এসব ঘটনা আমাদের আশেপাশে ইদানিং হরদম হচ্ছে। কিন্তু আমরা কিছুই শিখছি না। তাই গল্প গুলো বলার আগে বলি,আমাদের মুল্যবান সম্পদ কি তা আগে সনাক্ত করা। কারন দূর্ভাগ্যবশত আমরা তা জেনেও যেনো বুঝিনা।
মেয়েদের বলছি, সাথে সাথে দেশকেও কারন দেশতো মায়েরই মতো।
সতীত্ব অত্যান্ত মুল্যবান জিনিস, কোন কিছুর সাথে যার বিনিময় চলেনা। শত প্রলোভনে তাকে বিসর্জন দেয়া চলে না। এটির তুলনা কেবল দেশের সার্বভৌমত্বের সাথেই চলে। কিন্তু অত্যান্ত দূঃখের ব্যাপার অভাব-অনোটনে মেয়েরা সতীত্ব ততটা হারায় না,যতটা হারায় প্রলোভনে পড়ে।
গ্রামের রুপালির কথাই ধরুন না।
সে নিম্ন মধ্যবিত্ত চাষীর মেয়ে। সুন্দর স্বাস্থবতী রুপালী নদীতে গোসল করার সময় চেয়ারম্যানের চোখে পড়ে,বাংলা সিনেমার ভিলেন মিজু আহম্মেদের মতো তিনি তার দুই সাঙ্গপাঙ্গকে চোখের ইশারায় জানালেন এটি তার চাই। তারা তাদের কার্যক্রম যাতে অনতিবিলম্বে চালু করে।
সেদিন থেকে শুরু হলো রুপালির সর্বনাশের সাতকাহন। চেয়ারম্যান তাকে সরাসরি বিয়ের প্রস্তাব দেয়,কিন্তু রুপালী রাজি হয় না।
সে আগেই চেয়ারম্যানের চরিত্র সম্পর্কে সম্যক অভিহিত। চেয়ারম্যান হাল ছাড়ে না,সে বলে সে আমুল পরিবর্তিত হয়ে যাবে রুপালীকে বিয়ের পর। দেখা যায় চেয়ারম্যান ইদানিং নামাজ নিয়মিত পড়ে এবং প্রায় রুপালীর বাপের পাশে বসে নামাজ পড়ে আর লাল সালুর মজিদের ন্যায় বলে সে স্বপ্ন দেখেছে যে,কোন এক কলন্দর বাবা তাকে স্বপ্নে বলেছে নিয়মিত নামাজ পড়তে।
এর মাঝে সে তাবলিগের তিনদিনের একটি প্রোগ্রামে যায়। আবার অল্প অল্প দাড়িও সে ইদানিং রাখছে।
যে দেখে সেই বলে,আহা চেয়ারম্যানরে দেখছোস,সাক্ষাত বুযুর্গ উমিদ খাঁ।
অবশেষে রুপালী উন্নত জীবনের আশায় তার প্রলোভনে পড়ে,তাকে বিয়ের পর কক্সবাজার,সেন্ট মার্টিন বেড়াতে নিয়ে যাবে এমন অনেক জায়গার নাম বলে রাতে পাটক্ষেতে নিয়ে যায়। তার পর রুপালী একদিন সব হারায়।
এখন রুপালীর কাছে আর সে আসে না,বিরক্ত হয়। বিয়ের কথা বললে হাসে,বলে পাগল নাকি আমি।
যা খাওয়ার তাতো পাইছিই। যেমন-ইন্ডিয়া ট্রানজিট পাওয়ার পর তিস্তা,ছিটমহল,টিপাইমুখে বাধ কোন চুক্তিতেই আর আগ্রহ দেখায় না,ঠিক চেয়ারম্যানের মত।
রুপালী কাদেঁ!সর্বশ্য হারিয়ে।
ঠিক একিই ঘটনা ঘটে মেট্রপলিটন নগরীর জিনিয়ার বেলায়। আসলে আমাদের জীবনে তো নতুন নতুন ঘটনা প্রতিদিন ঘটেনা,বরং একিই ঘটনা প্রতিদিন নতুন নতুন করে ঘটে।
জিনিয়া রুপালীর মতোই সবকিছু হারায়,নব্য শিল্পপতির পুত্রের রাব ফোর গাড়ী,পিজাহাট-কে এফ সি জীবনযাত্রার ঘনঘটা দেখে। তারপর ঘোর কাটে একদিন!ধনীর দুলালকে বিয়ের কথা বলায় সে বাংলা সিনেমার চৌধুরী সাহেবের মত হেসেই মরে।
সে জিনিয়াকে বলে,এটাই আমার হবি,তুমি ৩১৩ নং শিকার,এর আগে ৩১২ জন আমার শিকার হয়েছে। আর তোমাকে বিশেষ করে ধন্যবাদ এজন্য যে,তোমার নামের বানান z দিয়ে। কারন আমি a দিয়ে ১৭ জন,b দিয়ে ১৩ জন,c দিয়ে ১৯ জন কে টেস্ট করেছি,আমি ডিকশনারি ওয়াইজ কাজ করি এটাই আমার হবি।
সবচেয়ে বেশী পেয়েছি t আর s দিয়ে নাম। তোমার z ফিল আপ হলো। এখন বাকী রইলো ডব্লিঊ w আর এক্সx,জানি কালেক্ট করা কঠিন কারন আনকমন ওয়ার্ড। গুড বাই।
জিনিয়া কাদেঁ!সব হারিয়ে।
এবার দেশটির কাহিনী। চেয়ারম্যানের মত এক প্রতিবেশীর প্রতারনায় পড়ে সে ট্রানজিটের নামে তিস্তা,ছিটমহল,অমিমাংসিত ভূমি ও টিপাইমুখের বাধ না করার অঙ্গীকার কিছুই পেলো না।
সতীত্ব ও সার্বভৌমত্ব সম্ভবত কাছাকাছি জিনিস।
দেশটি কাদেঁ! সব হারিয়ে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।