গতকালের গোলাম আযমের রায় ছিল সরকারের জন্য তরকারিতে লবন চাখার মত, বয়সের কথা বিবেচনায় এনে গোলাম আযমের রায় ফাঁসীর পরিবর্তে ৯০ বছর দিয়ে সরকার আসলে দেশের সার্বিক পরিস্থিতি আঁচ করে নিল। কিন্তু সমস্যা বাঁধল তখনই যখন সরকার দেখল তারা দুই পক্ষের কোন পক্ষকেই খুশি করতে পারেনি। বিশেষ করে এই রায়ে যখন গণ-জাগরণ মঞ্চের কর্মীরাও নাখোশ, তখন সরকার তাদেরকে আবার নিজেদের হাতে আনার জন্য অনেকটা তড়িঘড়ি করেই মুজাহিদের রায় ঘোষণার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এমনিতেই পর পর ৫-সিটি কর্পোরেশনের গো-হারা হেরে সরকার আগামী নির্বাচনে অনেকটাই ব্যাক-ফুটে। তাই সরকার এখন চেষ্টা করবেই যে অবশিষ্ট যুদ্ধাপরাধীদের রায় যত দ্রুত সম্ভব ঘোষণা করার। এই ইস্যুটাকে কাজে লাগিয়ে যদি এখন কিছুটা পার পাওয়া যায়! যেহেতু গণজাগরণ-মঞ্চ তথা অনেকেই এখন সরকারের উপর ক্ষুব্ধ, তাই তাদেরকে খুশি করার লক্ষ্যে এবং জাতীয় নির্বাচনে নিজেদের নৌকা সামলাতে ১০০% নিশ্চিত ভাবে বলা যায় যে আগামীকাল রায় কি হতে পারে। কোন সন্দেহ নেই, আগামীকাল রায় হতে যাচ্ছে- ফাঁসী-ফাঁসী-ফাঁসী!!! এখন দেখার বিষয় যে সরকার কি রায় ঘোষণা করেই নিজেদের বীরত্ব দেখাবে নাকি রায় বাস্তবায়ন ও করবে...... আমার তো মনে হয় সরকারের আগামী নির্বাচনের ইশতেহার হবে, "আমরা ওয়াদা করেছিলাম যে, নির্বাচনে জয়ী হতে পারলে চিহ্নিত সকল যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের আওতায় নিয়ে আসা হবে, কিন্তু সময় সল্পতার কারনে আমরা রায় ঘোষনা করতে পেরেছি মাত্র। আমরা আবারো ওয়াদা করছি, এইবার যদি আমরা জয়ী হতে পারি তবে রায়গুলো বাস্তবায়ন ও করতে পারব ইনশাল্লাহ! -জয় বাংলা।"
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।