সুখের দিনে তোমার কথা ভাবি....দুখের সাথে একলা রয়ে যাই....
আমারে ব্লগে কেউ পাত্তা দেয়না। পাত্তা দেওনের কোন কারনও নাই। আমি কিছু লেখিনা, খালি পড়ি আর মন্তব্য করি। যাই হোক আমার ব্লগে আগমন হইছিল বন্ধু 'আনুমানের' প্ররোচনায়। ভালই লাগছিল বাংলা ব্লগ দেইখ্যা।
ভাবছিলাম অনেক মনের কথা লেখুম। উত্সাহ হারাইয়া ফেললাম দুইদিনেই। দেখলাম ব্লগ ভইরা খালি রাজাকারের পায়ুমন্থন। (ঠিকই আছে তবে একটানা আর কতক্ষন ভাল লাগে?)। ভাবছিলাম ব্লগটা বাঙ্গালীগো লেইগা।
পরে বোঝলাম ইহা বাংলাদেশীগো লেইগা। ব্লগে কয়েকটা গুরুপের অস্তিত্ব লক্ষ করলাম, তারা খালি নিজেগো মধ্যেই কমেন্ট করে। অন্য কেহ স্বাগতম ছাড়া কিছু লাভ করেনা। আনুমান কয়দিন খুব গল্প লেখল কিন্তু শেষে বোঝতে পারল যে এইখানে বাংলাদেশ সম্পর্কে না লেখলে দৃষ্টি আকর্ষণ করার সম্ভাবনা নাই। উনি এখন ক্ষান্ত দিয়াছেন।
বন্ধু অনুমান একদিন লেখল " ব্লগটা বড় বেশী বাংলাদেশী, এখনও আন্তর্জাতিক হয়ে উঠতে পারেনি" । একদম হক্কের কথা। বাংলাদেশে ১৫কোটি মানুষ আর পশ্চিমবঙ্গে ৮ কোটি, তারা বাংলাভাষায় কথা কয় তাই ১৫কোটির সাথে এই ৮কোটির চিন্তাও করা দরকার। বাংলাভাষা ছড়ানোর কাজে খালি বাংলাদেশেরে চিন্তা করলে হইবোনা। এখন আপনারা কইতে পারেন, তোমাগো চিন্তা তোমরা কর।
যদি তাই কন তবে ব্লগ ছাইড়া চইল্যা যাই।
এই কয়দিনে বোঝলাম ব্লগে কয়েকপ্রকার ব্লগার শ্রেণী আছে :
১) যারা খুব বেশী বুইঝ্যা গেছে।
২) যারা বোঝবার চেষ্টা করতে আছে।
৩) যারা কিছুই বোঝেনা।
৪) যারা না বুইঝ্যাও বোঝবার ভাব দেখায়।
৫) কেউ কেউ আছেন সত্যি সত্যি ভাল বোঝে এবং ভাল লেখে।
৬) আর আছি আমি, কিছুই পারিনা।
(কাহারও নাম বলিলাম না, গালাগালি খওয়ার সম্ভাবনা আছে)
আর এক শ্রেণী আছে এরা সৃষ্টিকর্তা শ্রেণী। এরা বুইঝ্যাও সরকার দ্বারা পায়ুমন্থিত হওয়ার ভয়ে মাঝে মাঝেই পায়ুদ্বারে এবং পায়ুমন্থনযন্ত্রে মলম লাগানোর চেষ্টা করিয়া থাকে।
যাই হোক আপনেরা লেইখ্যা যান আর আমরা আপনাগো লেখা পইড়া হাসাহাসি করি।
আমার ৬ নাম্বার পেগ বানায় ফেলছে, খাইয়া আসি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।