এইডা কী দেখলাম রে ভাই? এই মুভি দেখলে তো সব হাতুড়ী ডাক্তারগুলা বলবো: “প্রিজারভেটিভ ওয়ালা লজ্জাতেও লইজ্জা করে!” তবে এইটা সত্যি। হলে দোস্তদের সাথে গাজাখুড়ি মুভি দেখার মধ্যেও কঠিন মজা আছে। এইজন্য Star Cineplex এবং ঈদের ছুটিকে ধন্যবাদ দিতে হয়।
আগে থেকে বলে রাখি মুভিটি আসলে ইংরেজী কিন্তু দেখার সময় অনেক জায়গা দেখেই মনে হয় এইটা জানি কোন নায়ক করে?? রজনীকান্ত। মুভিটি একটি Marvel Comics এর চরিত্র Thor নামক সুপার হিরো নিয়ে যার মূল আবির্ভাব হলো Norse Mythology’র হাতুড়ি দেবতা Thor।
মুভির কাহিনী বড়ই আইশ্চইর্য্য। দুনিয়া তে মোট দুনিয়া আছে ৯ খান। তার একখান আমাগো পৃথিবী। Thor ( Chris Hemsworth) এর দুনিয়ার নাম এ্যাস-গার্ড (Asgard) । সেইখানে তারে রাজা বানাইবো।
তার মূল অস্ত্র হলো একটা হাতুড়ি। Asgard এর শত্রু বরফ দানবেরা বিরাট ক্যাচাইল্লা পাবলিক। তাদের দুনিয়ার নাম Jotunheim। Jotunheim থেকে Asgard এ আসতে ঈদের সময় বাসের টিকিট পাওয়ার চেয়ে একটু কম কষ্ট হয়। এছাড়া মাঝে কোন ঢাকা-চিটাগাং এর রাস্তাও পড়ে না।
সেকারণে বরফ দানবেরা খালি Asgard চুরি-চামারির চেষ্টা করে। Thor কে যেইদিন তার বাপ রাজা Odin ( Anthony Hopkins) বানাবো সেইদিন আবার চোর গুলা দুষ্টামি করে। Thor যায় খেইপ্পা! এইগুলারে হাতুড়ির বাড়ি দেওন লাগবো। পরে Thor ও তার দোস্তরা বরফ দানবদের দুনিয়াতে গিয়া চড়-থাপ্পড় মাইরা আসে। Thor এর বাপ পোলারে ত্যাজ্য করে অপু বিশ্বাসের কাছে পৃথিবীতে পাঠায় দেয়।
কিন্তু অপু বিশ্বাসের আগে Natalie Portman এর সাথে দেখা। Thor এর ১০-১২ প্যাক দেইখা সবাই ফিদা। কিন্তু এদিকে Thor এর ছোট ভাই বাপরে হটাইয়া নিজে রাজা হয়। এদিকে Thor এর বাড়ি যাওয়া অফ। শুরু মেগা ভেজাল ।
যার মধ্যে কোন ভেজালের সাথেই পৃথিবীর মানুষদের কোন খাইয়া দাইয়া কাম নাই। সবশেষে Thor তার পাওয়ার ফিরে পায় আর বাড়ি গিয়ে তাদের যাতে কেই ডিস্টার্ব করতে না পারে সেইজন্য ইন্টার দুনিয়া বাস সার্ভিস এর অফিস ভাইঙা দেয়। অফিসটা আবার ডাচ-বাংলা ব্যাংকের বুথের মত। সবই হয় কিন্তু অপু বিশ্বাসের সাথে নায়কের দেখাই হয় না। তাজ্জব ব্যাপার।
শেষ দৃশ্যে Thor ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা Bashundhara City’র টয়লেটে লাইন দেয়। থুক্কু! এইটা তো মুভির পার্ট না। কী যে কই।
মুভিটি কমিক্স থেকে বানানো সুতরাং আজগুবি একটু হবেই। তবে আসলে এটাকে মুভি বানানোর উপযোগী কিছুই লাগেনি।
হলিউডে আসলেই খুব কাহিল অবস্থা। কোন মুভির কোন কাহিনী নাই। সবই স্পেশাল এফেক্ট। তবে Thor হলো Marvel Comics এর আওয়ামী Avengers লীগের সদস্য। সামনে এই দল নির্বাচনে দাড়াইবো তো।
তাই একটু চেহারা দেখায় গেল।
মুভিতে কোন Acting এর প্রয়োজন ছিল না। তাই কেউ করেও নাই। নায়কের ফিগার ভালো। Natalie Portman কে মুভির আগে Kaya Skin Clinic এর ঠিকানা দিলেই হতো।
সব মিলায় পুরাই রজনীকান্তীয় চলচ্চিত্র।
রেটিং – ১ / ৫
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।