আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান চলে গেলেন!

প্রত্যাশাই জীবন, বিবেক বাধা, আর বিভ্রান্তিই গতি সঞ্ছারক। হোক সে গতি পশ্চাৎমুখী কিংবা অভিমুখী। এই গতিতেই রয়েছে প্রত্যাশা, হয়ত ঊর্ধ্বমুখী কিংবা নিম্নমুখী জিল্লুর রহমান (জন্ম: মার্চ ৯, ১৯২৯: মৃত্যুঃ মার্চ ২০, ২০১৩ ) বাংলাদেশের ১৮-তম রাষ্ট্রপতি। বাংলাদেশ সময় আজ বুধবার বিকেল চারটা ৪৭ মিনিটে তিনি ইন্তেকাল করেন। সংশ্লিষ্ট হাসপাতালের একটি দায়িত্বশীল সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জিল্লুর রহমান শ্বাসকষ্টজনিত কারণে গত ৯ মার্চ রাতে ঢাকা সেনানিবাসের সম্মিলিত সামরিক (সিএমএইচ) হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। কিন্তু চিকিত্সকদের পরামর্শ অনুযায়ী উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে ১০ মার্চ রাতে সিঙ্গাপুরে পাঠানো হয়। রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানকে চিকিৎসার জন্য ১১ মার্চ সকালে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের একজন বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে এ যাবৎ দেশের সবকয়টি আন্দোলনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।

তিনি মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন। ২০০৯ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি এম এম রহুল আমিন তাঁকে বঙ্গভবনে শপথ বাক্য পাঠ করান। বাংলাদেশের ১৭-তম রাষ্ট্রপতি ছিলেন ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ। ১৯২৯ সালের ৯ মার্চ জিল্লুর রহমান কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরবে জন্মগ্রহণ করেন। তার স্ত্রী আইভি রহমানও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের একজন রাজনীতিবিদ ছিলেন।

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট রাজধানী ঢাকার বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলায় জিল্লুর রহমান তার সহধর্মিনী ও মহিলা আওয়ামী লীগের তৎকালীন সভানেত্রী আইভি রহমানকে হারান। পারিবারিক জীবনে তিনি এক পুত্র ও দুই কন্যার জনক। জিল্লুর রহমান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হতে ইতিহাসে মাস্টার্স ডিগ্রি লাভ করেন। একই বিশ্ববিদ্যালয় হতে তিনি আইন বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৭০ সালে তিনি পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সদস্য (এমএনএ) নির্বাচিত হন।

কিশোরগঞ্জ আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছাড়াও জিল্লুর রহমান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্যসহ বিভিন্ন সময় দলের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে ছিলেন তিনি। ২০০৮ সালের নবম সংসদ নির্বাচনসহ '৭৩, '৮৬, '৯৬ ও ২০০১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর-ভৈরব আসন থেকে জিল্লুর রহমান সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। '৯৬ এর আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে তিনি এলজিআরডি মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৬ সালের ১১ জানুয়ারি ফখরুদ্দীন আহমদের তত্তাবধায়ক সরকার দায়িত্ব নিলে যখন শেখ হাসিনা গ্রেফতার হন তার পর থেকেই জিল্লুর রহমান বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের হাল ধরেন। সুত্র- উইকি থেকে ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.