আসেন দুর্নীতি করি। আর এই দুনিয়াটাকেই খুচাই! ভাই আগে একখান কথা কই!গরীবের জন্য একটা রেভুলেশন হইতে পারে!
আমার পোস্টে সব আকামের জিনিস, আসেন ব্লগ পইড়া আমরা একটা কামের জিনিস শিখি!
১) একখান কোকের খালি বোতল নেই। তারপর সেইখানে ফিল্টার পানি রাখি। পানি জানি বিশুদ্ধ হয়!
২) তারপর পানিতে দুই তিন চামচ ক্লোরিন বা ব্লিচিং পাউডার দিয়া বোতলের মাথা ভালো কইরা আটকাই দেই এবং পারলে সীল কইরা দেই!
৩) একটা বস্তির বাসা সিলেক্ট করেন যেইখানে কারেন্ট থাকে না। ঐখানে ঐ বস্তির ছাদে টিনের মাঝে অর্ধেক বাইরে আর অর্ধেক ভিতরে রাইখা লাগাই দেন আর ঘরের ভিতরের অংশ ডাইকা রাখেন কিছু দিয়া।
অখন যখন দরকার হইবো ঐ ঢাকনা সরায় দেন, দেখেন কত সুন্দর আলো জ্বলতাছে!আমরা এইখানে পরিস্কার পানি দিবো এই জন্য যে আলোটা খুব সুন্দর ভাবে ছড়ায় চারিদিকে। এরকম কইরা তিনচারটা বোতল ঘরের টিনের চালে ঝুলায় রাখলে দেখবে ৫৫ ওয়াটের বাত্তির মতো উজ্জবলতা পাইবেন! এটা জ্যোৎস্না রাইতে কাজে লাগতে পারে যদিও টেস্ট করা হয় নাই।
আমাগো দেশ খুব গরীব গ্রামে গন্জ্ঞে অনেক মানুষ বিদ্যূৎ পায় না অন্ধকারে থাকে। আসেন আমরা সবাই এইভাবে খুব অল্প খরচে যদি গরীবদের এটা শিখিয়ে দেই তাহলে তাদের আর অন্ধকারে থাকতে হবে না! ফিলিপিন্সে এটা ওরা করেছে এই লিংকে কিলকাইতে পারেন। আসুন আমরা অন্ধকার দূর করি!বিজ্ঞানকে আমরা এভাবেই কাজে লাগাই! বিজ্ঞানের জয় হোক!
প্রতিদিন সকালে উইঠা একবার ভাবি রুম খানা গুছামু, রুম ভর্তি আজব জিনিসে ভরা! পুরা রুমে মোট ১৩ টা বিভিন্ন বোতল আর ক্যান।
রাইতে কাম থিকা ফিরা আসনের সময় ক্যান হাতে নিয়া আসি। ঘরে আইসা ক্যান খালি কইরা ফ্লোরে রাইখা দেই! রুমে সোফার উপর আমার তিনখানা প্যান্ট ল্যাপ্টায় আছে, কয়েকটা টি শার্ট আর গেন্জ্ঞী ভচকাই আছে, দরজার দুই কপাটের উপর তিনখান জাঙ্গিয়া ওড়নার মতো উড়তাছে। আমার বিছানার বেডশীট জাজিমে নীচে পইড়া গেছে, জাজিমের উপরের ম্যাট ফ্লোরে অর্ধে পইড়া রইছে। প্রতিদিন সকালে এইটা হয়, রাইতে জায়গামতো রাইখা শুই, মাগার সকালে উইঠা দেখি আমি জাজিমে এক কুনায়, মাথার বালিশ আরেক কুনা, লেপ চইলা গেছে ফ্লোরে। আমি ঘুমের মধ্যে বিপ্লবী সেনা হইয়া যাই মনে হয়!
যাই হোউক, আমার রুম আর গুছানো হয় না।
মাথায় যেমন ৪ মাস ধইরা চিরুনী লাগাই না তেমনি রুম তিনমাস গুছাই না। সকালে উইঠা তাড়াহুড়া কইরা কাজে যাই কারন কাজে যাওনের ৫ মিনিট আগে ঘুম থিকা উঠি আর ভাবি রাইতে গুছামু নে। মাগার রাইতে আইসা কুকের ক্যান হাতে নিয়া ল্যাপুতে বসলে আর কিছু খেয়াল থাকে না!
গত কয়েকদিন ধইরা আমার শরীর ভালো যাইতেছিলো না। দেশান্তরী হওনের আগে আমি আমার ডান সাইডের উপরের পাটির মাড়ির একখান দাত দাতের মিস্ত্রীর কাছে দিয়া আসছিলাম। আমার নানী শুইনা কইছিলো,"তুই কি পাগল হইছোস? এই বয়সে দাত ফেলাস, তাইলে বুড়া কালে কি ফেলাবি?" আমি হাইসা দিছিলাম, কারন এর উত্তর কইলে নানী জান আমার চৌদ্দগুষ্ঠী জায়গায় উদ্ধার করতো!
তো কিছু দিন আগে বামপাটির উপরের একখান মাড়ির দাত আমারে জানাইলো যে তার এক্সপেয়ার ডেট ঘনাই আইছে।
মাগার কাহিনী এমুন যে ঘুষনা দিয়াই ব্যাথা করা শুরু করছে। ব্যাথার চোটে মনে হইতাছিলো আমার জ্বর আইসা পড়ছে, মাগার যারে কই জ্বর চেক করতে সে একখান হাসি দিয়া কয়,"না সে আসে নাই! আসলে কি ছুটি নিবেন?"
আমি বুঝলাম না তারা কি এইজন্যই বলে না যে আমার জ্বর আসছে বলা হইলেই আমি ছুটি নিবো না নাকি আমার সত্যি জ্বর আসে নাই। এরকম জ্বর আসে নাই আবার আসছে টাইপ কনফিউশন মার্কা ফিলিংস লইয়া বড্ড জ্বালাতন অনুভব করিতেছিলাম। এমনেই আমার দুই গাল ফুইলা নাকি ঢোল হইছে এখন বাম সাইডে ব্যাথার কারনে খালি ডাইন সাইডে ভাত চিবাই ফলে দেখা যাইতেছে ডান সাইড আমরা লাউ গাছের পাকা কুমড়া হইয়া গেছে! এখনই এই কুমড়া কাটিয়া ডুগডুগী বাজাও!
শীত আসিতেছে, আগে একখান জ্যাকেট পড়লেই কিছু অনুভব হইতো না, মাগার কালকা রাইতে দেখলাম আমার জিন্স প্যান্ট মানুষের চোখ আটকাইতে পারলেও বাতাস আটকাইতে পারতাছে না। নীচে বড়ই ঠান্ডা অনুভব করলাম।
উত্তর মেরুতে এই ঠান্ডা নিয়া অনেক কাহিনী। ঢোলা জিন্স পড়লে বেশী ঠান্ডা লাগে, তাই টাইট জিন্স। পরে অবশ্য বাসায় আইসা প্যান্ট চেন্জ্ঞ করনের সময় খেয়াল করলাম আমি জীপার লাগাই নাই। সারা রাস্তা ভইরা আমি আমার পোস্ট অফিস খোলা রাইখা ঘুরছি। এখন কুশ্চেন হইলো এই পোস্ট অফিস খোলা থাকনের কারনেই কি আমার ঠান্ডা লাগছে নাকি প্যান্টের কারনে? এইটা নিয়া একটা গানিতিক মডেল তৈয়ার করতে হবে!
এইখানে শুক্রবার শনিবার আসলে মানুষের মনে ঈদ লাইগা যায়।
আমি যেই টাউন থুক্কু গ্রামে আছি এইখানে হিসাবে দেখা যাইতেছে ৩০,০০০ মানুষের মধ্যে ২০ হাজার মানুষই মাইয়া! রাস্তাঘাটে ঘুইরা এইটা বুঝলাম ২০ হাজার মাইয়ার মধ্যে ৭০ ভাগ মাইয়াই লেসবিয়ান! আর রাইতের বেলা যখন কাজে যাই তখন ঘুইরা ফিরা সেই এক চেহারা। একবার ডিস্কোতে গিয়া নাচতে গিয়া একবার একমাইয়ার নাকে আমার বামকাধের হাড্ডি দিয়া এমুন জোরে বাড়ি মারছিলাম মাইয়াটা ড্যান্সফ্লোরে মাথা ঘুরাইয়া পইড়া যায়। সবাই নাচতাছিলো বইলা কেউ খেয়াল করে নাই। আমিও সাইডে পোল্টি নিছিলাম। তারপর যখন ডিস্কো থিকা ফিরতেছিলাম তখন রাস্তায় ঐ ছেমরী ঠোলারে ডাক দিছিলো এবং এইটা নিয়া নানা কাহিনী হয়।
যাই হোউক, আমি রাইতের বেলা যেইখানে কাম করি সেইখানে এই মাইয়া রেগুলার কাস্টমার। রাইতের বেলা এরা যখন টাল হয় তখন এরা সার্কাসের বান্দর হইয়া যায় আর সকাল হইলে এগো কিছু মনে থাকে না। তো এই ছেরীর ব্রেন ভালা। যখন সে আমাগো এইখানে আসে তখন আমার দিকে এক মিনিট তাকায়, তারপর কিজানি চিন্তা করে। তারপর আমার দিকে তাকায় আর অর্ডার দেয়।
আমি তখন ভাব নিয়া খাড়ায় থাকি। তো একদিন মনে ধরলো যে এই ছেড়ির লগে কথা কমু। তো যখন বাইরে যাইতাছিলো সদলবলে তখন বাইরে গিয়া দেখি আরেকখান মাইয়ার লগে ল্যাপ্টাল্যাপ্টি করতাছে। কি কপাল আমার! এইটাও লেসবো!
এখন আর বাইরে যাইয়া ফটুক তুলতে ভালা লাগে না। আমাগো দেশে শীত আসলে যেমুন সকল পাতা ঝইরা যায় এই দেশে পাতা ঝরে না, পাতা গাছের লগে ল্যাপ্টাই চ্যাগায় থাকে।
স্নো ফল শুরু হইলো গাছের কন্কাল পরিস্কার হয়। এখন হইলো পাতা চ্যাগায় থাকনের প্রক্রিয়া এরা শুরু করছে। সবুজ থিকা এরা ঠান্ডা হাওয়ায় পিঙ্গেল কালার লইতাছে। আগে যেইখানে মনে হইতো পুরো শহরে সবুজের আগুন লাগছে এখন দেখলে মনে হইবো পুরা শহরে লাল আগুন লাগছে। বন সবুজ দেখতেই ভালা লাগে, লাল বন দেখতে ভালা লাগে না!
রাইতের বেলা এখন তাপামাত্রা হয় ৩ থিকা ৪ আর পুরা দিন থাকে ৭ থিকা ৮, আমাগো দেশে ৭-৮ পড়লে উত্তর বঙ্গে টপাটপ মরা শুরু করে আর এইখানে সব হাফপ্যান্ট পইড়া ঘুরে।
মাঝে মাঝে জিগাইতে মন চায়, ভাইডি থুক্কু বোইনডি, কুন দুকানের চাল খান, একটু কন। তাইলে আমিও খাই আর এই ঠান্ডার মধ্যে আমিও হাফপ্যান্ট পড়ি! ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।