আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মিথ্যা চিরকালই মিথ্যা যদিও তা হাজারবার উচ্চারিত হয়..(উৎসর্গ ব্লগের যত রাজাকার ও তাদের ছাও পোনা)

যুদ্ধাপরাধীর বিচার ও জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবী করছি

যুদ্ধাপরাধী ও রাজাকারদের আখড়া জামাতে ইসলামী নামের সংগঠনটি নিজেদের সৎলোকের দল বলে দাবী করে। কিন্তু প্রকৃত পক্ষে এটা যে একটা মিথ্যা প্রচারনা তা বলারই অপেক্ষা রাখে না। নীচের প্রতিবদেনটি পড়া শেষ করার পর আপনিও আমার শিরোনামের সাথে একমত হবে - "মিথ্যা চিরকালই মিথ্যা যদিও তা হাজারবার উচ্চারিত হয়..." জামাত সেই ১৯৮৬ সনের ইলেকসন থেকে একটি নির্বাচনী শ্লোগান ব্যবহার করছে। "সৎ লোকের শাসন চাই, আর আল্লাহর আইন চাই। ১৯৯১, ১৯৯৬ আর ২০০১ সনে ৪ দলীয় জোটের সাথে নির্বাচন করার সময়ে জামাত একই শ্লোগান ব্যবহার করে।

জামাত ৩১টি আসনে প্রার্থি দেয় আর জয় লাভ করে ১৭টি আসনে। ২ টি বাদে সব গুলো আসনে জয় লাভের কারন ছিল বি এন পির ভোট ব্যান্ক আর জামাতের রিজার্ভ ভোট। নির্বাচনে জামাতের অংশ গ্রহন ছিল জোট বদ্ধ এবং সরকার ছিল জোট সরকারের তাই এ সরকারে সকল দায় দায়িত্ব জামাতের ওপর ও বর্তায়। এখানে আরো উল্লেখ করা যায় যে টেকনোক্র্যাট কোটায় জামাত একটি মন্ত্রিত্ব দখল করে। মহিলা সদস্যদের কোটায় আরো ২ টি।

একটি সরকারি দলের যে সকল সুবিধা পাবার কথা জামাত তার পুরোটি নিয়েছে। আর ছিল বি এন পি পার্টনার ইন ক্রাইম। কেমিক্যাল করপোরেসন কোকো, ফালুর, আর তারিকের মালিকাধিন বস্তা ফ্যাক্টরি থেকে সারের জন্য বস্তা কেনে অতিরক্ত দামে এর দায় দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রীর উপরেও বর্তায় বটে। নির্বাচন জোট বদ্ধ ভাবে করলেও ম্যানিফেস্টো জামাত আলাদা ভাবে প্রকাশ করেছিল। এ পর্বে আলোচনা হবে সেই ম্যানিফেষ্টোর কতটি জামাত বাস্তবায়ন করেছে জামাত আর আগামী পর্বে আলোচনা করা হবে সতেরোটি সত লোকের দুর্নীতি আর আকন্ঠে ভাবে ক্ষমতার অপব্যবহার।

ম্যানিফেস্টোর প্রথমেই আছে শরিয়া আইনের প্রবর্তনের লক্ষ্যে আইন প্রনয়ন আর জনমত ঘঠন। অষ্টম জাতীয় সংসদের একটি কার্য দিবসে জামাতের কোন এম পি কোন প্রস্তাব বা বিল পেশ করেন নি। কোন কার্য দিবসে জনমত পরীক্ষার জন্য স্পীকারের কাছে আবেদন জানাননি। ম্যানিফেষ্টোর এটি বুলেট পয়েন্ট হলেও ক্ষমতার ৫ বছর জামাত এ ব্যাপারে টু শব্দ করেনি। সালাত আইন বানানো ছিল তাদের আরেকটি নির্বাচনী প্রতিশ্রতি।

এ আইনে সকল মুসলমানের জন্য নামাজ আদায় বাধ্যতামুলক এবং শিক্ষার সর্বস্তরে ইসলামের মুল স্তম্ভ গুলো পড়ানোর হবে বলে হয়। অষ্টম জাতীয় সংসদের একটি কার্য দিবসে জামাতের কোন এম পি কোন প্রস্তাব বা বিল পেশ করেন নি। কোন কার্য দিবসে জনমত পরীক্ষার জন্য স্পীকারের কাছে আবেদন জানাননি। ম্যানিফেষ্টোর এটি বুলেট পয়েন্ট হলেও ক্ষমতার ৫ বছর জামাত এ ব্যাপারে টু শব্দ করেনি। বায়তুল আমান গঠন ছিল জামাতের আরেকটি নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি।

জাকাতের মাধ্যমে সরকারী ট্যাক্স কালেকসন কে রিপ্লেস করা ছিল এর উদ্দেশ্য। বলতে দ্বিধা নেই জামাত এ ব্যাপারে প্রতিশ্রুতি রাখেনি। দেখা যাচ্চে সত লোকের দল বিশ্বাস আর প্রতিশ্রুতি ভন্গকারি। এরা মিথ্যাবাদি আর সবকটি রাজনীতিক দলের মত এরা রাজনীতিবিদ। তফাত হচ্ছে এরা ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করে আর বিভ্রান্ত করে।

এরা ইসলামের জন্য কিছুই করেনি এবনহ করার ইচছা ও এদের নেই। এরা শুধু সাধারন মানুষের ধর্ম বিশ্বাস নিয়ে খেলছে। (ধন্যবাদ : কিন্তু কি)

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.