আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

দৈনিক রোজনামচা আজকা কয় তারিখ? মনে হয় অখনো ৮।

আসেন দুর্নীতি করি। আর এই দুনিয়াটাকেই খুচাই! ডিস্কোতে আমি কিছুদিন আগে গেছিলাম। মনখান হেভী বেচেন আছিলো। বেচেন না, আসলে খারাপ আছিলো। মাঝে মধ্যে মাথায় জট লাগে, কুনো কাম করে না।

তখন মনে হয় কেন যে পয়দা হইলাম! হেইদিন একজন কইলো এলকোহল ফ্রী ড্রিংক, আমি অবুঝে মতোন টানা ৪ গ্লাস খাইলাম। কেডায় জানতো ঐডায় কড়া জীন মিশানো! কি করছি জানি না, তয় পুলাপান ভিডিও করছে। তাতে যা উঠছে, মনে হইলো আমি হ্যাংওভার মুভী দেখতাছি!আর খামু না নিয়ত করছি! গতকাইল দুপুর বেলা ভার্সিটির পুলাপান আইলো ছয় সাতটা। কইলো শহর দেখবো! আমি তাজ্জুব বইনা গেলাম। আব্বে, এইডারে শহর কেডা কয়, এইডা গ্রামের নীচে যদি কিছু থাকে হেইডা! যাই হোউক, সন্ধ্যার সময় এমুন হইয়া গেলো পুরা এলাকা যেনো এই দেশী সরকার বিনা নোটিশে কার্ফু মারছে।

সবাই মন খারাপ কইরা ঘরে গেলো তার পিটাইতে। হঠাৎ দেখি লগের একজন পুরা জ্যাক ডেনিয়েলস লইয়া আইছে!আমি আর ধারে কাছে ঘেষলাম না। খালি দেখলাম কি করে! ২৯ খেললো, পুরা জ্যাক ডেনিয়েলস পাল্লা দিয়া খাইলো। নাচতে নাচতে গেলো ডিস্কোতে। আমারে টানাটানি করলো দুই তিনটা টালু।

আমি হাসি দিয়া কইলাম,"যামু না গো খালু!" আমি ঘুমাই গেলাম। মাগার ঘুমের মধ্যে দেখলাম মাঝরাইতে গান গাইতে ঘরে ঢুকলো। একজনের উপর আরেকজন শুইলো যদিও সবার লিগা বেড বিভিন্ন রুমে করা আছে। কিছুক্ষন পর নেপালী রুমমেট উইঠা পরনের কোয়ার্টার খুইলা হিস্যু শুরু করলো নিজের বিছানার উপর। ঘুমের ঘোরে এই সীন দেইখা মনে হইলো একাত্তরের বিভীষিকাময় রাইতের চেয়ে এই রাইত কম কিছু না! সকাল ৬ টায় উইঠা গেলাম ভার্সিটি।

ভার্সিটি এই শহর থিকা ১৫০ কিলো দূর! যে গাড়িতে কইরা গেলাম সেইটা আমার ক্লাশমেটরাই কিনিয়াছে। স্বদেশী নকল লাইসেন্স এইখানে আসল বলিয়া তাহারা গাড়ি কিনিয়াছে। একেতো নকল লাইসেন্স তার উপর রাতের বেলা হ্যাংওভার হইয়া ৩ ঘন্টার ঘুম তার উপর কুয়াশা ঘেরা হাইওয়ে, নাজানি কপালে কি আছে ভাবিয়া গাড়িতে উঠিতেই দেখি ল্যাপ তোষকে ভরা! আমি মুখ ফইসকা বইলা ফেলাইলাম,"এই লেপটার কালার দেখি আমারটার মতই। এতো লেপ তোষক কেন?" গাড়িতে উইঠা টের পাইলাম। গাড়িতে হীটার আছে মাগার চালাইলে শীত করে।

আর ঋতুর হাওয়া দেইখা ভালাই টের পাওন যাইতাছে -৩০ এর শীত আইতে আছে! যাই হোউক, ড্রাইভার হিসাবে যে সীটে বইছে তার সাহায্য কারী হিসাবে পাশে বইছে গাড়ী যে কিনছে। সে গাড়ীর অন্যান্য বাটন যেমুন মিউজিক, জিপিএস সম্পর্কিত কারিগরী স হায়তা করিতেছে। আমি কিছুক্ষন পর পর জিগাই,"ভাইজান, দরকার হইলে আশে পাশে যদি কুনো মুদীর দুকান দেখেন, তাইলে একটু জিগায় লইতে পারেন আমরা কি সঠিক পথে আছি না উল্টা পথে আছি!" সমস্যা হইলো স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশগুলাতে মুদীর দুকানের ব্যাবসার কনসেপ্ট এখনো কেউ দিবার পারে নাই। যদি এই জাতী জানতো, তাইলে এই ব্যবসাটা বাতাসের আগে ছড়ায় পড়তো! এদিকে হীটার চলনের পরও আমরা শীতে কাপিতেছিলাম, কি ভয়াবহ ঠান্ডা, আশে পাশে কুনো মুদীর দুকানও দেখা যায় না! মাঝে মাঝে হঠাৎ কুয়াশার আগমন দেখিয়া এক পন্ডিৎ বলিয়া বসিলো,"এখানে উচ্চতা ধরিতে গেলে পাহাড়ের উপর, তাই কুয়াশা!" তখনই একজন বলিয়া বসিলো,"তাইলে যেইখানে কুয়াশা নাই, সেইটা কি সাগরের তলে দিয়া গেছে?" যাই হোউক, ভার্সিটি এলাকায় আসিয়া পরানটা ভরিয়া যতদ্রূত গেলো আবার তত দ্রূত শুকাইয়া গেলো। এই সবুজ আর ১ মাস পর থাকবো না।

যেদিকে তাকামু সেদিকে সাদা। আশেপাশের পাহাড়ের সাথে দুয়েকটা নতুন পাহাড় গজাইবো সেইগুলা হইলো বরফের পাহাড়! ঠান্ডায় মনে হইবো গলায় দড়ী দেই মাগার দড়িও দেখা যাইবো বরফে জইমা লোহার রডের মতো শক্ত হইয়া গেছে! কি নসিব আমার! কিছু ঘুরা ঘুরি আর ল্যাবে একটু উকিঝুকি মারিয়া প্রফেসরের সাথে না দেখা করিয়া ট্রেনে কইরা আবারও বাসায় চইলা আসলাম। বাসায় আইসা দেখি আমার লেপ নাই! মনে মনে আফসোস করিলাম, যেই লেপের কালার নিজের বলিয়া মনে করিয়া ছিলাম সে লেপখানা আসলে আমারই আছিলো! এদিকে রুমে হিসুর গন্ধে মৌ মৌ করিবার কারনে নেপালী ব্যাটাকে পাটালী দিয়া ছ্যাচা দিয়া কইলাম,"ব্যাটা, টয়লেটের কাম ঘরে নেক্সট টাইম করলে, ঘর মুছামু না, ঘর চাটাইয়া সাফ করামু!" কার কথা কানে যায়..........ব্যাটা হাসে........হাসবো না কেন নেপালী কি আর বাংলা বুঝে! মেজাজ আরো গরম হইলো এই সামারে আমাগো ভার্সিটির পুরা এলাকাটা কত সুন্দর দেখায় সেইটা নতুন আইফোনে তুইলা রাখতে গেলাম! বাসায় আইসা দেখি সব ভিডিও উইঠা বইসা আছে! বুঝতাছি না কার উপর মেজাজ বিলা করুম, সামার না স্টিভ জবস? ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.