চারিদিকে দেখো চাহি হৃদয় প্রসারি চ্যাপলিন বলেছিলেন, ‘আমি বৃষ্টিতে হাঁটতে ভালোবাসি, যাতে কেউ না বুঝতে পারে আমি কাঁদছি’। নতুন বাংলা ছবি চ্যাপলিন দেখতে দেখতে এই কথাটা বারবার মনে পড়ছিল। ছবির কেন্দ্রীয় চরিত্রটি আমাদের খুব চেনা একজন মানুষ। এই মানুষটিকে ইদানীং আমরা বিয়ে পৈতে জন্মদিনের মতো নানা জমকালো অনুষ্ঠানে দেখতে পাই। দেখতে পাই নামজাদা থেকে পাড়ার দুর্গোপুজো প্যাণ্ডেলেও ।
চ্যাপলিনের পোষাক পড়া এই লোকটি, এই লোকগুলি অনুষ্ঠানবাড়িতে হাল্কা রঙ্গরস পরিবেশন করে। গৃহকর্তা/কর্তী অতিথিদেবকে কিছু হাল্কা মজা দিতে তাদের ভাড়া করেন। অল্পটাকায় সারাদিন তাদের হাস্যরস পরিবেশন। এই সিনেমার বংশী এরকম এক চ্যাপলিন রঙ্গকর্মী। দারিদ্রপীড়িত, ছেলেকে নিয়ে চূড়ান্ত অভাবের মজার কষ্টকর সংসার।
সে বিশ্বাস করে সে আর কিছু, আর কিছুই পারে না, কিন্তু অভিনয়টা পারে। টিভির এক রিয়েলিটি শোয়ের ট্যালেন্ট হান্ট এ সে শেষমেষ এসে পড়ে, বিজয়ীও বনে যায়। এই হাসির ইচ্ছাপূরণের আড়ালেও আসলে কান্নাই থেকে যায়। ব্রেন টিউমারে একমাত্র ছেলে, সাত বছরে চলে যায়। ছেলের সাত বছরের শেষ জন্মদিনে তার ইচ্ছামত কান্না চেপে হাসতে হাসতে সে চ্যাপলিনের অভিনয়ে নিজেকে উজার করে দেয়।
চ্যাপলিনের সিনেমা গুলোতে হাসির আড়ালে অনেক গভীর যন্ত্রণার ক্ষত লুকিয়ে আছে। এখানেও চ্যাপলিনের ভূমিকায় অভিনয় করতে গিয়ে রূদ্রনীল আমাদের যত হাসাতে চেয়েছেন, আমরা ততই কেঁদে ফেলেছি। হ্যাটস অফ রূদ্রনীল। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।