আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কিযে বিপদে পড়লাম

চমৎকার হাস্সোজ্জল সূর্যের সকালে ঘুম থেকে উঠে ভেবেছিলাম দিনটা মনে হয় ভালই যাবে। কিন্তু দিনের সময় যত বাড়তে লাগল সূর্যের মিষ্টি হাসিটা বিকট অট্রহাসিতে চারদিকে ফেটে পরতে লাগল। সে এমনই হাসি শরীরের সকল ঘাম তাকে থামাতে ব্যর্থ । যা হোক আসল কথাতে আসি, সদ্য অনার্স শেষ করেছি। তাই চাকুরী নামের সোনার (নাকি ইউরোনিয়াম!) হরিনের দর্শন করার জন্য আজ একটু দৌরাদৌরী শুরু করলাম।

সে এমন দৌড় যা ম্যারথনকেউ হার মানায়। সকাল ১০ থেকে বিকাল ৩.০০ টা ! প্রথমে ব্যাংক ড্রাফট তারপর ফরম পুরুন করে ও সকল শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ, চারিত্রিক সনদ, নাগরিক সনদ ( এগুলো আবার প্রথম শ্রেনীর গেজেটেড কর্মকর্তা প্রদত্ত সীল মারাকৃত হতে হবে) নিয়ে গেলাম ঢাকা নামক চিড়িয়াখানায়। সে কি অবস্থা ! একবার বাসে ওঠ, আরেকবার নামো। জমা দিতে গিয়ে একবার ঐ টেবিলে আরেকবার ঐ টেবিলে। একবার এটা ভুল আরেকবার ওটা ভুল।

একদিকে এক বুড়া চাচা তাকে অনিচ্ছঅকৃত ধাক্কা দেয়ার চরম অপরাধে আমাকে এবং আমাদের জেনারেশনকে মুটামুটি তুলোধনা করছেণ। আরেক মহিলা করুন আবেদন করছেন তাকে একটু সাহায্য করতে। ওদিকে ঘামের সাগরে ডুবসাতাঁর খেলছি। ইতিমধ্যে প্রিয় গলা ও বুক কান্নাকাটি করছে আরেকট পেপসি খাওয়ার জন্য। এদিকে আবার মাথা সাহেব টেনশনের ভেঁপু বাজাচ্ছে ভার্সিটির বাস আবার না চলে যায়।

অবশেষে ফর্ম জমা দিয়ে ক্যাম্পাসে ফেরার সময় ভাবছিলাম এত কেবল শুরু, সামনে পরীক্ষা, পাশ করলে ভাইভা এরপর মামা, খালুর জোর। আজকে বুঝলাম এই দেশে চাকুরী পাওয়াটা কেন হাতে আকাশে চাঁদ পাওয়ার মত। সামনে আরও কত কি যে ঝামেলা আছ কে জানে। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.