সুন্দর মনের মানুষদের ভালবাসতে চাই। পৃথিবীটাকে আরো সুন্দর দেখতে চাই। পৃথিবীর সবকিছুর মাঝে নিজের ভালবাসাটা পৌছে দিতে চাই। নিজের আনন্দটা সবার সাথে শেয়ার করতে চাই।
জাগতিক চিন্তা থেকে নিজের মনকে মুক্ত করে আত্মিক জগতে প্রবেশ করে নিজের মাঝে স্রষ্টার অস্তিত্ব টের পাওয়া যায়।
স্রষ্টার অবস্থান কোন ভিন গ্রহে বা অজানা স্থানে নয়। স্রষ্টা মানুষের মধ্যেই থাকেন। শুধু মাত্র স্রষ্টার সাথে যোগাযোগের পদ্ধতিটা জানতে হয়। আর এ পদ্ধতি জানতে পারলেই যে কোন মানুষের পক্ষে সম্ভব, তাঁর সাথে যোগাযোগ করা, তাঁর সাথে কথা বলা। এ পদ্ধতি জানতে এমন একজন ব্যক্তির কাছে যেতে হবে যিনি স্রষ্টার সাথে যোগাযোগ করতে সক্ষম হয়েছেন।
কেবল মাত্র তিনিই পারবেন একজন সাধারণ মানুষকে তাঁর প্রভুর সাথে পরিচয় করিয়ে দিতে। স্বধর্মীদের অজ্ঞতা আর বিধর্মীদের চক্রান্তের কারণেই শুধুমাত্র আমারা আমাদের মহান প্রভুর কাছ থেকে দূরে সরে আছি। আমরা এতটাই নির্বোধ যে আমাদের প্রভু আমাদের নিজের মাঝে থাকা সত্বেও আমরা ভাবি তিনি সাত আকাশের উপরে থাকেন। অথচ তিনি আমাদের প্রত্যেক মানুষের হৃদয়ে অবস্থান করেন। স্রষ্টা তাঁর সৃষ্টিকে ভালবাসেন।
আর তাই স্রষ্টা সব সময়ই তাঁর সৃষ্টির মাঝেই অবস্থান করেন। স্রষ্টা ও সৃষ্টির সম্পর্ক যেন মুদ্রার এপিট ওপিট। স্রষ্টা চান তাঁর প্রিয় সৃষ্টি তাঁকে ভালবাসুক। আর এ জন্যই তিনি খুব ভালবেসেই তাঁর সৃষ্টিকে সৃজন করে তার ভিতরে অবস্থান নিয়েছেন। আমরা যদি গভীর ভাবে নিজের মাঝে স্রষ্টার পরিচয়, অবস্থান এবং অস্তিত্ব খুঁজার চেষ্টা করি তবেই কেবল আমরা তাঁকে দেখতে পাব।
আমরা বুঝতে পারবো যে তিনি কত মহান। তিনি আমাদের কত ভালবাসেন। তিনি আমাদের ভালবাসা পাওয়ার জন্য কতটা ব্যকুল।
মানুষের দেহের যেমন রোগ আছে ঠিক তেমনি আত্মারও রোগ আছে আর আত্মার রোগ হচ্ছে ষড়ড়িপু। সঠিক রোগ নির্নয় ব্যতিত যেমনি সঠিক চিকিৎসা হয় না।
তেমনি আত্মিক চিকিৎসক ব্যতিক আত্মার রোগ দূর করা সম্ভব নয়। আত্মার চিকিৎসক হচ্ছেন নবুওয়তের যুগে নবী-রাসূল (আঃ) গন আর বর্তমান বেলায়াতের যুগে অলি-আল্লাহ্গন। অলি-আল্লাহগনের সানি্ধ্যে গিয়েই কেবল মাত্র একজন সাধারণ মানুষ হতে পারেন আশেকে রাসূল। লাভ করতে পারেন আল্লাহ্ ও হযরত রাসূল (সঃ)-এর দিদার।
মহান সংস্কারক মোহাম্মদী ইসলামের পুনর্জীবনদানকারী সূফী সম্রাট হযরত মাহবুব-এ-খোদা দেওয়ানবাগী হুজুর কেবলা এমনই একজন মহামানব, যিনি শিক্ষা দিয়ে থাকেন কিভাবে একজন মানুষ আল্লাহ ও হযরত রাসূল (সঃ)-এর নৈকট্য লাভ করতে পারবেন।
এ মহামানবের সান্নিধ্য লাভ করে অসংখ্য মানুষ আল্লাহ ও হযরত রাসূল (সঃ)-এর দিদার লাভ করতে সক্ষম হয়েছেন।
আসুন, আমরাও এ মহামানবের সানিধ্য লাভ করে তাঁর শিক্ষা অনুসরন করে আল্লাহ ও হযরত রাসূল (সঃ)-এর দিদার লাভ করে ইহ ও পরলৌকিক কল্যাণ লাভ করি। আমিন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।