আমাজন বনের গভীরে লুকিয়ে ছিলো শতশত নকশা। বৃত্ত, বর্গসহ নানারকম জ্যামিতিক আকৃতি তৈরি করা হয়েছে আমাজন বনে। আজও জানা যায়নি কারা করে গেছে এমন কাজ। তবে এসব নকশা অজ্ঞাত কোনো প্রাচীন চিন্তাশীল সমাজের ইঙ্গিত দেয়। সম্প্রতি সেই নকশাই দেখা গিয়েছে উপগ্রহের ক্যামেরায়।
খবর ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক সোসাইটির।
জানা গেছে, এসব ছবি তোলার শুরু হয়েছে সেই ১৯৯৯ সাল থেকেই। উঁচু আমাজন বেসিন এলাকায় উপগ্রহের সাহায্যে তোলা এ ছবি প্রমাণ করে ২০০ টিরও বেশি জ্যমিতিক ভূমিচিত্র ছড়িয়ে আছে ১৫৫ মাইলজুড়ে।
গবেষকরা এখন ধারণা করছেন, যা এখন পর্যন্ত দেখা সম্ভব হয়েছে তারও প্রায় ১০ গুণ বেশি চিত্র থাকতে পারে ওই এলাকায়। তবে এই ছবি কি উদ্দেশ্য নিয়ে আঁকা হয়েছিলো বিজ্ঞানীরা এখনো পর্যন্ত তা জানতে পারেননি।
অনুমান করা হচ্ছে, আরো বেশি এমন চিত্র ছড়িয়ে থাকতে পারে পুরো আমাজন বনভূমি জুড়েই।
এগুলো কত পুরোনো হতে পারে সে সম্পর্কে ব্রাজিলের ফেডারেল ইউনিভর্সিটি অব পারা এর নৃতাত্বিক ডেনিশ স্ক্যান সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, এসব চিত্রের জন্ম ১২৮৩ সালের কাছাকাছি সময়ে যেমন হতে পারে, তেমনি ২০০ থেকে ৩০০ সালেরও হতে পারে!
জানা গেছে, এসব নকশা যে সভ্যতার লোকজনেরই ‘আঁকা’ হোক না কেনো, অনুমান করা হয়, কোনো রোগ বা অন্য কোনো কারণে সেই সভ্যতা মুছে গেছে ওই এলাকা থেকে, রয়ে গেছে কেবল তাদের আঁকা নকশা।
অথচ, হারানো এই সভ্যতার কোনো রেকর্ডই নেই কোনো গবেষকের দলিলে। বিভিন্ন মাপজোক থেকে থেকে দেখা গেছে আমাজনের উঁচু এলাকার মাটি খুবই দুর্বল। এর ফলে এলাকাটি কৃষিকাজ বা অন্য কোনো উপায়ে জীবনধারণ করার উপযোগী নয়।
ফলে সেখানে কোনো স্থায়ী বসতিও গড়ে ওঠেনি কখনো।
এদিকে ইউনিভর্সিটি অব পারা এর নৃতাত্বিক স্ক্যান আরো জানিয়েছেন, ‘আমরা যা জেনেছি সেটা প্রকৃত চিত্র নয়। এখানে খুঁজে পাবার মতো আরো অনেক কিছুই আছে। ’
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।