ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড বিশ্ববিখ্যাত ইংরেজ ফুটবল ক্লাব। এদের নিজস্ব মাঠ ওল্ড ট্র্যাফোর্ড ফুটবল গ্রাউন্ড, ট্র্যাফোর্ড, গ্রেটার ম্যানচেস্টারে অবস্থিত। সারা বিশ্বের জনপ্রিয় ফুটবল দলগুলোর মধ্যে এটিও অন্যতম। ক্লাবটির বাৎসরিক আয় প্রায় ৪ হাজার ৫৭ কোটি টাকা। এদের সমর্থকের সংখ্যা সারা বিশ্বে প্রায় ৩৩০ মিলিয়নেরও অধিক যা পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার ৫%।
১৯৬৪-৬৫ মৌসুম থেকে কেবল ছয়টি মৌসুম ছাড়া ইংরেজ ফুটবলের ইতিহাসে এই ক্লাবের গড় দর্শকের সংখ্যা অন্য যে কোনো ক্লাবের চেয়ে বেশি। ২০০৮-০৯ প্রিমিয়ার লিগ ও ২০০৮ ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ জিতে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড বর্তমান প্রিমিয়ার লিগ এবং ক্লাব বিশ্বকাপ শিরোপাধারী। ইংরেজ ফুটবলের ইতিহাসে সফলতম দলগুলোর মধ্যে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড অন্যতম। ১৯৮৬ সালের নভেম্বর মাসে আলেঙ্ ফার্গুসন ম্যানেজারের পদে আসীন হওয়ার পর থেকে বিশ বছরের অধিক সময়ে তারা ২২টি প্রধান শিরোপা জিতেছে, যা প্রিমিয়ার লিগের অন্য যে কোনো দলের চেয়ে বেশি। তারা প্রিমিয়ার লিগ জিতেছে সর্বোচ্চ ২০ বার, যা লিভারপুলের ১৮টি শিরোপা থেকেও বেশি।
১৯৬৮ সালে বেনফিকাকে ৪-১ ব্যবধানে হারিয়ে প্রথম ইংরেজ দল হিসেবে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ইউরোপিয়ান কাপ জিতে। তাদের দ্বিতীয় ইউরোপিয়ান কাপ আসে ১৯৯৯ সালে এবং তৃতীয় চ্যাম্পিয়ন্স লিগ তারা জিতে ২০০৮ সালে। এ ছাড়া তারা রেকর্ড ১১ বার এফএ কাপ জিতেছে। ১৯৯০ দশকের শেষভাগ থেকে ক্লাবটি যে কোনো ফুটবল ক্লাবের চেয়ে বেশি অর্থ আয় করে বিশ্বের অন্যতম ধনী ক্লাব হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এছাড়া ক্লাবটি প্রকৃত আয়ের ভিত্তিতে বিশ্বের লাভজনক ক্লাব হিসেবে নিজের অবস্থান অক্ষুণ্ন রেখেছে।
শুধু লাভজনক নয় খেলোয়াড়দের সুযোগ সুবিধার দিক দিয়েও অন্যান্য ক্লাবের চেয়ে এগিয়ে আছে এ ক্লাবটি। শুরুতে ক্লাবটি ১৮৭৮ সালে নিউটন হিথ এলওয়াইআর এফসি নামে প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯০২ সালে প্রায় দেউলিয়া হয়ে যাওয়ার পথে ক্লাবটি কিনে নেন জন হেনরি ডেভিস, যিনি এর নাম পরিবর্তন করে রাখেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ফুটবল ক্লাব। আর সেই ক্লাবই এখন বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে জানান দিচ্ছে তাদের গৌরব ও ঐতিহ্যের ইতিহাস।
এক নজরে আয়
টিকিট : ১২৫০ কোটি ৩০ লাখ টাকা
সম্প্রচার স্বত্ব : ১৩১৭ কোটি টাকা
বিজ্ঞাপন : ১৪৯০ কোটি টাকা * [২০১১-১২]
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।