প্রথমেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। একটা বিশাল বড়, যাকে বলে মহাভারত (!) সেই দেশটির মানুষের বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করার জন্য। কিন্তু তাদের দেশের কতিপয় নাগরিকের আচরণ দেখে তাদের জংলি বলতেই হয়। ভারতের মানুষ এত্ত সেক্সি! তারা এতো বেশি ধর্ষণপ্রিয় হয়ে উঠেছে। নারী দেখলেই হামলে পড়ছে এরা।
মেডিকেলের এক ছাত্রীকে ধর্ষণ করে এরা মেরেই ফেললো! তারপরও ক্ষান্ত হচ্ছে না সেখানকার জনগণ। একের পর পর ধর্ষণ করেই যাচ্ছে। সুইস এক নারীকে তিন-চারদিন আগে কতিপয় ষণ্ডা ধর্ষণ করে।
এদিকে আজও একটি ঘটনা ঘটে ভারতে। দেশটির আগ্রায় যৌন হয়রানির ভয়ে এক ব্রিটিশ নারী পর্যটক হোটেলের জানালা দিয়ে লাফিয়ে পড়ে আহত হয়েছেন।
তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আগ্রার পুলিশ সুপার পবন কুমার জানান, ভোর চারটার দিকে দুই ব্যক্তি দোতলায় ওই নারীর কক্ষে ঢোকার চেষ্টা করেন। এ সময় তিনি আতঙ্কিত হয়ে দৌড়ে ঘরের অন্য প্রান্তে চলে যান। একপর্যায়ে জানালা থেকে নিচে লাফ দেন।
হাসপাতালে ওই নারী পর্যটকের সঙ্গে থাকা একজন পুলিশ কর্মকর্তার বরাত দিয়ে টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়, এর আগে হোটেলের ব্যবস্থাপক ওই নারীকে শরীর ম্যাসাজ করে দেওয়ার প্রস্তাব দেন।
কিন্তু ওই ব্রিটিশ নারী প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন। ঘটনার রাতে হোটেলের ব্যবস্থাপক আরও এক ব্যক্তিকে সঙ্গে নিয়ে হোটেলের আরেকটি চাবি দিয়ে ওই নারীর কক্ষের দরজা খোলার চেষ্টা করেন। এ সময় ওই নারী পর্যটক আতঙ্কে জানালা দিয়ে লাফ দেন।
তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হোটেলের একজন কর্মচারী দাবি করেন, ওই নারী পর্যটকের ভোরে ট্রেন ধরার কথা ছিল। হোটেলের ব্যবস্থাপক ভোরবেলা তাঁকে ঘুম থেকে ডেকে তুলতে গিয়েছিলেন।
দিল্লিতে গণধর্ষণের পরে প্রশ্ন উঠেছে, রাতে চলন্ত বাসে মেয়েরা কি নিরাপদ? বৃহস্পতিবার দেখা গেল, ভরবিকেলে ট্রেনের বাতানুকূল কামরার মধ্যেও নিরাপত্তা নেই মেয়েদের।
অভিযোগ, এ দিন দিল্লিগামী ব্রহ্মপুত্র মেলে শৌচাগারের কাছে এক তরুণীকে মেঝেয় ফেলে ধর্ষণের চেষ্টা করে এক যুবক। যার হাত থেকে বাঁচতে শেষে চলন্ত ট্রেন থেকেই ঝাঁপ দেন ওই তরুণী। এই ঘটনায় পরে দুই অভিযুক্তকে আটক করে রেল পুলিশের হাতে তুলে দেন ওই কামরার যাত্রীরাই। উত্তরবঙ্গের বাসিন্দা ওই তরুণীর অবস্থা আশঙ্কাজনক।
তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
দিল্লির গণধর্ষণের পরে দেশজুড়ে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। কিন্তু তাতে কি আদৌও লাগাম পড়েছে এই ধরনের ঘটনায়? বারাসত, কলকাতার বো ব্যারাক, কসবা এবং বৃহস্পতিবারে হাওড়ার ঘটনায় এই প্রশ্ন ক্রমেই বড় আকার নিচ্ছে। এর মধ্যেই ব্রহ্মপুত্র মেলে এই ধর্ষণের চেষ্টা। তরুণীর উপরে চড়াও হওয়া ওই যুবকের পরিচয় জানা যায়নি।
পুলিশের একাংশ বলছে, ওই যুবক পুলিশ বা সামরিক বাহিনীর লোক হতে পারে। প্রশ্ন উঠেছে, তা হলে কি রক্ষকই ভক্ষক? আর ওই যুবকের হাত থেকে বাঁচতে মরিয়া হয়ে যখন পরপর কামরা পার হয়ে ছুটছেন তরুণী, তখন কোথায় গেল রেলের পাহারা?
শুধু তা-ই সেদিন শুনলাম পাঁচ ভাই মিলে এক মহিলার সঙ্গে ‘সংসার’ করে! এরা এমন জংলি হইছে কেমন করে? বিশ্বাস না হয় বাংলানিউজের এই লিঙ্ক দেখেন।
সব ধরনের মিডিয়ার লিঙ্ক পেতে এই লিঙ্কটা ও দেখতে পারেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।