আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

“ইংল্যান্ড ও ইউনাইটেড কিংডম” - পার্ট ১

১ একেবারেই অনিয়মিত একজন ব্লগার বলা যায়, আমাকে। ব্লগ এখন পড়িও খুব কম আর লিখা তো একেবারেই বন্ধ না লিখা বা পড়ার অন্যতম প্রাধান কারণ হল অলসতা দুই সময় না পাওয়া। আর আমার একটা অষুধ নিতে হয় প্রতি দিন সেটা না নিলে ঘুম বা অন্য কোন কাজই ঠিক মত করতে পারি না মনে হয় কি যেন হয় নাই হয় নাই এমন সেটা আমার অনেক সময় নিয়ে নেও, তবে ঐটাকে অষুধ না বলে এক ধরনের থেরাপিও বলা চলে, সেটা হল সিনেমা দেখা, প্রতিদিন সিনেমা না দেখলে ভালই লাগে না অসস্থি লাগে। যাইহোক, অনেক দিন ধরেই একটা জিনিস নিয়ে ভাবছি যে এই বিষয়ে কোন একদিন লিখতে হবে আর এককালিন এত লিখতেও পারব না তাই একটু একটু করে অন্তত আগাতে হবে না হলে পরে লিখাই হবে না অথবা সব ভুলে যাব, আর লিখার আমার শখ বা ইচ্ছা আছে তাহলে লিখি না কেন? বিজ্ঞান আর টেকনোলজির (প্রাউড টু বি এ সাইন্স এন্ড টেকনোলজি’স স্টুডেন্ট) অবদানে এখন সবাই লিখতে পারে সবাই নিজের কথা সবাইকে জানাতে পারে খুব সহজেই তাহলে কেন এত অলসতা? তাই একটু অলসতা ভেঙ্গে লিখা শুরু করে দিলাম, খারাপ হইলে কিছু মনে নিয়েন না। এইবার চিন্তা শেষ আপনারা এতক্ষন মনে মনে যে ভাবতেছিলেন ভুমিকা শেষ করে কবে লিখা শুরু করব ঐটা এখন শুরু হয়ে গেল কিছুদিন ধরেই একটা জিনিস ভাবতেছি যে এই বিষয়ে সবাইকে জানাতে পারলে ভাল হয়, সেটা কি? সেটাই হল “ইংল্যান্ড ও ইউনাইটেড কিংডম” আমি আসলে তেমন গবেষনাধর্মী লিখা লিখব না আমি আসলে আমার ছোট জ্ঞান থেকে কিছু অভিজ্ঞতা শেয়ার করব।

ধাপে ধাপে সব বিষয় নিয়ে একটু আকটু বলব আর সব বিষয় নিয়ে একসাথে বলতে গেলে উপন্যাস বা বিশাল গবেশনার বই লিখতে হবে তাই পার্ট পার্ট করে প্রকাশ করব সবার আগ্রহ থাকলেই ব্যাস আর কি লাগে “মিস্টার আমিন উইল রাইট কন্টিনিউয়াস্লি :পি ” আচ্ছা আজকে কি নিয়ে লিখব (সত্যিই দুই মিনিটের মত ভাবলাম)??? পাইসি,,, ইংল্যান্ডে ঢুকতেই প্রথমে যেই বিষয় খেয়াল করেছিলাম সেটা নিয়েই লিখি তারপর আস্তে আস্তে অন্যান্য বিষয় নিয়ে পরের কিস্তিতে শুরু করব আশা করি, সেটা হল ‘রাস্তা’। আর আপনারা দয়া করে আমাকে বিষয় জানাবেন কোন বিষয়ে জানতে আগ্রহ বা বাংলাদেশে এইটা তো এইরকম ইংল্যান্ডে কেমনে কি? আমি অবশ্যই লিখব যেমন ধরেনঃ- পুলিশ, হাস্পাতাল, ট্রান্সপোর্ট, পাব-বার, নারী, বেশ্যা (প্রস্টিটিঊট লিখলে ভাল দেখায় না??? না লিখুম না, বাংলা লিখুম যে কোন বিষয় দিয়ে সাহায্য করলে খুব উপকৃত হব। ইউনাইটেড কিংডম, রাস্তাঃ ইংল্যান্ডে এসেছি আজ প্রায় ২ বছরেরও বেশি হয়ে গেছে, ২০০৯ সালের সামারে ইংল্যান্ডে এসেছিলাম তারপর থেকেই এই দেশ নিয়ে এত জেলাস বলার বাহিরে এবং লাকিও বটে, আমার দেশ এমন যদি হত বা কবে হবে? আস্তে আস্তে আপনারাও জেলাস হয়ে এই লাইন্টাই আমাকে কমেন্টে লিখবে আমি শিঊর ‘I am so jealous about you and UK , why Bangladesh isn’t like that or when it would be like that? ‘ এসেছিলাম হিত্রো টার্মিনাল থ্রি এট ‘ইউনিভার্সিটি অব ওয়েস্ট লন্ডন’ এস আ স্টুডেন্ট অব কম্পিউটার সায়েন্স। তারপর এয়ারপোর্ট থেকে বেরিয়ে এলাম এক আংকেলের সাথে সে আমার এক আংকেলের (কাজ করে জিয়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে) কলিগ সে প্রধানমন্ত্রীর এক লাগেজ পৌছাতে লন্ডন এসেছেন, লন্ডন থেকে অন্য একজন সেটা জেনেভা নিয়ে যাবেন। আমার ঐ আংকেল আসার সময় তার সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন তাই এসেছিলাম পুরা ১০০% ভিয়াইপি ভাবে এমনকি আমার আর আংকেলের খাবারও ভিন্ন ছিল আমাদের আসার সময় চেক-টেক ও কম করত যাইহোক মুল বিষয়ে আসি।

আংকেলের সাথে বাইরে অপেক্ষা করছিলাম তারপর তার বন্ধু তাকে রিসিভ করতে এসেছেন তার ফোন থেকে আমার বোন আর দুলাভাইকে ফোন দিলাম যে, তারা কোথায় আছে। তারপর তাদের সাথে দেখা হল, ট্যাক্সি করে বাসাই আসছি হিত্রো Heathrow থেকে Reading (রেডিং নট রিডিং) ২০-৩০ মিনিটের রাস্তা বাই রোড, ট্রেনে আরো কম সময় লাগে। তারপর যেই ট্যাক্সিতে উঠেছিলাম সেটা ছিল বি-এম-ডাব্লিঊ আসে পাশে সব গাড়িই এমন ট্যাক্সি তো বি-এম-ডাব্লিঊ, মারসিডিস, আউডি ছাড়া পাবেনই না তারপর ট্যাক্সিতে বসে একটা জিনিস দেখতেছি সেটা হইল ভাই ‘রাস্তা’ এই রাস্তায় ঘুমাই থাক্লেও শান্তি রে ভাই সুপার স্মুদ রাস্তা এত সুন্দর রাস্তা পুরা বাংলাদেশের কোথাও নাই এত জটিল মার্কিং, অসাধারণ। তারপর আমি খুজতেছি একটা জিনিস সেটা খুজে পাচ্ছি না আর ভাবতে লাগলাম কিরে ভাই ইংল্যান্ড এত উন্নত দেশ এইখানে এই জিনিস ছাড়া কেম্নে চলে শালারা??? সেটা কি? সেটা হল “ট্রাফিক ম্যান” রাস্তায় কোন ট্রাফিক ম্যান নাই পুরা ইংল্যান্ডে কোথাও নাই। অটোমেটিক ভাবে সিগনাল অনুযায়ী গাড়ি চলে ‘রেড সিগনালে গাড়ি জীবনেও চলব না, একেবারে স্টপ নাইলে মামার খবর আছে গাড়ি নিয়া বাসায় যাওয়ার আগে ঘরে চিডি আইয়্যা পড়ব হাহাহাহা (ফাইন দেও এইবার যেই ফাইনরে বাপ, সেই টাকা দিয়া আরেকটা গাড়ি কিনা সম্ভব ১০০০০০% সত্য বলতেছি কথার কথা না, ফাইন-টাইন অনেক এটা অন্য কিস্তিতে জানাবো) তারপর হল ট্রাফিক সিগনাল সিস্টেম, এটা আরেক অসাধারণ সিস্টেম।

আর রাস্তা তো বল্লামই ঘুমাইলেও শান্তি। এইবার হাটতে কেমন জানাই, যখন আপনি রাস্তায় হাটবেন তখন আপনে হল বস কারণ মানুষের কারনে যে কোন সময় যে কোন যে কোন জায়গায় থেমে যেতে বাধ্য তবে বাধ্য হতে হয় না এখানকার সব মানুষ ভাল এলাকা ভিত্তিক রাস্থায় গাড়িওয়ালা সবসময় হাত দিয়ে আপনাকে আগে যেতে বলবে সবসময়, কিন্তু বাংলাদেশে সেটার উলটা। তারপর পেলিকন ক্রসিং আছে যেখানে পেডেস্ট্রেইন সবসময় আগে ইভেন সেটা যে কোন জায়গায়ই হোক না কেন, বাংলাদেশ সড়ক ও জনপদের আইন অনুযায়ীও ঠিক তাই কিন্তু কেঊ মানে না আর বিডির ট্রাফিকের কথা আমার চেয়ে আপনারা এখন ভাল বলতে পারবেন। এইবার বলি আসল ব্যাপার এইখানে কোন ফুট অভার ব্রীজ নেই এমনকি সো বিজি এন্ড ক্যাপিটাল সিটি লন্ডনেও নেই। ফুট অভার ব্রীজ আছে শুধু রেইল স্টেইশনে (ইংল্যান্ডের রেইল লাইনে কখনো নামা যায় না বা হাটা যায় না, ডিটেইলস এটা অন্য কিস্তিতে :পি) এবং কিছু হাই ওয়ে তে।

রাস্তার ব্যাপারে আরেকটা জিনিস হল মার্কিং, খুব সুন্দর মার্কিং সবসময় নতুন একটু পুরানো বা মুছে গেলেই আবার রং কইর‌্যা দিব রোড এক্সিডেন্ট খুব কম হয় বলা যায় হয়ই না কিন্তু ২-৫ বছরের সারভে টারভে করতে গেলে নাম্বার একটু বেশি হয় কিন্তু কম্প্যায়ার ইউদ বাংলাদেশ - ‘ইংল্যান্ডে রোড এক্সিডেন্ট নামে কিছু নেই’। পাবলিক ট্রান্সপোর্ট বাস,ট্যাক্সির জন্য আলাদা লেইন থাকে বেশির ভাগ রাস্তায় অন্যান্য প্রাইভেট গাড়ি এই লেইনে চলে না চল্লে মামা ঐ যে বল্লাম ঘরে চিডি মনে আছে??? হাহাহাহা... যাইহোক মনে হয় অল্প কথায় রাস্তার কিছু হলেও কনসেপ্ট দিতে পেরেছি। এমনিতেই বড় হয়ে গেছে অনেক আরো বড় হলে অনেকের পড়ার আগ্রহ পায় না, আমি নিজেই পাই না মাঝে মাঝে :পি। তবুও আরো কিছু জানার থাকলে জানাইয়েন। এক নজরে রাস্তাঃ- ১) ট্রাফিক ম্যান নাই।

২) রোড মার্কিং সবসময় নতুন থাকবে। ৩) রাস্তায় ফুট ওভার ব্রীজ নাই, নিচে দিয়ে মানুষ পারাপার হয় পারাপারের জন্য বাটন থাকে ঐটা চাপ্লেই গাড়ি থেমে যাবে। ৪) পেডেস্ট্রেইন সবসময় ফার্স্ট, গাড়ি সব থাইম্যা যাইব কিন্তু মনে মনে গালি দিতে পারে কেউ কেউ :পি :পি। তাছাড়া আর কিছু কিভাবে কি জানার থাকলে রিপ্লাই দেয়ার চেষ্টা করব, আর দেখি লিখা চালাইয়া যেতে পারি কিনা। দোয়া করবেন আর কেমন লাগল জানাইয়েন মিয়া, কমেন্ট আর একটা প্লাস দিয়া দিবেন এমম কইরেন না আমরা আমরাই তো  প্রুফ রিডিং করি নাই বানান ভুল হইলে সরি অলস একটু আমি বুঝেন একটু ভাই  সবাই ভাল থাকবেন।

শুভ আমিন ১৭.০৯.২০১১ আল্লাহ হাফেজ। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।