বিশ্বের অন্যতম আলোচিত রাষ্ট্রপতি ভবন হিসেবে ভারতে রাষ্ট্রপতি ভবনের কথা উঠে আসে প্রথম দিকেই।
বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হওয়ায় ভারতের রাষ্ট্রপতি ভবনের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। প্রাচীন ঐতিহ্যের এক অপূর্ব নিদর্শন হিসেবে ভারতীয় এই রাষ্ট্রপতি ভবনের বিশেষ মর্যাদা রয়েছে। প্রায় ৪০ একর জমিতে নির্মিত ভারতের রাষ্ট্রপতি ভবনটি চারতলা। এ ভবনটিতে রয়েছে ৩৪০টি কক্ষ।
প্রতিটি তলায় রয়েছে লাইব্রেরি। এ ছাড়াও রয়েছে ৭৪টি লবি, ১৮টি সিঁড়ি, ১৭টি ঝরনা। ভারতীয় রাষ্ট্রপতির বাসভবনটি যেন ইতিহাসের সাক্ষী হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে। ব্রিটিশ ভারতের ভাইসরয় ভবনটি এখন ভারতের রাষ্ট্রপতি ভবন। দেশটির ত্রয়োদশ রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি এখন ভবনটির বাসিন্দা।
ভারতীয় উপ-মহাদেশের ইতিহাস থেকে জানা যায়, সম্রাট পঞ্চম জর্জ দিলি্লতে ভারতের রাজধানী প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। দিলি্লকে রাজধানী শহরের আদলে গড়ে তোলার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল ওই সময়ের প্রখ্যাত ব্রিটিশ স্থপতি এডউইন ল্যান্ডসার লুটিয়েনসের হাতে। রাইসিনা হিল হয়ে উঠল এক নতুন নগরী হিসেবে। পরিকল্পনা কমিশন ১৯১২ সালে সে সময় ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের অধিশ্বরের জন্য প্রাসাদ তৈরির উদ্যোগ নেয়। আর তখনই রাইসিনা হিলে এ ভবনটি নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এ জন্য ব্রিটিশ সরকার অনুমোদন দেয় চার লাখ পাউন্ডের। প্রথমে চার বছরের মধ্যে ভবনটি নির্মাণ শেষ হবে বলে মনে করা হলেও এতে লেগে যায় হয় প্রায় ১৭ বছর। হিন্দু, বৌদ্ধ, মোগল, গ্রিক, রোমান স্থাপত্যে নির্মিত প্রাসাদটি তৈরি করেন প্রায় ২৯ হাজার শ্রমিক। রাষ্ট্রপতি ভবনের ৩৪০টি কক্ষের অন্যতম হচ্ছে ইয়েলো ড্রইং রুম। এখানে মন্ত্রিসভা, স্পিকারসহ সাংবিধানিক মর্যাদাসম্পন্ন পদের ব্যক্তিরা শপথ নেন রাষ্ট্রপতির কাছে।
রয়েছে ভোজঘর। এখানে ১০৪ আসনের বসার ব্যবস্থা রয়েছে। রয়েছে আলো ঝলমল অশোক হল। এ ঘরের মেঝে কাঠের তৈরি। এখানে বিদেশি অতিথিদের অভ্যর্থনা জানানো হয়।
রাজ্যপ্রধানদের দেখা করার জন্য রয়েছে নর্থ ড্রইংরুম। রাষ্ট্রপতি ভবনের অন্যতম আকর্ষণ হচ্ছে দরবার হল। একসময় এখানে ছিল সিংহাসন। যেখানে ব্রিটিশ অধিপতি বসতেন। আজ আর সেখানে সেই সিংহাসন নেই।
সিংহাসনের স্থানে এসেছে কারুকার্যখচিত চেয়ার। আর রাষ্ট্রপতি ভবনের পেছনেই রয়েছে আর্কষণীয় বাগান; যা মোগল গার্ডেন নামে পরিচিত। এ বাগানে রয়েছে ২৫০ রকমের গোলাপ এবং দেশি-বিদেশি হাজার রকমের ফুল। এ ছাড়া এখানকার হার্বাল গার্ডেনটিও চমৎকার। আলোচিত রাষ্ট্রপতির বাসভবনের ভেতর বেশ ব্যয়বহুল আয়োজন রয়েছে।
এসব অতিরিক্ত ব্যয় কমানোর জন্য ইতোমধ্যে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এসব কারণে প্রশংসিত হচ্ছে রাষ্ট্রপতি ভবন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।