আপনি যদি জীবনে ক্যারিয়ার চান তবে লম্বা করে নি:শ্বাষও নেবেন না, কেননা তাতেই আপনি অন্যর চেয়ে পিছিয়ে পড়বেন। আজকাল অনেকেই বন্ধুমহলে আড্ডা দিতে গিয়ে ঠাট্টা করে বলেন বিয়ে করলে নাকি আয়ু কমে যায়। এর চেয়ে চিরকুমার থাকাই ভালো। কিন্তু ঠিক এরই বিপরীত কথা বলা হয়েছে ‘জার্নাল অফ এপিডেমিওলজি’ তে। সম্প্রতি একদল গবেষক ৯০ জন অবিবাহিত এবং বিবাহিত নারী-পুরুষের ওপর দীর্ঘ সময় পরীক্ষা চালিয়ে তাদের একটি গবেষণালব্ধ প্রতিবেদন এই জার্নালে প্রকাশ করেন।
এতে বলা হয়েছে, যারা বিভিন্ন কারণে বিয়ে এবং সাংসারিক জীবনকে এড়িয়ে এখন একাকী জীবন যাপন করছেন তারা একজন সাংসারিক ব্যক্তির চেয়ে ১৭ বছর কম বাঁচতে পারেন।
প্রতিবেদনটিতে আরো বলা হয়েছে, অবিবাহিত নারীদের চেয়ে, পুরুষের অকাল মৃত্যূর ঝুঁকি অনেক বেশি। কিন্তু কুমারিত্ব নারী-পুরুষ উভয়ের জন্যই ক্ষতিকর। বিবাহিতদের চেয়ে অবিবাহিত নারীদের মৃত্যুর ঝুঁকি ২৩ শতাংশ বেশি, অন্যদিকে অবিবাহিত পুরুষদের মৃত্যুর ঝুঁকি ৩২ শতাংশ বেশি।
গবেষকরা জানান, সহজ ভাষায় বলতে গেলে একজন বিবাহিত ব্যক্তি অবিবাহিতের চেয়ে ৮-১৭ বছর বেশি বাঁচতে পারেন এবং নারীদের ক্ষেত্রে তারা বাঁচতে পারেন ৭-১৫ বছর বেশি।
উল্লেখ্য, এই তালিকায় বিধবা এবং তালাকপ্রাপ্তদের রাখা হয়নি। এই তালিকায় শুধুমাত্র তাদেরই রাখা হয়েছে যারা অবিবাহিত এবং একাকী জীবনযাপন করছেন।
এই প্রতিবেদনের শেষ অংশে সব চিরকুমার এবং চিরকুমারীদের পরামর্শ দেয়া হয়েছে যে, সাংসারিক জীবনকে আর না এড়িয়ে অতিসত্ত্বর জীবনসঙ্গী খূঁজে নেয়ার। কারণ সাংসারিক জীবনই নিশ্চিত করবে একটি সুদীর্ঘ সুখী জীবন। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।