গ্রন্থমেলায় পৌঁছেছি আজ বিকেল পাঁচটা নাগাদ। বন্ধু বরুন কুমার বিশ্বাস অপেক্ষা করছিল। সে একজন কবি এবং প্রফেশনাল ফটোগ্রাফার। বরুন-এর মাধ্যমে পরিচয় হল অধ্যাপক সুব্রত কুমার দাস স্যারের সাথে। উনি একজন বড় মাপের মানুষ।
পরিচিত হওয়ার কিছুপরেই ভাগ্যক্রমে উনি আমার একটা ইচ্ছের ডাকে সাড়া দিলেন। আগামী ৪ তারিখ বিকেল পাঁচটায় নির্ধারিত হল, 'অনুরণন'-এর মোড়ক উন্মোচন হবে। উন্মোচন করবেন স্যার নিজেই। লেখালেখির অতীত অভিজ্ঞতা থাকলেও গ্রন্থমেলায় কি করে কি করতে হয়, সম্পূর্ণ অজানা আমার। বরুন পাশে না থাকলে, আসলেই অনেক কিছু অজানা এবং অসাধ্য রয়ে যেত।
একটুপর বন্ধু জোবায়েদ উল্লাহ রনি এসে উপস্থিত। এবং এরও কিছুপর বন্ধু আশিকুজ্জামান বিপুল, বন্ধু খালেদ মোশাররফ দীপু আর ছোটভাই নাহিদ হাসান সুমন এসে যোগ দিল আমাদের সাথে। অনেক অনেক আড্ডা হল সবাই মিলে। ব্যাস্ততার কারণে বন্ধু নাজমুল হক এবং বন্ধু শামিম পারভেজ আজ যেতে পারেনি। সবশেষে রনি, সুমন এবং দীপু একটা করে বই সংগ্রহ করে অটোগ্রাফ চেয়ে বসল।
এটা নিয়েও বেশ অনেক মজা হল। মধুর দ্বন্দ্ব বাঁধল, কারন আমিও তাদের কাছে অটোগ্রাফ চাইছিলাম। শেষ পর্যন্ত সবার সংগ্রহ করা বইতে মনে যা আসে লিখে সিগনেচার করে দিলাম। জীবনে প্রথমবার এমন কিছু করছি, কেউ খেয়াল করেছে কি না জানি না, আমার হাত কাঁপছিল তখন। এরপর গ্রন্থমেলা থেকে বের হয়ে একসাথে চা আড্ডা মাধ্যমে ভঙ্গ হল আমাদের আজকের রঙ্গমেলা! অসাধারন একটা দিন উপহার পেলাম আজ বন্ধুদের কাছে থেকে।
তাদেরকে ধন্যবাদ দেয়ার ভাষা আমার জানা নেই, এবং জানা থাকলেও শুধুমাত্র ধন্যবাদ দিয়ে দায় সেরে ছোট করতে চাই না আমি।
কাল দুপুরেই গ্রন্থমেলায় যেতে হবে বেশ কিছু কাজের কারণে। থাকব আজকের মতই রাত ৮-৯ টা পর্যন্ত। আগামী ৪ তারিখ বিকেল সাড়ে চারটা থেকে সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত 'অনুরণন' এর মোড়ক উন্মোচনে সবাইকে আমন্ত্রন। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।