আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

দ্বিতীয় বিয়েতে বাধা দেয়ায় গৃহবধূকে পায়ে শিকল পরিয়ে নির্যাতন

ডোমারে মধ্যযুগীয় কায়দায় দ্বিতীয় বিয়েকে কেন্দ্র করে প্রায় ছয় মাস ধরে স্বামী ও দ্বিতীয় স্ত্রী এক গৃহবধূকে পায়ে শিকল পরিয়ে অন্ধকার ঘরে আটকে রেখে নির্যাতন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। পুলিশের সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা বললে তাত্ক্ষণিক ঘটনাস্থলে গিয়ে সত্যতা পেয়ে স্বামীকে গ্রেফতার করে এবং অসুস্থ গৃহবধূকে উদ্ধার করে চিকিত্সা দেয়া হয়েছে। জানা গেছে, উপজেলার ভোগডাবুড়ী ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের প্রগতিপাড়ার মৃত মনছুর সরদারের ছেলে আয়ুর্বেদী চিকিত্সক জামিল হোসেনের সঙ্গে মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর থানার তনতন ইউনিয়নের পায়রাগাঁও গ্রামের সিংপাড়ার মৃত আফতাব উদ্দিনের মেয়ে আরজু আকতার লতার ১৯৯৭ সালে বিয়ে হয়। ১৪ বছরের সংসারে তিনি ৪ সন্তানের জন্ম দেন। প্রায় দুই বছর আগে লতাকে না জানিয়ে একই এলাকার চিলাহাটি উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র সংলগ্ন আজিজুল ইসলামের মেয়ে নুরে আশেকাকে বিয়ে করে।

নির্যাতনের শুরু তখন থেকেই। পাশের বাড়ির আবদুল আজিজ জানান, বিয়ের পর থেকেই নির্যাতন করা হচ্ছে। ছয় মাস থেকে পায়ে শিকল দিয়ে বেঁধে অন্ধকার ঘরে আটকে রেখেছে। এমনকি কারও সঙ্গে দেখা ও কথা বলতে দেয়া হয় না। ৬ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য তরিকুল ইসলাম উজ্জল ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, আশপাশের লোকজনের কাছে ঘটনাটি শুনেছি, অভিযোগ না থাকায় আমরা কিছু করতে পারিনি।

স্বামী জামিল হোসেন জানান, তার স্ত্রীর মানসিক সমস্যা আছে, বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। তাই এটা করতে হয়েছে। চিলাহাটি তদন্ত কেন্দ্রের কর্মকর্তা আমির হামজা জানান, আমি ঘটনাটি জানি না। ডোমার থানার ওসি সুকুমার মোহন্ত জানান, আপনারা চিলাহাটি তদন্ত কেন্দ্রের কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলার পরই তিনি আমাকে ফোনে জানিয়েছেন, আমি তখনই সত্যতা পেয়ে স্বামীকে গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছি, তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। লতাকে চিকিত্সা দেয়া হচ্ছে।

আগের পোস্ট হাই রেজুলেশন ধানমন্ডি লেক এর পিকচার (ছবি ব্লগ) ইদ ফ্যাশন সারি ২০১১ (ছবি ব্লগ)  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.