করে। গরম ও ঠান্ডা শব্দ দুটিও এসেছে ৫ বার করে। ঈমান ও কুফর শব্দ দুটি এসেছে সমান সংখ্যায়,২৫ বার ।

ফেরেশ্তা শব্দটি এসেছে ৮৮ বার এবং শয়তানও শব্দটি এসেছে ৮৮ বার। পবিত্র শব্দটি এসছে ৭ বার এবং অপবিত্র শব্দটিও এসছে ৭ বার। হায়াত শব্দটি এসেছে ১৬ বার এবং মৃত্যু শব্দটি এসেছে ১৬ বার। ইয়াওমুন মানে দিন। কুরআনে এ শব্দটি এসেছে ৩৬৫ বার।

আইয়াম(দিন সমূহ)শব্দটি এসেছে ৩০ বার(চন্দ্র বছরের হিসাব মতে বছরের প্রতি মাসে গড়ে ৩০ দিন। চন্দ্র শব্দটিও এসেছে ৩০ বার। )‘শাহরুণ’ মানে মাস। এ শব্দটি কুরআনে এসেছে ১২ বার। ‘সানাতুন’ (বছর) শব্দটি এসছে ১৯ বার।

(বিজ্ঞানীরা বলেন প্রতি ১৯ বছরে সূর্য এবং পৃথিবী একই বৃত্তে অবস্থান করে। )। আল্লাহ ওয়াদা করেছেন,শাস্তির তুলনায় পুরষ্কারের পরিমান তিঁনি দ্বিগুণ করে দিবেন। এজন্যে আমরা পাপী শব্দটি ৩ বার দেখতে পাই এবং পূণ্যবান শব্দটি ৬ বার। আযাব বা শাস্তি শব্দ দুটি এসেছে ১১৭ বার এবং সোয়াব শব্দটি এসেছে ২৩৪ বার।

গরীব শব্দটি এসেছে ১৩ বার প্রাচুর্য শব্দটি এসছে ২৬ বার। আমরা জানি আল্লাহ তায়ালার দুনিয়ার নাম হলো ‘রহমান ’ এখানে সবার প্রতি তিঁনি দয়ালু আর আখিরাতে তিঁনি শুধু মুমিন বান্দাদের প্রতি দয়ালু,সেখানে যেহেতু সব নেক কাজের বিনিময় দ্বিগুন তাই তাঁর আখিরাতের নাম ‘রহীম’শব্দটি দুনিয়ার রহমান শব্দের দ্বিগুণ অর্থাৎ ১১৪ বার এসেছে। ইনসান(মানুষ)শব্দটি এসেছে ৬৫ বার। এবার মানুষ বানাবোর উপকরণগুলোর বর্ণনার যোগফল মিলিয়ে দেখিঃ মাটি শব্দটি এসছে ১৭ বার,জীবন কণা শব্দটি এসেছে ১২ বার,রক্তপিন্ড শব্দটি এসছে ৬ বার,মাংসপিন্ড শব্দটি এসছে ৩ বার,হাড় শব্দটি এসছে ১৫ বার,মাংস শব্দটি এসছে ১২ বার। এ উপাদানগুলোর যোগফল ৬৫।

*** আল কুরআনের সর্বত্রই বিস্ময়কর গাণিতিক সংখ্যার জাল বোনা রয়েছে। যেমন ১৯ সংখ্যাটির কথা বলা যায়। আল-কুরআনে সুরা মুদাছ্ছিরের ৩০ নং আয়াতে বলা হয়েছে “ইহার উপর উনিশ” এই উনিশ নিয়ে এযাবৎকাল বহু গবেষণা করা হয়েছে এবং এর ভিত্তিতে আল কুরআন থেকে অনেক সমীকরণ বের করা হয়েছে। সংক্ষেপে দেখা যেতে পারেঃ (১৯ সংখ্যাটির মাধ্যমে গ্রন্থটি এমন গানিতিক ফর্মূলায় সাজানো হয়েছে যাতে মানুষের পক্ষে কোন একটি শব্দও পরিবর্তন ,পরিবর্ধন,সংযোজন করা সম্ভব না হয়। ) বিসমিল্লাহ হির রহমান হির রহিম,আয়াতটিতে ১৯ টি হরফ আছে।

সমগ্র কুরআনে আয়াতটি আছে ১১৪ বার যা ১৯ দ্বারা বিভাজ্য। আয়াতটির গুণিতক সংখ্যার যোগফল ১৫২,যা ১৯ দ্বারা বিভাজ্য। আয়তটিতে শব্দ আছে ৪ টি,যার গুনিতক সংখ্যার যোগফলও ১৫২। সম্পুর্ণ সুরা ১১৪ টি ,যা ১৯ দ্বারা বিভাজ্য। আয়াতটিতে শব্দ চারটি সমগ্র কুরআনে যতবার এসেছে এর অপরিহার্য গুনবাচক শব্দও ততবার এসেছে।

যেমন ইসম শব্দটি এসছে ১৯ বার এর অপরিহার্য গুণবাচক শব্দ ‘ওয়াহেদ’ও এসেছে ১৯ বার। আল্লাহ শব্দটি এসেছে ২৬৯৮ বার এর অপরিহার্য গুণবাচক শব্দ ‘যুল ফাদল’(দয়ার আধার)এসছে ২৬৯৮ বার। রহমান শব্দটি এসেছে ৫৭ বার, অপরিহার্য গুণবাচক শব্দ ‘মাজীদ’(পবীত্র)এসছে ৫৭ বার। রহীম শব্দটি ১১৪ বার , অপরিহার্য গুণবাচক শব্দ ‘জামেউ’(একত্রকারী)এসেছে ১১৪ বার। এসবগুলো ১৯ দ্বারা বিভাজ্য।

আল-কুরআনে বর্ণিত আল্লাহর গুণ বাচক ও মৌলিক নাম এসেছে ১১৪টি,যা ১৯ দ্বারা বিভাজ্য। আল কুরআনে মোট মুকাত্তাত হরফ(মুকাত্তাত সেই অক্ষর গুলোকে বরা হয় যার কোন অর্থ মানুষের পক্ষে জানা সম্ভব হয়নি,রসূল(সাঃ)ও বলেননি,যেমন, আলিফ,লাম,মিম। এসব শব্দের অর্থ শুধু আল্লাহই জানেন) সংখ্যা ৫৭টি যা ১৯ দ্বারা বিভাজ্য। মুকাত্তাত হিসেবে ক্কাফ হরফটি ১১৪ বার ব্যবহৃত হয়েছে (১৯ ী ৬)। সোয়াদ অক্ষরটি মুকাত্তাত হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে ১৫২ বার (১৯ ী ৮)।

১৯ তম সুরার ৭৮৯টি (১৯ ী ১৪২)। ৭নং সুরায় মুকাতাত আলিফ, লাম, মিম, সোয়াদ মোট ৫৩২০ টি (১৯ ী ২৮০)। দ্বিতীয় সুরায় আলিফ, লাম, মিম ১৮৯৯ (১৯ ী ৫২১)। তৃতীয় সূরায় আলিফ, লাম, মিম ৫৬৬২ বার (১৯ ী ২৯৮)। উনত্রিশ তম সূরায় আলিফ, লাম, মিম ১৬৭২ (১৯ ী ৮৮)।

ত্রিশতম সূরায় আলিফ, লাম, মিম ১২৫৪ (১৯ ী ৬৬)। একত্রিশ তম সূরায় আলিফ, লাম, মিম ৮১৭ (১৯ ী ৪৩)। বত্রিশ তম সূরায় আলিফ, লাম, মিম ৫৭০ (১৯ ী ৩০)। কুরআনে আলিফ, লাম, মিম ব্যবহৃত হয়েছে ১৯৮৭৪ বার (১৯ ী ১০৭৬)। পুরো কুরআনে আলিফ, লাম, রা ব্যবহৃত হয়েছে ২৪৮৯ বার (১৯ ী ১৩১)।

কুরআনে আলিফ, লাম, মীম, রা ১৪৮২ বার (১৯ ী ২৮০)্সূরা ‘মারইয়ামে’৫টি মুত্তাত ব্যবহারকরা হয়েছে ৭৯৮ বার,যা ১৯ দ্বারা বিভাজ্য। সূরা‘আরাফে,মুকাত্তাত ব্যবহার করা হয়েছে ৫৩২০ বার,যা ১৯ দ্বারা বিভাজ্য। ‘ইয়াসিনে’মুকাত্তাত ব্যবহার করা হয়েছে ২৮৫ বার,যা ১৯ দ্বারা বিভাজ্য। সুরা মুমিন থেকে সূরা কাহাফ পর্যন্ত, এই ৭টি সূরায় মুকাত্তাত হা,মিম ব্যবহার করা হয়েছে ২১৪৭ বার,যা ১৯ দ্বারা বিভাজ্য । সূরা ইউসূফে এসেছে ২৩৭৫ বার,সূরা ইবরাহিমে ১১৯৭ বার,সূরা হিজর এ ৯১২,সূরা ক্কাফ এ ৫৭ বার এবং সূরা আল কালাম এ ১৩৩ বার।

প্রত্যেকটি ১৯ দ্বারা বিভাজ্য। সূরা আলাকের আয়াত সংখ্যা ১৯। সর্ব প্রথম এই সূরার প্রথম ৫ টি আয়াত নাযীল হয় যার শব্দ সংখ্যা ১৯। ৫টি আয়াতের অক্ষর সংখ্যা ৭৬ টি,যা ১৯ দ্বারা বিভাজ্য। সূরা আলাকের মোট অক্ষর সংখ্যা ২৮৫,যা ১৯ দ্বারা বিভাজ্য।

কুরআনে এই সূরাটির অবস্থান ৯৬, শেষের দিক থেকে গুণতে থাকলে সূরাটির অবস্থান ১৯। (১৯)গণিতের ক্ষুদ্রতম সংখ্যা ১ এবং বৃহৎ সংখ্যা ৯। যিনি কুরআন নিয়ে এসেছেন তিঁনি হলেন রসূল,রসূল শব্দটি এসেছে ৫১৩ বার,যা ১৯ দ্বারা বিভাজ্য। রসূল যার বাণী প্রচার করেছেন তিনি হলেন ‘রব’এ শব্দটি এসেছে ১৫২ বার যা ১৯ দ্বারা বিভাজ্য। কুরআনের কেন্দ্রীয় দাওয়া হলো‘ইবাদত’এটি এসছে ১৯ বার,দওয়ার অপরিহার্য ভাষা হলো ‘আব্দ’এটি এসেছে ১৫২ বার।

যে অবদ এর কাজ করবে সে ‘আবীদ’এটি এসেছে ১৫২ বার। আল কুরআনে ‘সংখ্যা’ শব্দটি এসেছে ২৮৫ বার,এর প্রতিটি সংখ্যা একত্রে যোগ করলে যোগফল দাড়ায় ১৭৪৫৯১ এর সবকয়টিকে ১৯ দ্বারা ভাগ করা যায়। এভাবে আরও অসংখ্য সমীকরণ রয়েছে আল করুআনে ,অন্যান্য বিষয় বাদ দিয়ে শুধুমাত্র গাণিতিক নিয়ম ঠিক রেখে এমন একটি কিতাব রচনা করাও কারো পক্ষে সম্ভব নয়। এছাড়া আরও অসংখ্য সমীকরণ রয়েছে, যে সমস্ত সমীকরণ ঠিক রেখে এমন গ্রন্থ তৈরী করা মানুষের পক্ষে সম্ভব নয়। এ ছাড়াও বিজ্ঞান ভিত্তিক বিভিন্ন আয়াত রয়েছে যেমন ঃ [b] বিজ্ঞান ভিত্তিক অনেকগুলো আয়াত থেকে কিছু বর্ণিত হলোঃ[/b] *** “আকাশ-মন্ডলী ও পৃথিবীর অণু পরিমানও তোমার প্রতিপালকের অগোচরে নয় এবং এর চেয়ে ক্ষুদ্রতর অথবা বৃহত্তর কোন কিছুই নেই যা সুস্পষ্ট কিতাবে নেই।

”(আল-কুরআন, ১০ঃ৬১) “অবিশ্বাসীরা কি দেখেনা যে, আকাশ মন্ডলী ও পৃথিবী পরস্পর সংযুক্ত ছিল তারপর আমি উহাকে পৃথক করেছি এবং পানি হতে প্রত্যেক জীবন্ত বস্তু সৃষ্টি করেছি, তারা কি বিশ্বাস করবে না ? ”(আল-কুরআন, ২১ঃ৩০) (মহাকাশ বিজ্ঞানীরা এ ব্যাপারটি কয়েক বছর আগে অবগত হয়েছে। ) *** “এবং সূর্য পরিভ্রমন করে তার নির্দিষ্ট গন্তব্যের দিকে,এটি মহা পরাক্রমশালী সর্বজ্ঞের নিয়ন্ত্রণ। ”(আল-কুরআন, ৩৬ঃ৩৮) “সূর্য কখনও ধরতে পারেনা চন্দ্র কে এবং রাত্রি অতিক্রম করেনা দিনকে এবং প্রত্যেকেই একটি নির্দিষ্ট কক্ষের মধ্য দিয়ে চলছে। ” (সূরা ইয়াসিন,৪০) “এবং আকাশ মন্ডলী আমিই উহা সৃষ্টি করেছি ক্ষমতার বলে এবং নিশ্চয়ই আমিই উহাকে সম্প্রসারণ করছি। ”(আল-কুরআন) (আজ থেকে ২/৩ শত বছর আগেও ইউরোপে ‘চন্দ্র সূর্য কক্ষপথে পরিভ্রমন করে’ বললে হত্যা করা হতো বা সামাজিকভাবে বয়কট করা হতো।

মহাবিশ্ব যে সম্প্রসারিত হচ্ছে তা মানুষ জেনেছে কিছুদিন আগে) *** আল কুরআনে সূরা ‘হাদিদ,এ আল্লাহ বলেন “আমি লোহা নাযীল(প্রেরণ,অবতরণ করানো) করেছি,যাতে রয়েছে প্রচুর শক্তি ও মানুষের জন্য প্রভূত কল্যান”(আল-কুরআন) (পদার্থ বিজ্ঞানীরা বলেন লোহা উৎপাদনের জন্য যে ১৫ লক্ষ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা দরকার হয় তার কোন উপকরণ আমাদের পৃথিবীতে নেই। এটা একমাত্র সূর্য্যরে তাপমাত্রা দ্বারাই সম্ভব। বিজ্ঞানীরা বলেন সূর্যের মধ্যে প্রচন্ড বিস্ফোরণের ফলে লোহা নামক ধাতু ছিটকে মহাশুন্যে পড়ে এবং পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ শক্তির টানে তা পৃথিবীতে নাযীল হয় বা অবতরণ ঘটে। ) “হে জ্বীন ও মানব সম্প্রদায় ! যদি তোমরা প্রবেশ করতে পার আসমান ও জমিনের এলাকায়, তবে উহাতে প্রবেশ কর, তোমরা উহাতে প্রবেশ করতে পারবে না মহা ক্ষমতা ব্যতিরেখে” (আল-কুরআন, ৫৫ঃ৩৩)“তোমাদের জন্য আল্লাহ বশীভূত করে দিয়েছেন নিজের তরফ থেকে আকাশমন্ডলের সব কিছুকে সমগ্রভাবে। ”(আল-কুরআন, ৪৫ঃ১৩)“আরও বশীভূত করেছেন তোমাদের মঙ্গলের জন্য চন্দ্র ও সূর্যকে।

”(আল-কুরআন ,১৪ঃ৩৩) (১০০ বছর আগে কেউ আকাশে ওড়ার স্বপ্ন দেখলে তাকে পাগল বলা হতো কারন মানুষ এমন সম্ভাবনার কোন যুক্তি খুঁজে পেত না । উইলভার রাইট ও অরভিল রাইট ভ্রাতৃদ্বয়ের এ জাতীয় চিন্তায় মানুষ তাদেরকে পাগল বলতো,অথচ এ সম্ভাবনা যে একটি বা এক জাতীয় শক্তির উপর নির্ভরশীল তা আল্লাহই মানুষকে জানিয়ে দিচ্ছেন। মানুষকে একটি সম্ভাবনার কথা বলছেন এবং তাকে যোগ্যতা দিয়েছেন যাতে তারা চিন্তা ভাবনা করে সফল হতে পারে। অনেক আয়াতে তিঁনি বক্তব্য পেশ করে বার বার বলেছেন,তোমরা কি দেখনা ? বোঝ না ? তোমরা কি চিন্তা, গবেষণা করনা ? মানুষের অসাধ্য কিছু নেই, ইত্যাদি) ফেরাউন(মিসরের ফারাও সম্রাট,যে ছিল আল্লাহ দ্রোহী) সম্পর্কে আল্লাহ তায়ালা বলেন ঃ “আজ আমি কেবল তোমার দেহকে সংরক্ষণ করব, যাতে তুমি তোমার পরবর্তীদের জন্য নিদর্শন হতে পার” (আল-কুরআন, ১০ঃ৯০-৯২) ( ঘটনাটি ৩ হাজার বছরেরও অধিক সময় আগের। লোহিত সাগরের(জবফ ংবধ) নীচে আল্লাহ ফেরআউনের লাশ অক্ষত অবস্থায় সংরক্ষণ করেছিলেন,পরে মানুষ লাশটি অক্ষত অবস্থায় পাবার পর মমি করে সংরক্ষণ করে ।

বর্তমানে ফেরাউনের লাশ মিসরের যাদুঘরে সংরক্ষিত রয়েছে) সুরা ফাজ্র এ “ইরাম” নামক একটি শহরের উল্লেখ করা হয়েছে যা ইতিহাসে ছিলনা । “তুমি কি দেখনি,তোমার প্রতিপালক কি করেছিলেন আদ বংশের ইরাম গোত্রের প্রতি ? যারা ছিল সুউচ্চ প্রাসাদে,যার সমতুল্য কোন দেশে নির্মিত হয়নি। ”(আল-কুরআন,৮৯ঃ৬-৮)। ১৯৭৮ সালে ঘধঃরড়হধষ এবড়মৎধঢ়যরপ সার্ভে রিপোর্ট দেয়ঃ ১৯৭৩ সালে সিরিয়াতে “ইবলা” শহরটি খনন করার পর আবিস্কৃত হয় যে, এটি ৪৩০০ বছরের পুরাতন শহর। এর মধ্যে একটি নথি খুজে পাওয়া যায় যাতে ইবলা শহরের লোকজন যাদের সাথে ব্যবসা করত তাদের নাম লেখা ছিল।

এখানে “ইরাম” শহরের নাম লেখা আছে। অথচ মানুষের কাছে এই ইরাম শহরের কোন ইতিহাসই ছিলনা। “আমি তোমাদের নিকটবর্তী আসমানকে নক্ষত্ররাজী দ্বারা সুশোভিত করে রেখেছি। ”(আল-কুরআন,৩৭ঃ৬) “আমিতো তোমাদের উর্ধ্বে সৃষ্টি করেছি সপ্ত স্তর এবং আমি সৃষ্টির বিষয়ে অসতর্ক নই। ”(আল-কুরআন, ২৩ঃ১৭) (আল্লাহ সাত স্তরবিশিষ্ট আসমান সৃষ্টি করেছেন।

বিজ্ঞানীরা যে বিশাল মহাবিশ্ব সম্পর্কে চিন্তা ভাবনা করে এবং এত কাল ধরে গবেষণা করে আসছে তা নক্ষত্রপূর্ণ। হতে পারে- তা প্রথম আসমান যা আমাদের নিকটতম। আমাদের মহাবিশ্ব তারকায় পরিপূর্ণ। বিজ্ঞানীদের চিন্তা আপাতত এর ভেতরেই আছে। ) “আমি তোমাদেরকে জোড়ায় জোড়ায় সৃষ্টি করেছি” (সুরা নাবাঃ ৮) “পবিত্র ও মহান তিঁনি,যিনি উদ্ভীদ, মানুষ এবং তারা যাদেরকে জানে না, তাদের প্রত্যেককে সৃষ্টি করেছেন জোড়ায় জোড়ায়।

”(আল-কুরআন,৩৬ঃ ৩৬) (বিজ্ঞানের কাছে এটি একটি নতুন আষ্কিার) “অতঃপর আল্লাহতায়ালা যাকে হিদায়াত দান করতে চান, তার বক্ষকে ইসলামের জন্য উন্মুক্ত করে দেন এবং যাকে পথভ্রষ্ট করতে চান তার বক্ষকে অত্যধিক সংর্কীণ করে দেন, যেন সে সবেগে আকাশে আরোহন করেছে” (আন-নাস ঃ ১২৫) (এখানে আল্লাহ একটি উদাহরণ পেশ করেছেন,তিঁনি বলছেন সবেগে আকাশে আরোহন করলে বক্ষ বা বুক যেমন সংকির্ণ হয়ে যায় ; ইসলামহীন মানুষের অবস্থাও তেমন। এটা প্রমানিত সত্য যে উর্দ্বাকাশে অক্সিজেন নেই আর অক্সিজেন ছাড়া সেখানে গমন করলে বক্ষ আক্ষরিক অর্থেই সংকীর্ণ হবে। ) “তিনি পর্বতকে সৃষ্টি করেছেন পৃথিবীর খুঁটি রুপে” “তিঁনি পর্বতকে দৃঢ়ভাবে প্রথিত করেছেন” “আমি পৃথিবীতে সৃষ্টি করেছি সুদৃঢ় পর্বত যাতে পৃথিবী তাদেরকে নিয়ে এদিক-ওদিক টলে না যায়। ”(আল-কুরআন,২১ঃ৩১) (বিজ্ঞানিরা বলছেন যদি পৃতিবীতে পাহাড়-পর্বত না থাকতো তাহলে পৃথিবী যে মাপে পরিভ্রমন করছে অর্থাৎ তার নিজ অক্ষের উপর(২৩.৫০ কোণে) ও কক্ষপথের উপর (৬৬.৫০ কোণে) ঘুরছে তাতে বিঘœ ঘটতো এবং পৃথিবী টলে যেত,এতে সাগরের পানিসমূহ সমস্ত স্থলভাগকে প্লাবিত করতো কারন- পর্বতগুলো দ্বারা পৃথিবীর ওজনের সমতা রক্ষিত হয় এবং ভূ-ত্বক সু-স্থিতি লাভ করে। শুধু তাই নয় যে মাপে গ্রহ নক্ষত্রসহ কক্ষপথে সকল বস্তু চলছে তার সামান্য এদিক সেদিক হলে সংঘর্ষ সৃষ্টি হত ও সবকিছু ধ্বংস হয়ে যেত।

) “আল্লাহ বায়ু প্রেরণ করেন তা দ্বারা মেঘমালা সঞ্চারিত করেন অতঃপর ইহা নির্জীব ভূখন্ডের দিকে সম্প্রসারিত করেন” “তিঁনিই আল্লাহ যিনি বায়ু প্রবাহিত করেন। ফলে উহা মেঘমালাকে সঞ্চারিত করে অতঃপর একে আল্লাহর যেমন ইচ্ছা আকাশে ছড়িয়ে দেন। পরে একে খন্ড বিখন্ড করেন এবং তুমি দেখতে পাও এ থেকে নির্গত হয় বারীধারা” (সূরা রূম ঃ৪৮) “তুমি কি দেখনা আল্লাহ মেঘমালা সঞ্চারিত করেন। অতঃপর এসবকে একত্রিত করেন ও পুঞ্জীভূত করেন তখন তা দেখতে পাও (মেঘ আকারে) অতঃপর উহা থেকে নির্গত করেন বারীধারা। আকাশস্থিত শীলাস্তুপ থেকে বর্ষণ করেন শীলা।

(সূরা নূর ঃ৪৩) “তুমি কি দেখনা আল্লাহ আকাশ থেকে বারী বর্ষণ করেন অতঃপর ভূগর্ভে একে স্রোতাকারে প্রবাহিত করেন (সূরা-জুমার ঃ২১) (মানুষ ভূ-গর্ভে পানির স্রোত প্রবাহিত হওয়া সম্পর্কে তথ্য পেয়েছে খুব বেশী দিন হয়নি কিন্তু আল-কুরআনের মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালা ১৪ শত বছর আগে জানিয়েছেন। আর বৃষ্টি কোন প্রক্রিয়ায় হয় তাও এত আগে মানুষ জানত না। ) “আল্লাহ তোমাদেরকে দেখান বিজলী যাতে আছে যুগপৎ ভয় ও ভরসা” (সুরা রাদ ঃ১২) (বিদ্যুৎ একই সাথে ভয় ও ভরসা। ) “সূর্য ছুটে চলেছে তার জন্য নির্ধারিত লক্ষ্যের দিকে যা পরাক্রমশালী সর্বজ্ঞ কতৃক নির্ধারিত” (সূরা ইয়াসিন ঃ ৩৮) “তিনি সূর্য ও চন্দ্রকে করেছেন নিয়মাধীন প্রত্যেকে আবর্তন করে এক নির্ধারিত কাল” (আল রাদঃ২) “সূর্য নি¯প্রভ হয়ে যাবে” (তাকবীর ঃ ১) (এখনকার দিনের বিজ্ঞানের ছাত্রদের কাছে এ ব্যাপারগুলো খুবই পরিষ্কার। ) “তিঁনিই(আল্লাহ)স্বীয় অনুগ্রহের প্রাক্কালে সুসংবাদবাহীরুপে বায়ু প্রেরণ করেন এবং তিনিই আকাশ হতে বিশুদ্ধ পানি বর্ষণ করেন।

”(আল-কুরআন,২৫ঃ৪৮) (বৃষ্টির পানি পুরোপুরি বিশুদ্ধ তা ১৪ শত বছর আগের মানুষ জানতো না,অনেক সম্প্রদায় এটা নিয়ে নানা রকম কু-সংষ্কারে লিপ্ত ছিল। ) “ আমি মানুষকে সৃষ্টি করেছি মৃত্তিকার উপাদান থেকে, অতঃপর আমি তাকে শুক্রবিন্দুরুপে স্থাপন করি এক নিরাপদ আধারে, অতঃপর সেই জন্ম বিন্দু থেকে সৃষ্টি করি জমাট রক্ত, জমাট রক্ত থেকে একটি আকারহীন পিন্ড তৈরী করেছি, পরে সেই পিন্ড থেকে হাড় সৃষ্টি করেছি এবং পরে সেই হাড়কে গোশত দ্বারা ঢেকে দিয়েছি। অতঃপর তা থেকে নতুন জীব সৃষ্টি করেছি। মহান সেই আল্লাহ যিনি সর্বশ্রেষ্ট সৃষ্টিকর্তা, এরপর একদিন তোমরা মৃত্যু বরণ করবে এবং আবার কেয়ামতের দিন অবশ্যই তোমরা পূণরুত্থিত হবে” (আল-কুরআন,২৩ঃ ১২-১৬) (মাতৃ গর্ভে সন্তান কিভাবে বেড়ে এঠে সে বর্ণনা যে কোন চিকিৎসকের কাছ থেকে শুনে এ আয়াতের সাথে মিলিয়ে দেখা যেতে পারে,অবশ্য এখানে যে বর্ণনা দেওয়া হয়েছে চিকিৎসা বিজ্ঞানিদের থেকে তা আরও অনেক দূর এগিয়ে,বিজ্ঞান যে পর্যন্ত জানে তার থেকেও পেছনের তথ্য এখানে লিপিবদ্ধ হয়েছে ) এ সমস্ত আয়াত ছাড়া আরও অনেক আয়াত আছে যে আয়াতের বক্তব্য তখনকার মানুষের জানা ছিলনা। এখানে অনেকগুলো আয়াতের মধ্যে থেকে যে আয়াতগুলো বর্ণিত হয়েছে সে সম্পর্কে বিজ্ঞান কিছুদিন আগে জেনেছে এবং এগুলো প্রমানিত সত্য।

এ ছাড়া আরও অনেক দুর্বোধ্য আয়াত আছে সে সম্পর্কে ভিন্ন ভিন্ন গবেষণাধর্মী মত আছে যা এখানে উল্লেখ করা হয়নি। কিছুদিন আগে নাসার বিজ্ঞানীরা হাবল টেলিস্কোপের মাধ্যমে মহাকাশের কোন একটি স্থানের(আমি নামটি ভুলে গেছি) ছবি তুলে তা গবেষণায় রত ছিল। তারা হাবল টেলিস্কোপের উক্ত ছবি থেকে গবেষণা করে বলেন-জিনিসটি হল- ধোয়ার আস্তরণ। কিন্তু নাসার মুসলিম বিজ্ঞানীরা(নাসার ৬০% বিজ্ঞানী’ই মুসলিম) চ্যালেঞ্জ করে বলেন-এটি হতেই পারে না,কারণ-আল কুরআনের একটি আয়াতে এ জিনিসটাকে ধুলার আস্তরণ বলা হয়েছে,অতএব এটি ধোয়া নয়,ধুলা। ফলে বিজ্ঞানীরা তখন আবার গবেষণা করেন,আরও ছবি তুলেন তখন প্রমানিত হয় যে,সেটি ধুলার আস্তরণ ছিল।

(এ বিষয়ে আরও জানতে ব্রাউজ করুন-িি.িযধৎঁহুধযুধ.পড়স) তবে এ পর্যন্ত যা বলা হয়েছে,তাতে এ বিষয়টি স্পষ্ট করার জন্য যথেষ্ট যে, আলকুরআন কোন মানুষের সৃষ্টি নয়। আর সঙ্গত কারনেই তা নিরক্ষর মুহাম্মদ (সাঃ)এর পক্ষে তৈরী করা সম্ভব নয়। তাই আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা -মুহাম্মদ(সাঃ)সম্পর্কে এবং অন্য বিষয়ে আল-কুরআনে যা বলেছেন তাই’ই সর্বশ্রেষ্ঠ সত্য। আসলে এটা না মেনে আর কোন উপায়ও নেই। চলবে......  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।