পড়ি, লিখি ও গান শুনি, আড্ডা দেই..
চৈত্রের প্রায় শেষ। ছুটির দিনে বিকেলের অলস সময়ে নীলা বাড়ীর পিছনের বারান্দায় গিয়ে বসেছে। একঝাক বক আবছা নীল আকাশটা ছুঁয়ে উড়ে গেল । নীলা অপলক সেদিকে চায়। একটা গাঙচিলকে আনমনে দিকবেদিক ঘুরতে দেখে সে তাকে নিজের সাথে মিলিয়ে ফেলে।
গাঙচিলটি কেন একা ঘুরে ফিরছে ? সে পথ , ঘর না কি সাথি হারিয়ে ফেলেছে? গাঙচিলটির একাকিত্ব নীলার অন্তরের একাকিত্বকে খোঁচাতে থাকে। এমনিতেই তার মনটা আজ ভাল ছিল না। ভোরবেলা থেকে এলোমেলো বাতাসের শনশনানি। ধুলোর সাথে গাছের শুকনা পাতার খড়কুটো আচড়ে পড়ছে চারদিকে। ধুলোর দাপটে পৃথিবীটা বড় আবছা মলিন।
এবারে চৈত্র মাস শেষ হতে চললে বৃষ্টির সময় হয় নাই একবার উকিঁ দেয়ার। ধরনীও যেন ছটপট করছে বৃষ্টির শীতল পরশ বুকে মাখতে। আজ নীলার মনে হচ্ছে প্রকৃতিটাও যেন তার মনের মতো উতাল পাতাল। কখনো ভাবতে ইচ্ছে করছে , কখনো বিরক্ত লাগছে সবকিছু। তার আনমনে মনটাতে কি যেন ক্ষত সৃষ্টি করে দিচ্ছে ।
কেন এমন হচ্ছে? জানে না সে । না , মিথ্যা কথা। না জানলে কি ভাবনায় গত কয়েক রাত তার ঘুম হচ্ছে না । জীবনের প্রায় অনেকটা সময় পেরিয়েছে। সংসার, সন্তান , চাকুরী, সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে কিছু কাজ নিয়ে ব্যস্ত দিন রাত।
চাওয়া-পাওয়ার হিসাব এখনো মিলাতে বসে নাই কোনদিন। কিন্তু আজ কেন হিসাবের খাতা স্মৃতি হয়ে ভেসে উঠছে দু,চোখের সামনে। আর জীবনের চাহিদা গুলো দাবী নিয়ে যেন তাদের পূর্নবাসন চাইছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।