যতোদিন মানুষ অসৎ থাকে, ততোদিন তার কোনো শত্রু থাকে না; কিন্তু যেই সে সৎ হয়ে উঠে, তার শত্রুর অভাব থাকে না।
বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম নদী আমাজন। দক্ষিণ আমেরিকার প্রায় ৭০ লাখ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে আঁঁকাবাঁকা পথে বয়ে চলেছে এই নদীটি। কিন্তু শুধু এটুকুই না। আরও অনেক বিস্ময় এতদিন লুকিয়েই রেখেছিল আমাজন।
নদীটির ভূপৃষ্ঠে আরও চার কিলোমিটার নিচে আরও বড় আয়তনের একটি নদী বয়ে চলেছে বলে সম্প্রতি এক গবেষণায় দাবি করেছেন ব্রাজিলের বিজ্ঞানীরা। রিও ডি জেনিরোতে গত সপ্তাহে জিওফিজিক্যাল সোসাইটির এক সম্মেলনে এই বিস্ময়কর দাবিটি করেন ব্রাজিলের ন্যাশনাল অবজারভেটরির জিওফিজিকস বিভাগ।
আমাজন ভূপৃষ্ঠের চার কিলোমিটার নিচ দিয়ে বয়ে যাওয়া এই নদীটির নামকরণ করা হয়েছে গবেষক দলের প্রধান ভালিয়া হামজার নাম অনুসরণে। নব-আবিষ্কৃত এই হামজা নদীটি বয়ে চলেছে আমাজনের মতোই পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে। আমাজন ও হামজা, দুই নদীই দৈর্ঘ্যে সমান (ছয় হাজার কিলোমিটার) হলেও প্রস্থে অনেকগুণ বড় ভূগর্ভস্থ নদীটি।
ব্রাজিলের আক্রে প্রদেশ থেকে শুরু হয়ে সালিমোস, আমাজোনাস ও মারাজু শাখা নদীগুলো দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে এই নদীটি। শেষ হয়েছে আটলান্টিক মহাসমুদ্রে। তবে আমাজনের তুলনায় হামজা নদীর পানিপ্রবাহের গতি অনেক ধীর।
তেল উত্তোলনের জন্য আমাজন অঞ্চলে স্থাপন করা ২৪১টি অকার্যকর গভীর কূপের তাপমাত্রা তারতম্যের কারণ অনুসন্ধান করতে গিয়ে সম্প্রতি এই ভূগর্ভস্থ নদীটির সন্ধান পায় ব্রাজিলের জিওফিজিকস বিভাগ। ১৯৭০ ও ১৯৮০-র দশকে এই কূপগুলো স্থাপন করেছিল দেশটির পেট্রো-কেমিক্যাল কোম্পানি পেট্রোব্রাস।
আমাজন নদীর মুখগুলোতে লবণের স্বল্পতার কারণ হিসেবে এই হামজা নদীর উপস্থিতিই বড় ভূমিকা পালন করেছে বলে অনুমান করছেন বিজ্ঞানীরা। তবে এখনো এই নদীর বৈশিষ্ট্য, প্রকৃতির ওপর এর অবদান ইত্যাদি বিষয়ে পরিষ্কার করে কিছু বলতে পারছেন না তাঁরা। আমাজনের এই নতুন বিস্ময়ের স্বরূপ বুঝতে আরও তিন-চার বছর সময় লাগতে পারে বলে ধারণা গবেষকদের। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।