যদিও তুমি ধ্রুবতারা তবুও আমি দিশেহারা মেয়েটি পতিতা ছিল, এখনো হয়তবা আছে।
কোন এক অন্ধ প্রকোষ্ঠে আষ্ঠে-পৃষ্ঠে শরীর পুজি করে।
এখনো হয়তবা গোঙ্গানীর মতন আওয়াজ করে।
নতুন নতুন শরীরের গন্ধে হাসিমুখে বমি করে-
ভাসিয়ে দেয় সভ্য সমাজ।
সেদিন জনাব সুশীল,
আটটা-পাঁচটা আফিঁস করে বাসায় ফেরেনি।
সেদিনই, অন্ধ প্রকোষ্ঠে হাতড়ে পেয়েছিল পতিতা।
এরপর বাসায় ফিরেছিল, শরীরে সুখের আমেজ নিয়ে।
এরপরে আবার, তারপরে আবারও।
প্রকোষ্ঠের অন্ধকার তার চোখে সয়ে গিয়েছিল।
মেয়েটির চোখে পানি ছিল এখন আর নেই।
সভ্য সমাজের রোদে সব শুকিয়ে গেছে।
এখন আর ওসব ঢং ভালো লাগেনা।
এখন শুধু পাশের ঘরের মেয়েটির সাথে প্রতিযোগিতা।
আর জং ধরা ট্রাঙ্কের ভেতরে ভবিষ্যৎ।
যেই দিন শরীর থাকবেনা সেই দিনের ভয়।
জনাব সুশীল একদিন কৌতুহলে,
মেয়েটির চোখে চেয়ে আতকে উঠেছিল।
শ্রমজিবীর চোখ, তারপরেও একটু বেশিই আতঙ্কিত।
পৃথিবীর সমস্ত ঘৃনায় ভরা।
জনাব সুশীল দুঃখ ভরাক্রান্ত হৃদয়ে ফিরে এলেন।
অনেক কিছুই লিখলেন তথাকথিত কাগজে।
অনেক অনেক নীতি, স্বিকারোক্তি, ফের না করার অঙ্গীকার।
এরপর আবারো কোন এক ছুটির বিকেলে,
জনাব সুশীল আবারো ছুটে গেলেন সেই অন্ধ প্রোকষ্ঠে।
সময়ের বিবর্তনে বিবর্তিত,
দুটি চোখ খুব কাছ থেকে দেখার অযূহাতে।
কিন্তু সেখানে আগের চোখগুলি নেই।
নতুন চোখে সেই আবেগ খুজে পেতে,
হয়ত আরো কিছু সময় লাগবে জনাব সুশীল।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।