আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

চিরকালই আমি প্রচণ্ড নারী বিদ্বেষী, হায়, স্যালুট জানাবার মতো নারী নাহি পাই…

ভালো আছি কারণ− এ্যারিস্টেটল বলেছে, নারী দাসী । তাই দাসী নারীর প্রতি সুনীলের মতো তসলিমাদের পানে হাতবাড়ানো ছাড়া আমার আর কোনো আকর্ষণ নেই । মিশেল বলেছে, নারী অতিরিক্ত-অপ্রয়োজনীয় । ফলে হুমায়ূনেরর মতো বউকে তালাক দিয়ে মেয়ের বান্ধবীকে গ্রহণ করা ব্যতীত অন্য কোনো প্রয়োজন অনুভব করি না আমি । পিথাগোরাস বলেছে, নারী অশুভ ।

তাই আল-মাহমুদের মতো কামনার কবিতা লেখা ভিন্ন অন্য কোনো শুভকাজে নারীকে জায়গা দিতে আমি নারাজ । নেপোলিয়ন বলেছে, নারীকে পদদলিত ও লণ্ডভণ্ড করতে হবে । অতএব, হুমায়ূন আজাদের ন্যায় আপন মেয়েকেও গ্রহণ করে লণ্ডভণ্ড করে দেবার বাসনা জাগে আমার হরহামেশাই । রাসকিন বলেছে, নারী সেবিকা । সুতরাং সৈয়দ শামসুল হকের মতো কামুক পুরুষ হতে মন চায় আমার, যেনো শত বাধা সত্ত্বেও কেউ থামাতে না পারে ।

হাইনে বলেছে, নারী একই সঙ্গে আপেল ও সাপ । তো নির্মলেন্দুর মতো কামকাননে যাওয়া ব্যতিরেকে আর কোন পথ আছে আমার ? আরো আছে….বলেছে কবিগুরু, কোলে থাকিলেও নারী রেখো সাবধানে…নারী কভু বশ নাহি মানে । এবার তাহলে বিদ্বেষ পুরাতে আমাকে মহাত্মা গান্ধীর কাছে যেতেই হয় । যে কিনা ভালোবেসে নারীকে কোলে রাখতেই বেশি পছন্দ করতেন । আর নজরুল, সে তো কেবল ‘অর্ধেক তার গড়িয়াছে নারী’ বলে ক্ষান্ত থাকে নি…বিদ্বেষের প্রচণ্ডতায় তার কণ্ঠে ছলকে উঠেছে, এরা দেবী এরা লোভী, এদের অতি লোভী মন..একজনে তৃপ্ত নয়, একপেয়ে সুখী নয়, যাচে বহুজন ।

তাহলে নারীকে বিদ্বেষের খাতায় না ফেলে কোথায় যাবো আমি ! থামেন, থামেন…এত বিদ্বেষ কপচায়েন না । আহমদ শফি আসতেছে...এবং শেষপর্যন্ত তিনি এসেই পড়েছেন তার বিখ্যাত তেঁতুল তত্ত্ব নিয়ে । বাহ কি চমৎকার ! তার খশখশে ওয়াজে একমুহূর্তে একেবারে সব বিদ্বেষ ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে গেলো আমার । সব কাম তৃষ্ণা নিমিষেই দূরীভূত হয়েছে আজ । আর আমি প্রবল আকর্ষণ অনুভব করলাম কামমুক্ত নারীর প্রতি ।

। এ্যারিস্টেটল, মিশেল, পিথাগোরাস, রাসকিন, নেপোলিয়ন, হাইনে, ঠাকুর ও নজরুল সবাইকে ভাগারে ফেলে এখনই আমাকে যুগযুগান্তের অবহেলিত- উপেক্ষিত মা-বোনের সন্ধানে নামতে হবে । রাগে-ক্ষোভে দু:খে পাগল প্রায় আমি । নারী আর যাই হোক তেঁতুল হতে পারবে না । সুতরাং নারীকে স্যালুট জানাতে ছুটে গেলাম লাকিদের শাহবাগে ।

গেলাম নারী নেত্রীর বাসায়, যে নারী স্বামীকে বেঁধে রেখে প্রেমিকার সাথে পলায়নপর । দাঁড়ালাম অপারেজয় বাংলার চত্বরে পিনোন্নত নারীর হাতে হাত মিলিয়ে । বসলাম টিএসসিতে, ওয়াইফাই’র সুযোগ নিয়ে অবাধে পর্নোদ্রষ্টা নারীর কাঁধে কাঁধ মিশিয়ে । একবার এফডিসিতে ঢু মেরে দেখার শখ যে হয়নাই- তা কিন্তু নয় । সন্দেহের দোলাচলে দুলতে দুলতে হলাম বিশিষ্ট সতেরজনের একজন ।

যদিও সেখানে সাত-দশে কামুকের বসবাস, তবুও নারীকে তেঁতুল হতে না দেয়ার প্রতিজ্ঞায় আমি অটল । আমার উন্মাদনা কিন্তু কমে নি, উত্তোরত্তর বৃদ্ধি পেয়েছে । অবশেষে আমি হলাম বাংলার অবিসংবাদিত প্রধানমন্ত্রী, সেখানে থাকুক না মৃণাল কান্তি সেন । থাকুক তার দলে ধর্ষণের সেঞ্চুরিতে এ্যাওয়ার্ড পাওয়া ভার্সিটি তরুণ । তবু আমি এখনও শফিমুক্ত হতে পারি নি ।

প্রয়োজনে দেশ থেকে তেঁতুলের বংশ নিপাত করবো । প্রাণ-আচার কোম্পানীকে দেউলিয়া করে ছাড়বো । তবু আমাকে তেঁতুলের ভূত তাড়াতে হবে । কারণ প্রকৃত নারীকে খুঁজে পেতেই হবে আমাকে, তাকে একবার স্যালুট জানাবো । জানাতেই হবে ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ২৭ বার

এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.