গোলাম আযমের কারাদণ্ডাদেশ প্রত্যাখ্যান করে ডাকা হরতালে মঙ্গলবার বিকালে রাজধানীর পান্থপথে বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাংচুর করে জামায়াত-শিবিরকর্মীরা।
এর মধ্যে দৈনিক ইত্তেফাকের নির্বাহী সম্পাদক শাহীন রেজা নূরের গাড়িও ছিল।
শহীদ বুদ্ধিজীবী সিরাজুদ্দীন হোসেনের ছেলে শাহীন রেজা নূর জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেলের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের মামলায় অন্যতম সাক্ষী।
মুজাহিদের মামলার রায় বুধবার হবে। তার বিরুদ্ধে ইত্তেফাকের তৎকালীন নির্বাহী সম্পাদক সিরাজুদ্দীন হোসেনকে ধরে নিয়ে হত্যার নির্দেশ দেয়ার অভিযোগ রয়েছে।
বাবার হত্যাকাণ্ডের আসামির বিরুদ্ধে রায়ের আগের দিন জামায়াতের হামলার মুখে পড়লেন শাহীন রেজা নূর, যে দলটি একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতার সঙ্গে যুদ্ধাপরাধে জড়িত ছিল বলে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিভিন্ন রায়ের পর্যবেক্ষণে উঠে এসেছে।
শাহীন রেজা নূর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমি গাড়িতে যাচ্ছিলাম। বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে গলির ভিতর থেকে কয়েকজন জামায়াত-শিবিরের সমর্থক এসে আমার গাড়িতে হামলা চালায়। তারা গাড়ির কাঁচ ভাংচুর করে। ”
হামলা থেকে বাঁচতে গাড়ি থেকে নেমে পড়েন শাহীন।
তিনি জানান, হামলাকারীরা আরো কয়েকটি গাড়ি ভাংচুরের পর হাতবোমা ফাটিয়ে চলে যায়।
পান্থপথে স্কয়ার হাসপাতালের পাশে ঢাকা ট্রিবিউনের গাড়িও ভাংচুর করা হয় বলে ইংরেজি দৈনিকটির সাংবাদিকরা জানিয়েছেন।
ঢাকা ট্রিবিউনের প্রধান আলোকচিত্র সাংবাদিক সৈয়দ জাকির হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, হঠাৎ কিছু যুবক লাঠি-সোঁটা নিয়ে রাস্তায় নেমে গাড়ি ভাংচুর শুরু করে।
ট্রিবিউন কার্যালয়ের নিচে রাখা চারটি আটোরিকশা ও দুটি প্রাইভেটকার ভাংচুর হয়। একটি অটোরিকশায় পেট্রোল ঢেলে আগুন দেয়ার চেষ্টাও হয় বলে জানান সাংবাদিক জাকির।
একই সময়ে ২৭ নম্বর সড়কেও কয়েকটি গাড়ি ভাংচুর হয় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে।
ধানমণ্ডি থানার পরিদর্শক মো. সাজ্জাদ হোসেন (পেট্রোল) বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলেই ভাংচুরকারীরা পালিয়ে যায়।
গোলাম আযমের ৯০ বছর কারাদণ্ডের আদেশ হওয়ার পর মঙ্গলবার হরতাল ডাকে জামায়াত। হরতালে বিভিন্ন স্থানে গাড়ি ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে জামায়াত-শিবিরকর্মীরা।
এদিকে মুজাহিদের মামলার রায়ের দিন বুধবারও হরতাল ডেকেছে জামায়াত।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।