আমি নতুন কিছু পড়তে ভালবাসি
এই পর্যায়ে চলুন দেখি তাওয়ার পরিধিটা কত বিস্তৃত। এ ব্যাপারে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বলেছেন-
“(হে মানুষ) তোমরা যারা ঈমান এনেছো, আল্লাহকে ভয় করো, ঠিক যতটুকু ভয় তাঁকে করা উচিত, আর (আল্লাহর কাছে সম্পূর্ণ) আত্মসমর্পণকারী না হয়ে তোমরা কখনও মৃত্যুবরণ করো না। ” সূরা আলে ইমরান-১০২
অর্থাৎ আল্লাহকে যথাযথভাবে ভয় করতে হবে। আর এর মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ মুসলিম হয়ে তারপরেই মৃত্যুর দিকে যেতে হবে নচেৎ খবর আছে। তবে এর মানে তো এ নয় যে যতক্ষণ পর্যন্ত পূর্ণাঙ্গ মুসলিম হতে পারি নাই ততক্ষণ পর্যন্ত আল্লাহ আমাদেরকে মৃত্যু দেবেন না, বরং এর মানে হলো- যে কোন সময়েই আল্লাহ আমাদেরকে মারতে পারেন আর যখনই মারবেন তখনই যেন তিনি আমাদেরকে মুসলিম হিসেবে পান।
মানে আমাদেরকে চব্বিশ ঘন্টাই মুসলিম হিসেবে বসবাস করার জন্য আল্লাহ নির্দেশ দিচ্ছেন।
এখন কুরআন নাযিলের ব্যাপারে আরও কিছু কথা বলতে চাই। আগেই বলা হয়েছে কুরআনটা পৃথিবীর সকল মানুষের জন্য হেদায়াত স্বরূপ হলেও এখান থেকে সবাই হেদায়াত পায় না। যারা আল্লাহর কথামত চলেন তারাই শুধু হেদায়াত পান। এ ক্ষেত্রে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন কুরআনুল কারীমে এরশাদ করেছেন-
“আমি কুরআনে যা কিছু নাযিল করি তা হচ্ছে ঈমানদারদের জন্যে (তাদের রোগের) উপশমকারী ও রহমত, কিন্তু এ সত্ত্বেও তা যালেমদের জন্যে ক্ষতি ছাড়া আর কিছুই বৃদ্ধি করে না।
” সূরা বনী ইসরাঈল-৮২
তার মানে যালেমরা এই কুরআন থেকে কোন উপশম পাবে না।
আর এমনিতেই কেউ যদি কুরআনের অনুসরণ না করে তাহলে তার পরিণতি কি হবে সেই ব্যাপারে কুরআনের আলোচনা শুনুন।
আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বলেন-
“যে ব্যক্তি আমার স্মরণ (উপদেশমালা) থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে তার জন্য হবে দুনিয়ার সংকীর্ণ জীবন এবং কিয়ামতের দিন আমি তাকে উঠাবো অন্ধ করে। সে (নিজেকে এভাবে দেখার পর) বলবে, হে আমার মালিক- তুমি আমাকে কেন (আজ) অন্ধ বানিয়ে উঠালে? দুনিয়াতে তো আমি চক্ষুষ্মান ব্যক্তিই ছিলাম! আল্লাহ বলবেন, হাঁ, এভাবেই তো। আমার আয়াত যখন তোমার কাছে এসেছিল, তুমি তাকে ভুলে গিয়েছিলে এবং সেভাবেই আজ তোমাকেও ভুলে যাওয়া হচ্ছে।
” সূরা ত্বা-হা-১২৪-১২
স্পষ্ট যে আমরা যদি কুরআনের অনুসরণ না করি তাহলে পৃথিবীতে যতবড়ই ক্ষমতাশালী, প্রভাবশালী, সম্পদশালী হই না কেন আখিরাতে এগুলোর কোন মূল্য তো থাকবেই না বরং উল্টো আরো অন্ধ হয়ে উঠতে হবে। সেই কঠিন ময়দানে যদি কেউ অন্ধ হয়ে উঠে তাহলে তার অবস্থা কি হবে তা সহজেই অনুমেয়। (চলবে)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।