যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন বলেছেন, দেশের মহাসড়কগুলো এখন গাড়ি চলাচলের উপযোগী। রোদ ও বৃষ্টির ফাঁকে ফাঁকে সংস্কারকাজ চলছে। ওই সব জায়গায় আগামী তিন বছর আর কোনো সমস্যা হবে না।
যোগাযোগমন্ত্রী গতকাল শুক্রবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে গাজীপুরের ভাওয়াল জাতীয় উদ্যানের চম্পা গেস্ট হাউসে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। এর আগে মন্ত্রী গাজীপুরের ভোগড়া বাইপাস থেকে রাজেন্দ্রপুর পর্যন্ত ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের চলমান সংস্কারকাজ পরিদর্শন করেন।
মহাসড়কগুলোর সংস্কারকাজের ব্যাপারে যোগাযোগমন্ত্রী বলেন, ‘আমি যতটুকু আশা করেছিলাম, সেই গতিতে কাজের অগ্রগতি হয়েছে। কাজের অগ্রগতি দেখে আমি পুরোপুরি সন্তুষ্ট। ’
যোগাযোগমন্ত্রী বলেন, ঢাকা-ময়মনসিংহ ছাড়াও ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে সংস্কারকাজ হচ্ছে। তবে রাস্তা ঠিক রাখতে হলে রাস্তার পাশের পানিনিষ্কাশন-ব্যবস্থার স্থায়ী সমাধান করতে হবে। অনেক কারখানা ও বাড়ির নিষ্কাশনব্যবস্থা না থাকায় তাদের তরল বর্জ্য মহাসড়কে পড়ে এবং রাস্তা দ্রুত নষ্ট হয়ে যায়।
শিল্পকারখানার বর্জ্য মহাসড়কে ফেলা বন্ধ করতে হবে। এ জন্য আন্তমন্ত্রণালয়ের বৈঠকে কথা বলে সমস্যা সমাধানে সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে।
আবুল হোসেন বলেন, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক চার লেন করতে ময়মনসিংহের অংশে কাজ চলছে। তবে গাজীপুরের অংশে ইন্ট্রাকো নামের বাংলাদেশি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ভুয়া কাগজপত্র দাখিল করায় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কিন্তু তারা আদালতে রিট করলে আদালত তিন মাস স্থগিতাদেশ দেওয়ায় কাজ শুরু করা যাচ্ছে না।
ওই দরপত্র বাতিল করে প্রতারণার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যদি আগের দরপত্রের বৈধতা থাকে তবে সে সময়কার দ্বিতীয় সর্বনিম্ন দরদাতাকে বা নতুন করে ওই কাজের দরপত্র আহ্বান করা হবে।
মহাসড়ক পরিদর্শনের সময় যোগাযোগমন্ত্রীর সঙ্গে সওজের ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী আবদুল কুদ্দুস, ঢাকা অঞ্চলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী শাহাবুদ্দিন খান, গাজীপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী শেখ সফিকুল আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।