আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কক্সবাজারের উখিয়ায় জুম চাষীদের মুখে হাসি

আমার নাম মো: শাহাব উদ্দিন কক্সবাজার জেলা, বাংলাদেশ কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে একটি স্থানীয় পত্রিকায় কাজ করি মোবা: ০১৮১৬৮০০৯০১ মো: শাহাব উদ্দিন উখিয়ায় সবুজ অরণ্যে ঘেঁরা পাহাড়ে আদিবাসী পরিবারের মাঝে এখন চলছে জুম ক্ষেত থেকে ফসল তুলার ধুম। জুমিয়া আদিবাসীরা জুম ফসলের আনন্দে মাঁতোয়ারা। আদিবাসী পরিবারে পাহাড়ের পাড়ায় পাড়ায় চলছে নবান্নের উৎসব। উখিয়া উপজেলার তেল খোলা,মোচারখোলা,আমতলীর পাহাড়ি এলাকা ঘুরে দেখা গেছে জুমের ফসল তোলার উৎসবমুখর পরিবেশ। পাহাড় ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলার উপজাতি অধ্যুষিত এলাকা হিসেবে খ্যাত তেলখোলা গ্রামে জুমে এখন সোনালী ফসলের রঙ্গিন সমাহার।

বর্ষার শেষ পর্যায়ে শরতের হাওয়ায় পাকা ধানের শীষের সাথে আনন্দে দোলা দিচ্ছে জুম চাষীদের মন। জানা যায়, তেলখোলা আদিবাসী পাহাড়ে বসবাসকারী নৃ-তাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর প্রধান পেশা হল জুমচাষ। এ জুম চাষ করে সারা বছর অন্নসংস্থান করে থাকে পাহাড়ীরা। সবুজ অরণ্য ঘেরা পাহাড়কে ঘিরে বেঁচে থাকার নিত্য দিন সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে জুমচাষীরা। যদি ও সমতল এলাকার মানুষদের কাছে আদিবাসীরা পাহাড়ি হিসেবে পরিচিতি।

এদিকে জুম চাষে জড়িত পাহাড়িদের পেশা ও জীবন-জীবিকা অন্য যে কোনো এলাকার চেয়ে ভিন্ন মাত্রা যোগ করেছে। পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার মানিক চাকমা জানান, ফালগুনের শেষ ও চৈত্র মাসের প্রথম দিকে পাহাড়ের বন-জঙ্গল কেটে ফেলার পর ১৫/২০ দিন রেখে পরে তা আবার আগুনে পুড়িয়ে পাহাড়ের গায়ে সনাতন পদ্ধতিতে ধান বুনা হয়। সাথে অন্যান্য মিশ্র ফসলের চাষ করা হয়ে থাকে। আর এ চাষই পাহাড়ী আদিবাসী-বাঙ্গালীদের নিকট ‘জুমচাষ’ হিসেবে পরিচিত হয়ে উঠে। শরৎকালে পাহাড়ে জুমের ধান পাকতে শুরু হয়।

শরতের ¯িœগ্ধ হাওয়ায় দোলা দেয় পাহাড়ে পাকা ধানের শীষ। ধান, মরিচ, আদা, হলুদ, তুলা, ভূট্টা, সিনার, মার্ফা,সীম ইত্যাদি ফসল উৎপন্ন হয় জুম চাষে। ফসল তোলার সময় শুরু হলে আনন্দের স্রোত বয়ে যায় এসব আদিবাসী পরিবারের সদস্যদের মাঝে। পাকা ধানের সৌন্দর্য্যে অমলিন দৃশ্য ফুটে উঠেছে উপজেলার পাহাড়ী এলাকা জুড়ে। একেকটি পাহাড়ে যেন একেকটি পরিবারের প্রতিচ্ছবি ফুটে উঠেছে।

আর এসব ভরা মৌসুমকে কাজে লাগিয়ে আদিবাসী পরিবারগুলো বেঁচে থাকার তাগিদে ঘুরে দাঁড়াবার স্বপ্ন দেখে। সারা বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় জুম চাষে ফসলের ক্ষতিকর কোনো প্রভাব পড়েনি বলে জানান জুমচাষীরা। উপজেলার তেলখোলা, মোচারখোলা, আমতলি পাহাড়ি এলাকা ঘুরে দেখা গেছে আদিবাসীরা বর্তমানে জুমের ফসল তুলতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে। তেলখোলা গ্রামের ছবিন্যা চাকমা জানান, এ বছর জুম মৌসুমে আবহাওয়া ভাল ছিল। জুমে ধানসহ অন্যান্য ফসলের ক্ষতি হয়নি।

তবে এখনো অনেক জুমে ধান আধা পাকা রয়ে গেছে বলে জানালেন তিনি। পাহাড়ে জুমচাষ এলাকা ঘুরে দেখা যায়, সোনালী ফসলে রাঙিয়ে উঠেছে সবুজ পাহাড়। জুম চাষের মনোরম পরিবেশে পাহাড়ের গায়ে সুরম্য একটি ছোট্ট ঘরও তৈরী করা হয়। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.