স্বাগতম খিচুরী খাওয়া
বিভিন্ন ছুটিছাটায় প্রবাসী গিন্নীরা এখানে হাতপা ঘুটিয়ে নিজেরাও আমাদের মতো ছুটি চায়। তাই বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই আমরা হোটেল থেকে খাবার আনিয়ে খাই। তবে মাঝে মধ্যে আমরা ভাইরা সবাই মিলে গিন্নীদের চ্যালেঞ্জ দিয়ে দিই। যেমন এই কিছুদিন আগেই আমরা খিচুরী আর গোরুর মাংস রান্না করার চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলাম।
দূরে বাহরাইন কজওয়ে
সেই মোতাবেক এক বৃহষ্পতিবার বাজার করে ফেললাম।
এদেশে সুন্নী সৌদিরা সাধারণত গরুর মাংস খায়না তাই ৩৫ কিঃমিঃ দূরে গিয়ে শিয়া অধ্যুষিত আল-কাতিফ থেকে তাজা গরুর মাংস কিনে নিলাম। অবশ্য এখানেও গোরুর মাংস পাওয়া যায় কিন্তু দু একদিন আগের কাটা! আর যাইহোক ফ্রোজেন মাংসের চেয়ে তাজা মাংস বেশী সুস্বাদু হবে আর আমাদের দেখাতে হবে আমরাও কম জানিনা!
পরদিন শুক্রবার দুপুরে আরব সাগরের তীরে নয়নাভিরাম কর্ণিশে গিয়ে জায়গা নিলাম। সুন্দর খেজুর বাগান আর মাটি কেটে খালের মতো পানি নিয়ে এসেছে সেখানে,দুরে সৌদি- বাহরাইন কজওয়ে আর আর সমুদ্রের নির্মল হাওয়া সব মিলিয়ে দারুন পরিবেশ।
ছেলে মেয়েরা গাড়ী থেকে নেমেই দৌড়ে খেজুরবাগানে গিয়ে খেজুর পেড়ে খেতে শুরু করলো।
ছেলেরা ক্রিকেট খেলায় মেতে উঠলো।
ভাবীরা চিরাচরিত গল্পে মেতে উঠলো।
আর আমরা সঙ্গে নিয়ে আসা হাড়িপাতিল ধুয়ে মুছে খিচুরী রান্না শুরু করলাম। আর আগুন জ্বালানোর জন্য খেজুর গাছের শুকনো দালপালা নিয়ে এলাম। কেউ কেউ সবজী কেটে সালাদ বানাতে বসলেন।
প্রচন্ড রোদের মধ্যে দ্রুত মাংস আর খিচুরী রেধে ভাবীদের হাতে পরিবেশনের জন্য দিয়ে দিলাম।
বলতে ভাল লাগছে আমাদের রান্না খেয়ে সবাই তৃপ্তির ঢেকুর উঠালো। কিন্তু আমরা জানি বেশী মজা লাগার কারন ছিল ফ্রেস মাংস আর গ্যাস বিহীন প্রাকৃতিক জ্বালানীর রান্না।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।