সমাজ ও রাষ্ট্রের যাবতীয় আনাচার-অবিচার-অন্যায়-দুর্নীতির বিরুদ্ধে আজীবন-আমরণ প্রতিবাদীকন্ঠ। আমার সিক্সে পড়ুয়া ছেলের কাছে আমি রোজ নাস্তানাবুদ হচ্ছি মানে আমাকে সে রেগুলারই ঘোল খাইয়ে দিচ্ছে। তাই আমি আপনাদের কাছে বুদ্ধি চাই যাতে তার বুদ্ধির কাছে আমি আর না হারি।
তাহলে খুলেই বলি, ছেলেটি আমার কম্পিউটার গেমের প্রতি মারাত্মক আসক্ত; এমনকি গেম খেলার শর্তেই অনেক সময় ওকে ওর মা ভাত খাওয়াতে বাধ্য হয় এবং গেম খেলতে না দিলে ঠিকমত পড়াশোনাও করতে চায়না।
তাকে নিয়ন্ত্রণের জন্যই কম্পুটারের ডেক্সটপে আমি পাসওয়ার্ড দিয়ে রাখলেও সে তা নিয়মিত খুলেই রীতিমত গেম খেলে থাকে।
আমি তা টের পেয়ে আবার নতুন পাসওয়ার্ড দিলেও তার চালাকীর কাছে আমি যেন খেলো হয়ে গেছি। যতরকম পাসওয়ার্ডই দিই না কেনো, সে তা খুলে ঠিকই খেলতে পারে। প্রথমে তেমন বুঝতে না পারলেও কম্পিউটার খুলতে গেলেই আমার সন্দেহ হতো কিন্তু সে স্বীকার করতে চাইতো না। বাসার লোকজনও স্বাক্ষ্য দিতো ওর কম্পিউটার খোলা এবং গেম খেলার ব্যাপারে।
ওর ছোট্টবোনও স্বাক্ষ্য দিতো বলে তাকেও সে একসময় ম্যানেজ করে ফেলে।
ওর ছোট্টবোনকে আমি পাহারা রাখলেও প্রথম দু'একদিন সে আমাকে ভাইয়ের বিরুদ্ধে কম্পিউটার খুলে গেম খেলার কথা চুপ করে জানালেও পরে দেখি সে আর ওর বিরুদ্ধে বলছেই না। মানে দু'জনই একই সুরে কথা বলতে শুরু করে দেয় যদিও ওদের মা-বোনরা ঠিকই আমাকে সত্যটা বলে দিতো।
তবে মজার ব্যাপার যে, দু'জনে ঝগড়া বাধলেই তবে ছোট্ট মেয়েটি মাঝে মাঝে ভাইয়ের বিরুদ্ধে গেম খেলার অভিযোগ ঠিকই করতো।
যাহোক, মূলকথা হলো--ছেলের সাথেআমি পেরে উঠছি না---যেকোনভাবেই হোক সে পাসওয়ার্ড খুলে ফেলে, তা সে ডেক্সটপ পাসওয়ার্ড হোক আর ইউজার একাউন্টের পাসওয়ার্ড হোকনা কেনো? সে আবার ওর মা-বোনকে বলে থাকে যে, সে ওর বন্ধুর কাছেই পাসওয়ার্ড খোলার এই বুদ্ধি শিখেছে--যার নাম দিয়েছে সে ''এম্বুলেন্স পাসওয়ার্ড।
সুতরাং এমন বুদ্ধি চাই যাতে সে আর পাসওয়ার্ড খুলতে না পারে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।