শুধু মেসির সঙ্গে হাত মেলানোর জন্যই ঢাকা থেকে কলকাতার উড়ে গিয়েছিলেন হিমেল। স্কলাস্টিকার ছাত্র ১৪ বছর বয়সী হিমেল বাবাকে নিয়ে বাংলাদেশ বিমানের বোয়িং ৭৩৭ ফ্লাইটের যাত্রী হয়। সকাল ৮টা ১০ মিনিটে ফ্লাইট ঢাকা ছেড়ে যায়। ফিরতি ফ্লাইটে মেসিদের সঙ্গে ঢাকায় ফেরেন হিমেলরা। সোমবার শাহজালাল আš-র্জাতিক বিমানবন্দরে উচ্ছসিত হিমেল মেসি বলতে অজ্ঞান! ওর দোষ কী! ঢাকা এখন মেসি-জ্বরে আক্রাš-।
আজ স্বপ্নের ম্যাচে মুখোমুখি আর্জেন্টিনা-নাইজেরিয়া। কাল যেটা কল্পনা ছিল, আজ তা বা¯-ব। ম্যারাডোনা কোনদিন এই শহরে আসেননি। তার যোগ্য উত্তরসূরি মেসি এখন ঢাকার অতিথি।
হাসিমাখা মুখে হিমেল বলল, ‘সম্ভবত আমিই প্রথম বাংলাদেশী, যে মেসির সঙ্গে হাত মিলিয়েছে।
আমি মেসির ভক্ত। মেসিই আমার হিরো। তাকে দেখার অপেক্ষায় ছিলাম। মেসি বাংলাদেশে আসছেন। তাকে কাছ থেকে দেখার জন্য বুদ্ধি করলাম।
বাবার সঙ্গে আলোচনার পর তিনি পথ বাতলে দিলেন। খোঁজ নিয়ে জানলাম, মেসিরা আসছেন বাংলাদেশ বিমানে। বাবা যাওয়া-আসার দুটো টিকিট কাটলেন। বিজনেস ক্লাসে সিট পাইনি আমরা। সকাল ৮টা ১০ মিনিটে আমাদের বিমান ঢাকা ছাড়ে।
২৬ মিনিটের মধ্যে কলকাতা পৌঁছি আমরা। ইমিগ্রেশনের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে ওয়েটিং লাউঞ্জে ঢুকতেই চোখ ছানাবড়া। আমার স্বপ্নের ফুটবলার সামনেই দাঁড়িয়ে। আমার গায়ে ছিল বার্সেলোনার ১০ নম্বর জার্সি। তাতে মেসি ও হিমেল লেখা ছিল।
নিরাপত্তাকর্মীদের জন্য মেসির কাছাকাছি যেতে পারিনি। তবে বিমানের মধ্যে মিস হয়নি। আমরা বসেছিলাম ইকোনমিক ক্লাসে। আর মেসি ছিলেন বিজনেস ক্লাসে। বিমানের ১৩৮ জন যাত্রীর মধ্যে ৪৫ জনই ছিলেন মেসিদের বহরের।
এয়ার হোস্টেসের সহযোগিতায় মেসির কাছে যাই। হাত বাড়িয়ে হ্যান্ডশেক করলাম। মেসির হাতটি আমি কিছুক্ষণ ধরে রেখেছিলাম। পা টিপে দেখলাম। আমার কাণ্ড দেখে মেসি মুখটিপে হাসলেন।
পাশ থেকে হিগুয়াইন কী যেন বললেন মেসিকে। দুর্বোধ্য ভাষা, কিছুই বুঝতে পারিনি। আর্জেন্টিনার একটি জার্সিতে অটোগ্রাফ নিয়েছি মেসির। হিগুয়াইন ছবি তোলায় সহযোগিতা করলেন। একেবারে সাধারণ মেসি।
হাফপ্যান্ট ও আর্জেন্টাইন পতাকার রঙের টি-শার্ট পরা মেসিকে আমার আলাদা মানুষ বলে মনে হল না। সারাক্ষণই মুখে হাসি লেগে ছিল। মেসি-দর্শনের এই আনন্দ আমার জীবনে কোনদিন মুছবে না। ’
হিমেলের বাবা শোয়েব চৌধুরীও খুশি। তার কথায়, ‘আমার ছেলের আনন্দ দেখে আমার চোখে পানি এসেছিল।
ওর এই আনন্দের জন্যই শত ব্য¯-তার মধ্যেও আমাকে কলকাতা যেতে হয়েছে। ’ বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জে মেসির গলায় ফুলের মালা পরিয়ে দেন জাতীয় দলের অধিনায়ক বিপ্লব ভট্টাচার্য। তার কথায়, ‘মেসির গলায় ফুলের মালা দিয়েছি। হাত মিলিয়েছি। কত যে আনন্দ পেয়েছি, তা ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না।
’
jugantor ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।