কামরুল কেমিস্ট আমাদের ভাষা বিজ্ঞানীরা ব্যাকরণ নিয়ে অবিরাম গবেষণা করে যাচ্ছেন। সময়ের তালে তালে আমাদের ব্যাকরণ আরও সমৃদ্ধ হচ্ছে। আর ভাষা যেহেতু চলমান তাই ব্যাকরণ ও থেমে থাকতে পারে না। ভাষার নিত্য নতুন প্রয়োগ, শব্দের নিত্য নতুন ব্যবহার প্রতিনিয়ত ভাষাকে আরও গতিময় করছে, করছে আরও সাবলীল ও সহজ। বাংলা ভাষায় কিছু পদ ব্যবহৃত হয় যার কোন অর্থ নেই কিন্তু আমরা ব্যবহার করি, উদাহরন স্বরূপ নিম্নের পদগুলো দেখা যাক।
• বাড়ি- টারি বেশি যাওয়া ভাল নয়।
• খাবার-দাবার তুলে রাখ।
• ভোল্টেজ উঠা নামার কারনে ফ্রিজ- ত্রিজ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
• বই- টই নিয়ে পরায় মন দাও।
• কাপর-চোপর ধুয়ে রাখ।
• ভাল করে খাও, জ্বর- টর কমে যাবে।
এরকম আরও অনেক উদাহরণ দেয়া যেতে পারে। উপরের এ পদ ( অর্থ না থাকলে শব্দ বলা যায় না !!!) গুলোর একাকী কোন অর্থ না থাকলেও বাক্যে ব্যবহৃত হয়ে অর্থ প্রকাশ করে। যেমন- খাবার-দাবার তুলে রাখ। এখানে দাবার পদটির আলাদা কোন অর্থ নেই।
কিন্তু বাক্যে ব্যবহৃত হয়ে খাবারের সাথে ব্যবহৃত অন্যান্য তৈজসপত্র বুজাচ্ছে। আবার, ভোল্টেজ উঠা নামার কারনে ফ্রিজ- ত্রিজ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এ বাক্যে ত্রিজ পদের একাকী কোন অর্থ নেই কিন্তু বাক্যে ব্যবহৃত হয়ে অন্যান্য ইলেক্ট্রনিক্স সামগ্রী বুজাচ্ছে। এছাড়া, বই- টই নিয়ে পরায় মন দাও। বাক্যে ব্যবহৃত টই পদটির একাকী কোন অর্থ হয় না কিন্তু বাক্যে ব্যবহারের কারনে আমরা টই বলতে বুঝি খাতা ও কলম।
বাংলা ব্যাকরণে দ্বিরুক্ত শব্দ নামে একটি পাঠ রয়েছে যাতে বলা হয়েছে দ্বিরুক্ত নানা রকম হতে পারে। ১. শব্দের দ্বিরুক্ত ২. পদের দ্বিরুক্তি ও ৩. অনুকার দ্বিরুক্তি। এগুলোর অনেক উদাহরণ ও রয়েছে। উপরের বাক্য গুলোতে ব্যবহৃত পদ গুলো দ্বিরুক্ত কি না কিংবা দ্বিরুক্ত হলেও কোন প্রকার দ্বিরুক্তি তার ব্যাখ্যা পেলে সাধারন বাঙ্গালীদের পদ ব্যবহারে সহজ হত। আমরা আমাদের ভাষাকে সহজ ভাবে ব্যবহার করতে চাই, নিজের মত করে, যেন আমার ভাব সহজ করে সবাইকে বুজাতে পারি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।