মুক্তিযোদ্ধা-ছাত্র-জনতা'র প্রতিরোধের ঘোষণার পর পুলিশি বাধায় চট্টগ্রামে জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মো. মুজাহিদের সভা পণ্ড হয়ে গেছে। কোতোয়ালি থানার দীদার মার্কেটের সাফা আর্কেড কমিউনিটি সেন্টার রোববার বেলা ৩টায় ওই সভা হওয়ার কথা। 'মুক্তিযোদ্ধা-ছাত্র জনতা' ব্যানারে আওয়ামী লীগ সমর্থকরা সেখানে সভার ঘোষণা দিলে পুলিশ কাউকেই সেখানে ঢুকতে দেয়নি।
এরপর জামায়াতে ওই কমিউনিটি সেন্টারের ৫০ গজ দূরে দলের মহানগর কার্যালয়ে বৈঠকের প্রস্তুতি নিলে তাতেও বাধা দেয় পুলিশ।
জামায়াত নেতারা বলছে, অনুমতি থাকা সত্ত্বেও তাদের সভা করতে দেওয়া হয়নি।
তবে কোতোয়ালি থানার ওসি মহিউদ্দিন মাহমুদ সাংবাদিকদের বলেন, সভা করার কথা বললেও সেখানে কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি জেনারেলের উপস্থিত থাকার কথা জানানো হয়নি। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখার জন্য জামায়াতকে সভা করতে দেওয়া হয়নি বলে জানান তিনি। 'মুক্তিযোদ্ধা-ছাত্র-জনতা' মুজাহিদের সভা প্রতিরোধের ঘোষণা দিলে দুপুরের আগেই পুলিশ ওই কমিউনিটি সেন্টারের সামনে অবস্থান নেয়। 'মুক্তিযোদ্ধা ছাত্র-জনতা'র অন্যতম সংগঠক ও চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি এমআর আজিম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "যুদ্ধাপরাধী মুজাহিদকে আমরা যে কোনো মূল্যে প্রতিহত করবো। চট্টগ্রামের মাটিতে তাকে সভা করতে দেওয়া হবে না।
"
কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক নজরুল ইসলাম দুপুরে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "দুই পক্ষ সভার ঘোষণা দেওয়ায় পরিস্থিতির অবনতি ঘটতে পারে। তাই কাউকেই সেখানে সভা করতে দেওয়া হবে না। " এরপর জামায়াতে ইসলামীর প্রায় দেড়শ নেতা-কর্মী জড়ো হয় দলীয় কার্যালয়ে। মুজাহিদও সেখানে ছিলেন। পৌনে ৩টার দিকে সেখানে গিয়ে কোনো ধরনের সভা না করতে জামায়াত নেতাদের বলেন।
সেখানে পুলিশের সঙ্গে জামায়াত নেতাদের বদানুবাদও হয়।
চট্টগ্রাম মহানগর জামায়াতের আমির শামসুল ইসলাম এমপি পুলিশের উদ্দেশে বলেন, "আমরা দলের কার্যালয়ে সভা করবো। " কিন্তু তাতে সায় দেয়নি পুলিশ।
জামায়াতের সংসদ সদস্য হামিদুর রহমান আযাদ সাংবাদিকদের বলেন, "আমাদের সভা করতে না দেওয়াটা দেশের জন্য মঙ্গলজনক হচ্ছে না। আরো কয়েকটি স্থানে আমাদের নির্ধারিত স্থানে সভা করতে দেওয়া হলেও পরে দলীয় কার্যালয়ে করা গেছে।
কিন্তু এখানে কার্যালয়েও সভা করতে দেওয়া হচ্ছে না। " এর আগে চাঁপাইনবাবগঞ্জ, বগুড়াসহ কয়েকটি স্থানে সভা করতে গিয়ে প্রতিরোধের মুখে পড়েন মুজাহিদ।
"সামরিক শাসনের মধ্যেও আমরা সভা-সমাবেশ করেছি। কিন্তু এখন তাও করা যাচ্ছে না", বলেন আযাদ। একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার করতে ট্রাইব্যুনাল গঠনের পর তদন্ত প্রক্রিয়া ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে।
মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী দল জামায়াতের অনেক নেতার বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ তদন্ত সংস্থার কাছে তুলে ধরা হয়েছে।
এদিকে মুজাহিদকে প্রতিরোধের ঘোষণা দিয়ে 'মুক্তিযোদ্ধা-ছাত্র-জনতা' শহরের আন্দরকিল্লা মোড়ে জড়ো হয়। পরে বেলা ৩টার দিকে তারা দীদার মার্কেটের কাছে মাইক নিয়ে সমাবেশ করে।
---------------বিডিনিউজ
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।