বিপ্লব দীর্ঘজিবি হউক আওয়ামীলীগ সরকারের মন্ত্রী-উপদেষ্টাদের অদক্ষতায় মনমোহনের বাংলাদেশ সফর ব্যার্থ হলো। আশায় বুক বেধে থাকা তিন্তা চুক্তি হলোনা। বাংলাদেশ পেলোনা তার ন্যায্য পানির হিস্যা। অন্যদিকে ভারতেও দেওয়া হলো না ট্রানজিট সুবিধা। যদিও বিশ্লেষকদের মতে এটা ভারতেকে ট্রানজিট তুলে দেওয়ার নতুন নাটক।
অর্থাৎ তিন্তা চুক্তির ন্যায্য পানি আদায়ের কথা বলে ভারতকে ট্রানজিটের নামে করিডোর দেওয়ার সুদূর প্রসারী পায়তারা। তবে যাই হোক, সব চুক্তি বাস্তবায়িত হলে বরাবরের মত ভারতই জয়ী হবে। কারণ তিন্তার পানি বাংলাদেশের প্রাপ্য আর ট্রানজিট বাংলাদেশ সরকারের ভারত দালালির ফসল।
..........................................................................................
ভারত ইস্যুগুলো নিয়ে যে কথাগুলো না বল্লেই নায় তা হলো প্রধান বিরোধীদল বিএনপি-জামাতের ভূতিকা নায়ে। কারণ অনেকে হয়তো এই ইস্যুগুলো নিয়ে বিএনপির মনভোলানো ভারত বিরোধী মনোভাবে বিভ্রন্ত হতে পারেন।
তাই সবার জেনে রাখা উচিৎ বিএনপি-জামাত ক্ষমতায় থাকাকালের ভারতের সাথে কিসব চুক্তি করেছিলো। জনগনকে অন্ধকারে রেখে সংসদে গোপন অধিবেশনে ভারতের সাথে খালেদা-নিজামী গংদের করা চুক্তি। যা দেখে অনেকে লজ্জায় লেঞ্জা লুকায়।
১। পিআইএসসিএস (PICES): Personal Identification Secure Comparison and Evaluation System নামক এই চুক্তিটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সরষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের আওতাভুক্ত Terrorist Interdiction Program (TIP) এর কর্মসূচীর অন্তর্ভুক্ত।
আপনারা জানেন যে এই কর্মসূচীর আওতায় মার্কিন সরকার নিজেদের নিরাপত্তার নামে তাদের দেশের সাধারণ জনগণ এবং সন্দেহভাজন অভিবাসীদের ব্যাক্তি স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করে। আর পিআইএসসিএস চুক্তির মাধ্যমে তারা বাংলাদেশের জনগণের উপর এই ক্ষমতা খাটানোর ক্ষমতা লাভ করেছে। ২০০৪ সালের ১৮ মে এই চুক্তি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ঢাকায় আসেন মার্কিন সরকারের তৎকালিন দক্ষিন এশিয়া বিষয়ক সহকারী মন্ত্রী ক্রিস্টিনা রোকা। একটি সমঝোতা সাক্ষরের মাধ্যমে তখন এই চুক্তির প্রথম ধাপ সম্পন্ন করা হয়। এ চুক্তি অনুযায়ী যে কোন বাংলাদেশী নাগরিকের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিরোধী যেকোনো তৎপড়তাকে সন্ত্রাসী তৎপরতা আখ্যা দিয়ে মার্কিন সরকার তার বিচার করতে পারবে।
এমনকি আমাদের সরকারের সহযোগিতায় যেকোন সন্দেহভাজন বাংলাদেশী নাগরিকের গতিবিধি অনুসরণ করার জন্য কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত প্রযুতি ব্যাবহার করবে। তারা বিনা বাধায় বাংলাদেশের যেকোন নাগরিকের টেলিফোনের আড়ি পাততে পারবে, গোপনে ছবি তুলতে কিংবা কন্ঠস্বর রেকর্ড করতে পারবে। সেই সাথে বিমান, নৌ ও স্থল বন্দরে যাতায়াতকারী যেকোন যাত্রীকে তল্লাশি করতে পারবে। চুক্তি অনুযায়ী ২০০৫ সালেই তৎকালিন জিয়া আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে মার্কিন গোয়েন্দা তৎপরতা শুরু হয়ে যায়।
২।
বিশ্বব্যাংকের দায়মুক্তি বিলঃ ৩১ অক্টোবর ২০০৪ সালে তৎকালিন অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমান ‘আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক সংস্থা অধ্যাদেশ-২০০৪’ নামে জাতীয় সংসদে একটি বিল উত্থাপন করেন। এই বিল অনুযায়ী, “বিশ্বব্যাংক এদেশে সব ধরণের আইনগত পদ্ধতি থেকে দায় মুক্ত থাকবে। এর বিরুদ্ধে কোনো সংস্থা, কর্তৃপক্ষ কিংবা ব্যক্তি আইনগত ব্যবস্থা নিতে পারবে না এবং বিশ্বব্যাংকের কোনো সপত্তি জব্দ করতে পারবে না। এমনকি এর সাথে সংশ্লিষ্ট কোনো কর্মকর্তার বিরুদ্ধেও কোনো আইনগত ব্যবস্থা নেয়া যবে না”। অর্থাৎ বিশ্বব্যাংক আমাদের ওপর যতখুশি মাতবরি করবে, আমরা কিছুই বলতে পারবো না।
৩। টিফা (TIFA): Trade and Investment Framework Agreement চুক্তিটি একি সাথে বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত অমর্যাদাকর এবং জাতীয় স্বার্থ বিরোধী একটি চুক্তি। এই চুক্তিও বিএনপি-জামাত জোট সরকারের আমলে সম্পাদিত হয়। এই চুক্তির ফলে বানিজ্যিক সম্পর্কের দিক থেকে বাংলাদেশ বিশ্বের সল্পোন্নত দেশগুলোর সাথে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে। সেই সাথে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে যেসব বানিজ্যিক বিরোধ রয়েছে সেইসব বিরোধ বহুপাক্ষিকভাবে নিরসনের সুযোগ হারাবে বাংলাদেশ।
এ চুক্তির ফলে দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতকে মেধাসত্ত্ব আইনের আওতায় সফটওয়্যার লাইসেন্স এর জন্য বছরে ৫০ কোটি ডলার প্রদান করতে হবে এবং অ-শুল্ক বাধা দূর করার নামে শ্রমমান, পরিবেশ ইত্যাদি অজুহাতে বাংলাদেশে মার্কিন খবরদারী আরো বৃদ্ধি পাবে।
এছাড়াও আছে এরকম অসংখ্য দেশবিরোধী চুক্তি। ক্রমান্নয়ে সব জানানো হবে।
মূলপোষ্ট (পারভেজ আলম)
Click This Link
.......................................................................................
এই হলো পোন্দে-মুখে ভারতবিরোধীতাকারী খালেদা-নিাজমী গংদের আসল রুপ। রাজনৈতিক ফায়দা লুটার জন্য এরা পোন্দে-মুখে ভারত বিরোধীতা করলেও ভারতের কাছে দেশ বিকিয়ে দিতে এরা কোন অংশে পিছপা হয় না।
তাইতো মনমোহনের সফরের সাথে সাথে "রক্ত দিবো জীবন দিবো, ট্রানজিট কিন্তু দিবো না"... এই মনোভাব পরিহার করে মনমোহসনের সাথে বৈঠকের সময় বাড়ানো জন্য রিতিমত তৎবির শুরু করে খালেদা।
ভারত বাংলাদেশের ভালো চায় না। কোন দিনও না। তাই তারা এদেশের ন্যায্য পাওনাটুকু কখনই দিতে চাইবে না। এটা চিরন্তন সত্য।
তাই স্বাভাবিক ভাবেই এদেশের অধিকাংশ মানুষ ভারত বিদ্বেষী। কিন্তু এক শ্রেণীর কুলাঙ্গার এই বিদ্বেষ কাজে লাগিয়ে রাজনৈকিত ফায়দা তুলে ক্ষমতায় যাওয়ার চেষ্টা করছে যারা পূর্বে ক্ষমতায় ছেকে ভারতের বালটাও ছিড়তে পারে নাই। রবং ভারত ছেকে রাষ্ট্রিয় সহযোগিতায় দশ ট্রাক অস্র এনে জঙ্গিদের সাপ্লাই করতে চেয়েছলো যার প্রমাণ দেশের মানুষ এখন পাচ্ছে।
সিজনাল ভারত বিরোধীতা বাদ দিয়ে প্রকৃত পক্ষেই ভারতের আগ্রাসী এবং নির্লজ্জ দাদাগিরির প্রতিবাদ করতে হবে। শুধু বিরোধী দলে গিয়ে ঘরে বসে বসে আঙ্গুল চুষে চুষে ভারত এইটা নিয়ে গেল ওইটা নিয়ে গিলো...এসব বলার দিন শেষ।
আসুন দালালদের কাতারে না দাড়িয়ে সরকারের উপর চাপ প্রয়োগ করে আমাদের ন্যায্য হিস্যা আদায় করে নেই।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।