সাধারণেই আমি অসাধারণ তারিখ: ২৪ জুন, ২০১১
………“আব্বে ওই, কই তুই?”
………“দোস্ত বাস এ আসি, ২ নাম্বার এ। ১ মিনিটও লাগব না”
………”তোরে না আমি কইসি আমি আশার আগে ১০ নাম্বার এ থাকবি, তোরে আমি ব্লা ব্লা ব্লা”......................!!!
আমি মামুনের সাথে মিরপুর ১০ নাম্বার এ meet করলাম। রায়হান আর তানজিম আগেই ওরিজিনাল ১০ এ বসে আসে। আমরা গিয়ে ওদের সাথে দেখা করলাম। শুভ রে ফোন দিতেছি তো দিতেছি, হারামি ঘুমের ঠেলায় ফোন ধরে না।
কিন্তু সন্ধ্যার দিকে join করল আমাদের সাথে। সবাই মিলে ঠিক করলাম শনিবার যাব মাওয়া ফেরিঘাট। (এর আগে আরও অনেক কিছু হইসে কিন্তু আলসেমির জন্য লিখতে ইচ্ছা করতেসে না, সংক্ষেপে লিখতেসি)। আমরা আমরা ৪ জন পুরো নিশ্চিত ছিলাম যে যাব(আমি, রায়হান, শুভ, মামুইন্না)। কিন্তু সুমন আর তানজিম রে নিয়ে কিছুটা সন্দেহে ছিলাম।
পরে রাতে হৃদয় রে ask করলাম,
......কিরে যাবি;
......তোরা কে কে যাবি, কখন যাবি, ফিরবি কয়টায় ব্লা ব্লা......!!!
আমি যাবতীয় উত্তর দেয়ার পর আবার জিজ্ঞেস করলাম,
......তুই যাবি???
......গেলে আমারে জায়গা মত দেখবি।
আমি বুঝলাম ও আর যাবে না, কারণ এর আগের আমার আর রায়হান এর MAD TRIP এ ও যাবার কথা বলে পরে যায় নি। এরপর আমি আর কথা বাড়ালাম না।
তারিখ: ২৫ জুন ২০১১
বাইরে বের হয়েই দেখি চমৎকার আবহাওয়া। সকাল ৮টায় অরিজিনাল ১০ এ পৌঁছে দেখি তানজিম আর শুভ আগেই চলে এসেছে।
রায়হান রে ফোন দেয়া হল, রায়হান এলে আমরা ৮.৩০ এ সায়দাবাদ এর উদ্দেশ্যে রওনা দেই। মামুন আর সুমন রে ফোন করে বলি সায়দাবাদ চলে আসতে। আমরা ৪জন মিরপুর থেকে যখন বাস এ যাচ্ছিলাম ঠিক অই বাস এ আমার মেজো ভাইয়ার বন্ধু অফিস যাচ্ছিলেন। পরে তিনি আমাদের বাস ভাড়াটা দিয়ে দেন। আমরা যখন সায়দাবাদ এর কাছাকাছি চলে এসেছি ঠিক ওই সময় হৃদয় ফোন করে রায়হান রে।
বলে যে ও সায়দাবাদ এ আসছে। আমরা সবাই পুরা অবাক। সবচে ভাললাগসে আমার। কারণ ‘গোঁজামিল’ বলে কথা । কিন্তু এই গোঁজামিল এর সাথে meet করার জন্য যেই আরেক গোঁজামিল শুরু হইসিল, সে আরেক ইতিহাস, ওইটায় না যাই।
সায়দাবাদ হতে আমরা হেঁটে যাই যাত্রা বাড়ি। ওখানে সুমন যোগ দেয় আমাদের সাথে। এরপর আমরা ইলিশ পরিবহন এ করে মাওয়া ফেরিঘাট এর উদ্দেশ্যে রওনা হই। বাস এ আমরা শুরু করি আড্ডা। আড্ডা পরিণত হয় গান গাওয়ার উৎসবে।
আমি ভাবলাম বাস এর মানুষরা বিরক্ত হবে, কিন্তু না, উলটা অনেকে আমাদের এই মজাটা enjoy করেছে। আনুমানিক ১.৩০-২.০০ ঘণ্টা পর আমরা মাওয়া ফেরিঘাট পৌঁছলাম। এরপর লঞ্চে উঠলাম। ওঠার আগে পাউরুটি আর কলা কিনে নিয়েছিলাম। লঞ্চ ছেড়ে দেয়ার কয়েক মুহূর্ত পর বৃষ্টি নামা শুরু হল।
ততক্ষণে রায়হান, মামুন, শুভ, সুমন তাস খেলা শুরু করসে। আমরা বৃষ্টিতে ভিজলাম, লঞ্চ এ করে মাওয়া হতে মাদারীপুর গেলাম। লঞ্চ journey টা অনেক মজার ছিল। আমরা যেই লঞ্চ থেকে মাটিতে নামলাম, তখনি ঠাঁ ঠাঁ রোদ পড়া শুরু। ভিজা কাপড় শুকিয়ে গেল।
এরপর আমরা প্রধান সড়কে গেলাম, ওখানে একটা ছাউনির ছিল। সেখানে জামা পালটালাম, (তানজিম বাদে)। তানজিম আমাদের জামা বদলানোর ব্যপারটা বুঝতে পেরে অন্যদিকে একা চলে গেল, আমরা জামা বদলিয়ে পোলাপাইন্না কিছু শয়তানি করে ওর সাথে যোগ দিলাম। ...তারপর খাওয়া আ আ আ আ আ………!!!
দুপুরের lunch এর জন্য আমরা প্রধান সড়কের পাশে একটা হোটেল(এইটারে হোটেল/রেস্টুরেন্ট বলা উচিত কিনা বুঝতেসি না!!!) এ চলে গেলাম। যেহেতু পদ্মা নদীর পাশেই, আর আমাদের প্ল্যান ছিল যে ইলিশ খাওয়ার।
আমরা ভাত আর ইলিশ মাছ আর ডিম দিয়ে lunch সারলাম। এরপর এক ডাব খেলাম, হাবিজাবি শয়তানি, দুষ্টামি, জাউরামি সব করলাম………..!!! এর কিছুক্ষণের মধ্যে একটা ফেরি এসে ঘাট এ ভিড়ল। আমরা ফেরিতে উঠলাম। ফেরি ছিল তিন তালার। আমরা একদম উপরের তলায় চলে গেলাম।
দারুণ লাগতেসিল। এইটা লিখে বোঝান যাবে না। এবার আমি, রায়হান, সুমন, মামুন তাস খেলা শুরু করলাম। আমাদের খেলা দেখতে চারপাশে ভিড় জমে গেল। কিছুক্ষণ খেলার পর আমরা ফেরি’র ২তালার ভাসমান দোকানে চা খেলাম, 7up কিনলাম, আড্ডা গপ্পো আর অনেক মজা করলাম।
ফেরি হতে যখন ফিরছিলাম তখন কড়া রোদ। নদীর পানির উপর রোদ পড়ে চিক চিক করছিল। এক কথায় অসাধারণ। প্রায় ৪৫ মিনিট পর আমরা আবার মাওয়া ফেরিঘাট এ ফিরলাম। যখন ফেরি হতে নামলাম তখন কোন রোদ নাই, আকাশ মেঘে ঢাকা।
আল্লাহ মনে হয় আমাদের trip এর জন্যই আজকের আবহাওয়া সৃষ্টি করেছেন। বাস এ উঠে ঢাকা ফেরার পথে আবার নামলো বৃষ্টি। আমি বাস এর জানালার পাশে বসেছিলাম, জানালার কার্নিশে বসে আবার বৃষ্টিতে ভিজলাম। এভাবে একসময় ঢাকায় পৌঁছে গেলাম।
লেখায় অনেক কিছু বাদ পড়ে গেসে।
কিন্তু যেই স্মৃতিময় দিন গতকাল(২৫ জুন) কাটালাম, এর কথা ভোলা হয়ত আমাদের কারো পক্ষে সম্ভব না।
অংশ গ্রহনেঃ
১। তানজিম নাঈমাহ
২। রায়হান খান
৩। শোভন রহমান আকন্দ (শুভ)
৪।
হৃদয় মাহমুদ
৫। সুমন দেব
৬। হোসাইন মামুন
৭। জাহিদুল ইসলাম সুজন
Thnx to all you dosto………….
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।