অফিসের কম্পিউটার ব্যবহারে কিছু বিধিনিষেধ তো থাকেই। তারপরও ব্যক্তিগত টুকিটাকি, সামাজিক যোগাযোগের সাইট, সার্চ সবমিলিয়ে নিজের কাজও যে থেমে থাকে তা নয়। কিন্তু অফিসে আপনার ব্যবহারের জন্য নির্দিষ্ট কম্পিউটারটি থেকে কি যা খুশি তাই করতে পারেন? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ওয়েবে দীর্ঘদিন কোনোকিছুই গোপন রাখা যায় না। অফিসের কম্পিউটার ব্যবহারে কিছুটা সাবধানতা জরুরি। চাকরি বাঁচাতে অফিসের কম্পিউটারে কাজের ক্ষেত্রে যে বিষয়গুলো মেনে চলা জরুরি সে সংক্রান্ত বেশ কিছু সুপরামর্শই দিয়েছেন গবেষকেরা।
অফিসের কম্পিউটার ব্যবহার সম্পর্কিত পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ফক্স নিউজ।
সতর্ক থাকুন পাসওয়ার্ডে
অফিসের কম্পিউটার ব্যবহার করার সময় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে আপনার অনলাইন অ্যাকাউন্টগুলোর পাসওয়ার্ড সংরক্ষণ করে রাখার অভ্যাস। কম্পিউটার বন্ধ করার আগে বা কম্পিউটার ছেড়ে ওঠার আগে অবশ্যই লগ আউট করবেন। কম্পিউটারের জটিল পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন এবং আপনার ব্যক্তিগত পাসওয়ার্ড ঘনিষ্ঠ কাউকে শেয়ার করবেন না। আপনার ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে অফিস কর্তৃপক্ষও যেন ঢুকতে না পারে সেজন্য পাসওয়ার্ড ব্যবহারে সতর্ক থাকুন।
অফিসের কম্পিউটারে ইন্টারনেট ব্রাউজ করার সময় প্রাইভেসি মোড ব্যবহার করুন ।
সামাজিক যোগাযোগে সতর্ক থাকুন
অফিসের কম্পিউটার থেকে সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইট ব্যবহারের সময় সতর্ক থাকুন। অফিসের কম্পিউটার থেকে অপ্রয়োজনীয়, আজেবাজে মেইল পাঠানো, সামাজিক যোগাযোগের ক্ষেত্রে আজেবাজে চ্যাটিং থেকে নিজেকে দূরে রাখুন। আপনার কাছ থেকে ছড়ানো কোনো বাজে মেইল বা ইনস্ট্যান্ট মেসেজ অনলাইনে রেকর্ড হয়ে থাকে বলে যেকোনো সময় বিড়ম্বনায় পড়ে যেতে পারেন।
অফিসে ‘সেলফি’ নয়
গবেষকেরা বলছেন, ২০১৩ সালের সবচেয়ে জনপ্রিয় শব্দ হিসেবে অক্সফোর্ড অভিধানে ঠাঁই পেয়েছে ‘সেলফি’।
সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ও নিজের ছবি তোলার ক্ষেত্রে যে ইংরেজি শব্দ ব্যবহূত হয় তা থেকেই ‘সেলফি’ শব্দটির উত্পত্তি। অফিসে কাজের সময় নিজের ছবি তুলে বা সেলফি অনলাইনে পোস্ট করার বিষয়টিতে সতর্ক থাকুন। এ ধরনের সেলফি শেয়ার করার সময় সতর্ক না হলে আপনি যাঁদের কাছে তা লুকাতে চান তাদের কাছে চলে যেতে পারে এবং আপনাকে জবাবদিহি করতে হতে পারে।
পরিচয় গোপন করার সময় সতর্কতা
অফিসের কম্পিউটার থেকে পরিচয় গোপন করে কোনো মন্তব্য করার সময় সতর্ক থাকুন। কারণ অফিসের কম্পিউটার থেকে পরিচয় গোপন করে মন্তব্য করা হলেও তা খুঁজে বের করতে পারে কর্তৃপক্ষ।
জীবনবৃত্তান্তে মিথ্যা তথ্য নয়
এখন অনলাইনে খুব সহজেই চাকরিপ্রার্থীর বা কর্মীর তথ্য যাচাই করা সম্ভব। তাই চাকরিতে যোগদানের সময় জীবনবৃত্তান্তে ভুয়া তথ্য দেবেন না। অতীতে কাজের অভিজ্ঞতা ও শিক্ষা বিষয়ক তথ্যের ক্ষেত্রে এখন অনলাইনে সহজেই তথ্য পরীক্ষা করা সম্ভব বলে মিথ্যা থেকে দূরে থাকা উচিত।
।অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।