অ্যাশেজ সিরিজে ৫-০ ব্যবধানে জেতা এখন শুধু সময়ের ব্যাপার । দ্বিতীয় দিন শেষেই জয়টা হাতের মুঠোয় চলে এসেছে অস্ট্রেলিয়ার। প্রথম ইনিংসে ক্লার্কর্দের ৩২৬ রানের পর ব্যাট করতে নেমে ১৫৫ রানেই অলআউট ইংল্যান্ড। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ৪ উইকেটে ১৪০ রান করেছে অস্ট্রেলিয়া। ইতোমধ্যে লিড হয়ে গেছে ৩১১ রান, হাতে রয়েছে আরও ছয় উইকেট।
এখনো খেলার বাকি আছে আরও তিন দিন। তাই ইংলিশদের পরাজয়টা শুধু সময়ের ব্যাপার মাত্র। কেননা সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে তিন শতাধিক রান চেজ করে জয়ের রেকর্ড নেই। সর্বোচ্চ রান চেজ করে জয়ের রেকর্ডটি ২৮৭ রানের। তাই এবারের অ্যাশেজে হোয়াইটওয়াশ হতে চলেছে ইংল্যান্ড।
সিডনিতে জনসন-হ্যারিসদের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি ইংলিশ ব্যাটসম্যানরা। ১৯ রানেই টপ অর্ডারের পাঁচ ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে মহাবিপর্যয়ে পড়ে যায় অ্যালিস্টার কুকের দল। স্টোকসের ৪৭ ও ব্রডের ৩০ রানে ভর করে তবু স্কোরটা ১৫৫ হয়েছে। তিনটি করে উইকেট নিয়েছেন মিচেল জনসন, রায়ান হ্যারিস ও পিটার সিডল। চলতি অ্যাশেজে জনসনের মোট উইকেট হলো ৩৪টি।
দ্বিতীয় ইনিংসে অস্ট্রেলিয়া ব্যাট করতে নেমে রজার্সের হাফ সেঞ্চুরিতে ১৪০ রান করে। চার উইকেটের পতন ঘটলেও ওপেনার রজার্স ৭৩ রান করে অপরাজিত রয়েছেন।
কাল সিডনি টেস্টের দ্বিতীয় দিনটি ছিল রেকর্ডময় একদিন। টেস্টের ইতিহাসে সপ্তমবারের শীর্ষ পাঁচ ইংলিশ ব্যাটসম্যানের কেউ-ই দুই অঙ্কের কোটায় পৌঁছাতে পারেনি। ২০০৯ সালে কিংস্টনের স্যাবাইনা পার্কে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ইংল্যান্ড অবশ্য এর চেয়েও বড় লজ্জায় পড়েছিল।
শীর্ষ পাঁচ ব্যাটসম্যানের মোট রান ছিল ১৫। এ ম্যাচে তবুও পাঁচ ব্যাটসম্যানের রানের যোগফল ১৯।
২৩/৫_টেস্টে গত ১০০ বছরে সিডনিতে ইংল্যান্ডের স্কোর বোর্ডে এমন করুণ অবস্থা দেখা যায়নি। যদিও এই ভেন্যুতে মাত্র ১৩ রানেই পাঁচ পতনের ঘটনাও আছে ইংলিশদের। কিন্তু সেটা তো ১৮৮৭ সালের কথা।
গ্যারি ব্যালান্সের ক্যাচটি লুফে নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার উইকেটরক্ষক ব্রাড হাডিনও রেকর্ডের খাতায় জায়গা করে নিয়েছেন। তৃতীয় উইকেটরক্ষক হিসেবে এক সিরিজে ব্যাট হাতে চার শতাধিক রান এবং উইকেটের পেছনে দাঁড়িয়ে ২০এর অধিক ক্যাচ নেওয়ার কৃতিত্ব দেখালেন হাডিন। এর আগে এই কৃতিত্ব রয়েছে শুধু অ্যালেক স্টুয়ার্ট এবং ডেনিস লিন্ডসের। ১৯৯৮ সালে স্টুয়ার্ট দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে সিরিজে ৪৬৫ রান এবং ২৩টি ক্যাচ নিয়েছিলেন। প্রোটিয়া উইকেটরক্ষক ডেনিস লিন্ডসে ১৯৬৬ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ৬০৬ রান এবং ২৪টি ক্যাচ নিয়েছিলেন।
রেকর্ডবুকে জায়গা করে নিয়েছেন অসি ওপেনার ক্রিস রজার্সও। মার্ক টেলরের পর প্রথম অসি ওপেনার হিসেবে টানা পঞ্চম ম্যাচে তিনি ৫০এর অধিক রান করার কৃতিত্ব দেখান। টেলর ১৯৯৫ সালে একবার এমন কৃতিত্ব দেখিয়েছিলেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।