আমি চাই শক্তিশালী স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ
ভারত ফারাক্কা বাঁধের নির্মাণ শুরু করে সেই ১৯৬১ সালে। যার শেষ হয় ১৯৭৫ সালের ২১শে এপ্রিল;
http://en.wikipedia.org/wiki/Farakka_Barrage
শুস্ক পদ্মায় আটকে পরা নৌযান
ফারাক্কার কুপ্রভাবে নদীতে সৃষ্ট ফুটবল মাঠ!
Click This Link
তো এর পর পরই ভারত মুজিবকে অনুরোধ করে যে মাত্র ৪০ দিনের জন্য ফারাক্কা বাধের পরীক্ষা মূলক চালুর অনুমতি দিতে। তারপর সেই ৪০ দিন পার হয়ে গেলেও ভারতের পরীক্ষা শেষতো হলোই না বরং তা চিরস্থায়ী ভাবে চালু হয়ে গেল। মুজিব ও তার বাকশালী গং ভেবেছিল ভারত হয়তো চূড়ান্ত ভাবে চালু করার পূর্বে বাংলাদেশের সাথে সমঝোতা করবে। এই ভেবেই মুজিব কোন রকম আগে পিছে চিন্তা না করেই ভারতকে ফারাক্কা বাধ চালুর অনুমতি দেন।
ভারতের এই ফারাক্কা বাধ নির্মাণ পরিকল্পনা অনেক পুরোনো তা সেই বৃটিশ আমলের পর পরই। তখন ঐ সময়ে তথা ১৯৫১ সালে ভারতের এই উচ্চা ভিলাস পরিকল্পনা প্রকাশিত হলে তৎকালীন পাকিস্তান সরকার প্রতিবাদ জানায় এবং ১৯৫৮ সালে ভারতকে অনুরোধ করে জাতিসংঘের মাধ্যমে পানির ন্যায্য বন্টনের সুরাহা করতে;
On October 29, 1951, Pakistan officially called Indian attention to reports of Indian plans to build a barrage at Farakka, about 17 kilometers from the border. The barrage would reportedly divert 40,000 cusecs or cubic feet per second (cubic feet per second = 0.0283 cubic meters per second; since all negotiations were in English units, that is what is reported here) out of a dry season average flow of 50,000 cusecs from the Ganges into the Bhagirathi-Hooghly tributary, to provide silt-free flow into Calcutta Bay, which would improve navigability for the city's port during dry months and keep saltwater from the city's water supply. On March 8, 1952, the Indian government responded that the project was only under preliminary investigation, and that concern was "hypothetical."
Over the next years, Pakistan occasionally responded to reports of Indian plans for diversion projects of the Ganges, with little Indian response. In 1957, and again in 1958, Pakistan proposed that:
the advisory and technical services of a United Nations body be secured to assist in planning for the co-operative development of the eastern river systems;
the projects in the two countries be examined jointly by experts of the two countries before their implementation; and,
the Secretary-General of the UN be requested for the appointment of an engineer or engineers to participate in the meetings at experts level.
India turned down these proposals, although it was agreed that water resources experts of the two countries should, "exchange data on projects of mutual interests." These expert-level meetings commenced 28 June 1960.
Click This Link
কিন্তু ভারত তা তখনই প্রত্যাখান করে। ঐ সময় হতেই নদ-নদীর ব্যাপারে ভারত জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক নিয়মকে তোয়াক্কা করত না। সেই ১৯৫০-৬০ সময়ে মুজিব একজন যুবক। তার কি মনে ছিল না যে ভারত পাকিস্তানের সাথে ছল চাতুরী করে বলেছিল যে বিষয়টি স্রেফ প্রাথমিক পরিকল্পনা।
তখনই পাকিস্তান সরকার এই বাধ হতে পূর্ব পাকিস্তানের শুস্ক ন্যায্য পানি প্রাপ্তি এবং ক্ষতির আশংকা করা হয়। মুজিব তখন সংসদ সদস্য এবং মন্ত্রীও হয়েছিলেন। সেই মানুষ দেশের কোন বিশেষজ্ঞ এবং রাজনীতিবিদদের পরামর্শ ছাড়াই এই মরফ ফাদ চালুর অনুমতি কি করে দেয়? তার পরেও এই ভুল হতে শিক্ষা নিয়ে ভারতকে চার্জ করা দূরে থাকুক কোন প্রকার স্থায়ী অথবা দীর্ঘমেয়াদী চুক্তি ছাড়াই মৌখিক ভাবে ৪৪ হাজার কিউসেক পানি শুস্ক মৌসুমে সরবাহ পাওয়ার আশ্বাস নিয়ে আসেন। পরে ভারত মুজিব নিহত হলে ১৯৭৬ সালে এই সরবারাহ ৪৪ হাজার কিউসেক রাখলেও ১৯৭৭ সালে তা অনেক কমিয়ে দেয়। তখন শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ভারতকে কূটনৈতিক ভাবে অনুরোধ করলেও তেমন কোন সাড়া পান নি।
তথা ভারত চেয়েছিল ইচ্ছেমত পানি শুস্ক মৌসুমে প্রত্যাহার করে নেবে। কিন্তু জিয়া একজন সৎ, দক্ষ, দূরদর্শী এবং দেশপ্রেমিক হিসেবে ভারতের এই শয়তানী ধরে ফেলেন। তাই ঐ বছর জাতিসংঘে যেয়ে ফারাক্কা বাধের বিরুদ্ধে নালিশ করেন। ফলে ভারত আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিব্রত হয়। তাই ভারত ৫ বছর মেয়াদী শুস্ক মৌসুমে ৩৪ হাজার কিউসেক পানি গ্যারান্টি ক্লজের মাধ্যমে জিয়ার সাথে চুক্তি করতে বাধ্য হয়।
আর জিয়া যদি স্রেফ ভারতকে সরাসরি কূটনৈতিক চ্যানেলে চেষ্টা করে যেতেন তো ভারত কোন কালেও ঐ চুক্তি করত না। কিন্তু আমাদের র্দূভাগ্য ডাইনী ইন্দিরা জিয়ার সার্বভৌম বাংলাদেশ গড়াকে সহ্য করতে না পেরে ১৯৮১ সালে তাকে RAW কে দিয়ে হত্যা করায়। পরে দালাল এরশাদ চক্রান্ত করে ক্ষমতায় এসে এই গ্যারান্টি ক্লজ প্রত্যাহার করে নেন। এরশাদের সময় সে অনেক চেচালেও জাতিসংঘ দূরে থাকুক বিশ্বের কোন প্রভাবশালী দেশের কাছে এরশাদ নালিশ করে নি। তাই এরশাদের সময় এই ফারাক্কা নিয়ে কোন অগ্রগতি হয় নি।
৯০এ এরশাদের পতন হলে ১৯৯১ সালে খালেদা উদ্যোগ নিলে তাকে ঐ সময়ের নরসীমা রাও সাফ জানিয়ে দেয় করিডোর ও চট্টগ্রাম বন্দর ব্যাবহার করতে দাও তাহলে ফারাক্কা দিয়ে পানি পাবে। কিন্তু ঐ সময়ে বিএনপির সাফ কথা নদ-নদীর পানি বন্টনে ভারতকে অবশ্যই আন্তর্জাতিক আইনে আসতে হবে। কিন্তু ভারত নিজেকে উপমহাদেশের রাজা ভাবে। তাই সে থোড়াই কেয়ার করে। তাই খালেদা জিয়ার ১৯৯১-৯৬ সাল মেয়াদেও কোন চুক্তি হয় নি।
এর জন্য হাসিনা ও তার আওয়ামী-বাকশালী গং টিটকারী ও ভেংচি দেয় যে খালেদা ও বিএনপি ফারাক্কা দিয়ে পানি আনতে পারল না। এই সমস্ত কথা বলে তারা প্রমাণ করে যে তারা জ্ঞানপাপী হিন্দুস্থানের দালাল। অথচ একটা শিশু শ্রেণীর ছাত্রও বুঝবে যে ফারাক্কা চুক্তি স্রেফ বাংলাদেশের নয় ভারতেরও সদিচ্ছার উপর নির্ভর করে। ভৌগলিক এবং সামরিক প্রায় সবদিকেই ভারত বাংলাদেশের চেয়ে শক্তিশালী। তাই সে যদি ন্যায্য ন্যায় নীতির তোয়াক্কা না করে অসভ্য-বর্বরের মত গায়ের জোরে পানি প্রত্যাহার করে নেয় সেখানে খালেদা ও বিএনপি কি করতে পারে? বাকশালী গং এগুলো বুঝেও না বুঝার ভান করে।
তারপর ১৯৯৬ সালে হাসিনা ক্ষমতায় এসে ভারতের সাথে ফারাক্কা বাধের চুক্তির জন্য উদগ্রীব হয়ে উঠে। তখন এই বিষয়ে আলীগ দেশবাসী ও সংসদের অনুমোদনতো দূর সংসদ ও মিডিয়ার কাছেও প্রকাশ করে নি। তখন বিএনপি, জাপা, জামাত বার বার দাবী করে ডিসম্বর ১৯৯৬ সালে দিল্লী যাওয়ার পূর্বে কি কি শর্তে ফারাক্কা চুক্তি করবে তা সংসদে আলোচনা করুক। কিন্তু মুজিবের বেটী হাসিনা তা থোড়াই কেয়ার করে। তখন হাসিনা ও তার দল বলে যে বিরোধী দল চায় না যে বাংলাদেশ পদ্মা নদীতে পানি পাক।
তারপর হাসিনা দিল্লীতে যেয়ে তখনকার ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী দেব গৌড়ার সাথে ৩০ বছর মেয়াদী চুক্তি করল। এতে কোন গ্যারান্টি ক্লজ ছিল না। চুক্তি পরে প্রকাশিত হয় দেখা গেল যে যদি ফারাক্কা পয়েন্টে শুস্ক মৌসুমে ৭৫ হাজার কিউসেক পানি জমে তাহলে ভারত ৪০ এবং বাংলাদেশ ৩৫ হাজার কিউসেক পানি পাবে। পুরো বিষয়টাই শুভংকরের ফাকি। সেই এরশাদের সময় হতেই ভারতের গঙ্গা সংশ্লিষ্ট রাজ্য সমূহ পাম্প এবং ফিডার ক্যানালের মাধ্যমে শুস্ক মৌসুমে প্রচুর পানি টেনে নেয়।
তাই বাস্তবে শুস্ক মৌসুমে ফারাক্কা পয়েন্টে কখনই আর(গ্যরান্টি ক্লজ ব্যাতীত) ৭৫ হাজার কিউসেক পানি জমবে না। সেই এরশাদ আমলেই এ বিষয়ে দৈনিক ইত্তেফাকে ভূড়ি ভূড়ি রিপোর্ট ও আর্টিকেল ছাপলেও হাসিনা তার ভারত প্রেমের কারণে এই গুলো অবজ্ঞা করেন। তারপর ১৯৯৭ সালের শুরুতে দালাল রাজ্জাক বলেন যে এবার হার্ডিঞ্জ ব্রিজে ৫.৭২ মিটার গভীরতায় আমরা ৩৫ হাজার কিউসেক পানি পাচ্ছি। পরে বিএনপির তৎকালীন মহাসচিব এর প্রতিবাদ করেন যে আমরা ২৫ হাজার কিউসেকেরও কম পানি পাচ্ছি। তখন রাজ্জাকের মন্ত্রণালয় বিভিন্ন পত্রিকায় প্রতিবাদ লিপি পাঠায় যে সালাম তালুকদার মিথ্যা ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কথা বলছে এবং তাকে বিভ্রান্তি না ছড়ানোর অনুরোধ করা হল।
পরের দিন বিভিন্ন পত্রিকায় দেখা গেল সালাম তালুকদার রাজ্জাকের ভারতীয় ধূতি খুলে ফেললেন। সালাম তালুকদার দেখালেন ১৯৯৬ সালের শুরুতে যখন বিএনপি ক্ষমতায় ছিল তখন হার্ডিঞ্জ ব্রিজে ৬.৮৬ মিটার গভীরতায় ঢাবির অধ্যাপকরা বলেছেন আমরা ২৫ হাজার কিউসেকের মত পানি পাচ্ছি। তো সালাম তালুকদারের প্রশ্ন যদি আমাদের সময়ে ১ মিটারেরও বেশী উচ্চতায় ২৫ হাজার কিউসেক পানি পেয়ে থাকি আপনি এই ১ মিটার কমে কিভাবে ৩৫ হাজার পান? পরে রাজ্জাক ও তার মন্ত্রণালয়ে শসানের মত নিস্তদ্ধতা। এভাবে ১৯৯৮ সালের শুরুতে একই ভাবে পানি কম পাওয়া গেলে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে হাসিনা বলেন ভারত ঠিকই পানি দিচ্ছে কিন্তু পদ্মার বালি নাকি সেই পানি শুষে নিচ্ছে আর দালাল রাজ্জাক পানি স্যাবোটাজের অভিযোগ তুলেন। যে দেশ নেত্রী হাসিনার সরকারকে বদনামের জন্য বিএনপি-জামাত এই কারসাজি করছে।
এভাবেই হাসিনার ২০০১ সালে প্রথম মেয়াদ শেষ হয়। তারপর জোট সরকার ক্ষমতায় এলে ৩০ বছর মেয়াদী এই চুক্তিতে গ্যারান্টি ক্লজ অন্তর্ভূক্ত করতে চাইলে ভারত সেই পূর্বের খায়েশ করিডোর ও সুমুদ্র বন্দর সুবিধা চায়। আর পরে ভারতীয় হাইকমিশনার মিজ বিনা সিক্রি বলেন ভারত নাকি ৩৫ হাজার কিউসেকেরও বেশী পানি দিচ্ছে কিন্তু বাংলাদেশ তা ধরে রাখতে পারছে না। তিনি বলেন বর্ষাকালে দুকূল উপচে পানি বাংলাদেশের কৃত্রিম লেক সৃষ্টি করে তা ধরে রাখা উচিত। অর্থাৎ প্রয়োজনের সময় পানি না দিয়ে বর্ষার পানিকে বকেয়া শোধ হিসেবে হাতে ধরিয়ে দেওয়া।
তাই বলি ভারত গায়ের জোরে জোট সরকারের একের পর এক অনুরোধ প্রত্যাখান করে। তারপরেও রাজ্জাক গং ১৯৯৬ সালের চুক্তিকে সফল বলে গলাবাজি ও বগলদাবা করে। ঠিক ২০০৫ সালে তৎকালীন পররাষ্ট্র মন্ত্রী মোর্শেদ খান বিভিন্ন দেশের কাছে ফারাক্কা নিয়ে নালিশ করলে দালাল রাজ্জাক তেলে বেগুনে জ্বলে উঠে। তার বক্তব্য হল মোর্শেদ খান এই সমস্ত কথা বলে ভারতের সাথে সম্পর্ক খারাপ করছে। রাজ্জাক ৭১এর দোহাই দেন।
অথচ পদ্মা দিনকে দিন নাব্যতা হারাচ্ছে এবং এর অর্ধ শতাধিক শাখা নদী বিলুপ্ত তার কোন খবর নাই। এই ঘটনার রেশ ধরে আলীগের মহিউদ্দিন খান আলমগীর জিয়ার ৭৭ সালে জাতিসংঘে যেয়ে ভারতের বিরুদ্ধে ফারাক্কার বিরুদ্ধে নালিশ করার জন্য কটাক্ষ করেন এবং এক হাত নেন। অথচ এই ফারাক্কা বাধ যে তার মুজিব বাবার বদন্যতায় চালু হয়েছে এই কথা তারা বলতে চায় না। আজও ২০১১ সালে যখন তিস্তার পানির ন্যায্য বন্টন নিয়ে কথা হচ্ছে এবং বার বার ভারতের পিছিয়ে পড়া নিয়ে সমালোচনা হচ্ছে তখন মখা আলমগীর খালেদা জিয়াকে কটাক্ষ করেন;
খালেদার উদ্দেশে মহীউদ্দীনঃ
তিস্তায় টাকি মাছ ধরার চেষ্টা করছেন কেন?
Click This Link
আর চুরি করে শিনা জুড়ি তথা নির্লজ্জের মতই আওয়ামী-বাকশালী গং বলে চলেছে তথা ভাঙা রেকর্ড বাজাচ্ছে যে খালেদা জিয়া নিজেও চুক্তি করতে পারে না আবরা করতেও দেয় না। ভাবখানা এমন যে তারা বাংলাদেশের স্বার্থ ঠিক রেখে তথা উপকারের পক্ষে চুক্তি করেছে।
আজ পর্যন্ত বাংলাদেশ তিন বিঘা জমি বুঝে পেল না। সেই তিক্ত অভিজ্ঞতাকে মাথায় রেখেই বিএনপি ও জোট সিদ্ধান্ত নেয় যে দেশের স্বার্থ বিকিয়ে ভারতকে এক তরফা লাভ দেওয়ার চেয়ে কোন চুক্তিই দিল্লীর সাথে না হওয়াই ভাল। এই কথা আওয়ামী-বাকশালী গংরা তো বুঝেও বলেই না এমনকি তথাকথিত সুশীলও বিএনপিকে কঠোর সমালোচনা করে। বলে যে বিএনপি নাকি ভারত বিরোধী। তো ভারত যদি বাংলাদেশকে পদে পদে ঠকায় সেখানে তার বিরুদ্ধে রুখে না দাড়িয়ে বাংলাদেশ কি তার নিজের স্বার্থ বিকিয়ে ভারতের কাছে অসহায় ভাবে আত্নসমর্পণ করবে? এই রকমই কথা বলে সৈয়দ আবুল মকসুদ, সোরহাব হোসেন, মিজানুর রহমান সহ বিভিন্ন নিরপেক্ষ সুশীল।
এর মধ্যে মিজানুর রহমান তীব্র জিয়া ও বিএনপি বিদ্বেষী। সে গতকাল দৈনিক প্রথম আলোতে একটি কলাম লিখে যার শেষাংশ তুলে ধরলাম;
দিল্লির বাংলাদেশ বৈরী ও অনুদার আমলাতন্ত্র ড. মনমোহনের ঢাকা সফরকে এতটা গুরুত্বই দিয়েছে যাতে অল্প কিছু দিয়েই সবটা পেতে চেয়েছে। দিল্লিতে বিরোধী দলের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর আলোচনা এখন অর্থহীন মনে হয়। পরীক্ষিত বন্ধুর সঙ্গে এত বড় প্রহসনও যে ঘটে যেতে পারে, তা ছিল আমাদের কল্পনার বাইরে। এটা আমাদের অনেকের জন্যই ‘নেত্রপল্লব উন্মিলনীয়’।
তবে আরও একটি সত্য উদ্ভাসিত, ভারতের রাজনৈতিক মহলে আমরা প্রায় বন্ধুশূন্য। সেই দায় মুখ্যত আমাদের রাজনীতিকদের। আমেরিকায় ইসরায়েল লবি কেন শক্তিশালী, কেন ফিলিস্তিনের লবি নেই, সে জন্য বুক চাপড়িয়ে ফায়দা নেই। তেমনি ‘ভারতীয় নৃপতিগণ এমনই’ মনে করে হাল ছাড়ারও মানে নেই। আমাদের একেবারে অন্ধ ভারতবিরোধী গোষ্ঠীকেও ভারতের বৈচিত্র্যপূর্ণ রাজনৈতিক ও নাগরিক সমাজের সঙ্গে ওঠাবসায় অভ্যস্ত হতে হবে।
তবে ট্রানজিটকে তিস্তায় ডোবাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে বাহাদুরি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। তাঁর সরকারের এই হুঁশ বহু বিলম্বিত। তবু বলব, শাবাশ, জননেত্রী শেখ হাসিনা।
মিজানুর রহমান খান: সাংবাদিক।
Click This Link
এখানে সরাসরি না বললেও মিজান বুঝিয়েছেন যে বিএনপির ভারতের এই বিচিত্রপূর্ণ তথা বাস্তবে প্রতরণাপূর্ণ ও শঠতার আচরনের সাথে অভ্যস্ত হতে হবে।
মানে এতক্ষণে অরিন্দম কহিল বিষাদে তুমি মিজান ছুপা বাকশালী ও ভারতীয় দালাল যেটা এতদিনে বুঝলা সেটা শহীদ জিয়া গোড়াতে এবং খালেদাও আরও ২০ বছর আগেই বুঝছে। এখন এইটা বইলা সে নিজেরে মন সান্তনা দেয়। কিন্তু কয়েকদিন পরে আবার সুর ধরব যে বিএনপি ও খালেদা ভারত হতে কিছুই আদায় করতে পারল না। কারণ ঐ লেখায় মিজান নির্লজ্জের মত হাসিনার পক্ষে সাফাই গাইল ও বাহাবা দিল যে হাসিনা ট্রানজিট না দিয়ে বাহাদুরী বীরত্ব দেখিয়েছেন তাতে বাংলাদেশের লাভ না হলেও ক্ষতি নেই, কথা এভাবেই দাড়ায়। তাই মিজানদের অতীত ইতিহাস দেখলে দেখা যায় খালেদা ও বিএনপি যখন বাংলাদেশের স্বার্থ বিকানোর চেয়ে ভারতের সাথে কোন ধরণের চুক্তি করা হতে বিরত থেকেছে তখন নির্লজ্জ জ্ঞানপাপী দালালের মতন সমালোচনা করেছে যে খালেদা ব্যার্থ।
আরে খালেদা যদি তার এই দেশ বান্ধব শর্তে চুক্তি করতে সমর্থ হয় তার সুফল পুরো বাংলাদেশ পাবে। ভারত খালেদা ও বিএনপির শর্তে রাজি হলে এর লাভ খালেদা নিজের সিন্দুকে ভরবে না। কিন্তু হাসিনা ও ভারতের দালালগণ তথা মিজানের মতন জ্ঞানপাপী সাংবাদিকরা সারাজীবন মতলববাজি করে যাবে যে বিএনপি বাংলাদেশের কোন স্বার্থই ভারত হতে আদায় করতে পারল না। ভারত যে হিমালয়ের মতন অটল এবং শয়তানের মতই ধূর্ত তা বুঝেও মিজান গং একে প্রহসন এবং বিচিত্রতা বলে যাবে। ভারতের যে ন্যায্য সমালোচনা প্রাপ্য তা মিজান গং সরাসরি বলতে নারাজ।
কিন্তু বাংলাদেশের প্রকৃত দেশপ্রেমিক মিজানদের চোখে চিরকালই ভারত বিরোধীই থাকবে। তবে মিজানদেরও একদিন পতন হবে তা যত দেড়ীই হৌক, হবেই ইনশাল্লাহ!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।