হোটেল সোনার গা'র প্রেসিডেন্সিয়াল স্যুইট.. আড়ামোরা ভেঙ্গে বিকট আওয়াজে হাই তুলে পেন্থাউজ পত্রিকার পাতা আনমনে উল্টাতে লাগলেন মন মোহন সিংহ...সারাদিন দৌড়াদৌড়িতে যথেস্ট পরিশ্রম গেছে..তার ওপর টেনশন..তবে খুশির কথা হাসিনাকে বাগে আনিতে যে পরিমান ঝামেলা হবে ভেবে রাখছিলেন তার অর্ধেকও হয় নাই...। বড় ভক্তিমতি মেয়ে... বুঝাইলে বুঝে ..মানাইলে মানে ..হাসিয়া দু কথা জিজ্ঞাস করিলে খুশিতে গলিয়া যায়..ওই মমতা ***নীর মত ঘোড়েল না .. কাছে ডাকিয়া মিসেস সিংহকে আজ একটা দামী ঢাকাই কাতান দিয়াছে...। হাসিনার সাথে কাজ করিয়া আরাম আছে..ভাগ্যিস আজ তিস্তার পানি দিতে হয় নাই..নাইলে আজ রক্ষে ছিলো?..মমতা আউলা লাগাইয়া দিতো আর মমতাকে রুস্ট করিয়া গদিতে একটা আচড় পড়িলে রাজ কুমারের মাতা তাহার ছাল ছাড়াইয়া নিতেন এতে সন্দেহ নাই.. আর সেই ছেড়া ছাল দিয়া হোতকা আরুনা জেটলী নির্ঘাত ফুটবল বানাইয়া খেলিতো ..। ..ইশ.!!! রাজনীতি আসলেই বিষম জটিল ... অর্থনীতির চাইতেও অধিক ইয়ে জিনিস... ।কাল রাতে ভয় দেখাইবার জন্য শ্যাম শরন আর ভয় পাওয়ার পরিস্থিতি তৈরী করার জন্য মমতাকে উদ্দেশ্যে করিয়া মনে মনে কিছু কটু বাক্য (ছাপার অযোগ্য) বর্ষন করিলেন ... তারপড় সাতপাচ চিন্তা করিয়া মনমোহন সিংহ সশব্দে বায়ু ত্যাগ করিতে করিতে ভাবিলেন ... ত্যাগ মার্গই সর্বোত্তোম.. এ জগতে সকলেই ত্যাগ করে...এবং হাসিনা আজ আত্মসম্মান,দেশপ্রেম অবাঞ্চিত দ্বায়িত্ববোধ প্রভতি ডগমা গুলি ত্যাগ করিয়া যথার্থই উচ্চ সম্মান অর্জন করিয়াছেন..ত্যাগ মার্গ সকলের ভাগ্যে জুটে না..কোই তিনিইতো দশচক্রে পড়িয়া আজ ত্যাগ মার্গ অর্জন করিয়া নিজেকে ধন্য করিতে পারিলেন না..। আবারো অস্ফুট শব্দে বলিলেন আহা..! বড় ভালো মেয়ে বড় ভক্তিমতি মেয়ে..! ততক্ষনে প্রেসিডেন্সিয়াল স্যুইটের আলিশান বাথটাব হাতছানি দিয়া ডাকিতেছে বিধায় অবগহনের উদ্দেশ্যে পশ্চাতদেশ উত্থিত করিলেন..।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।