আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বাপ্পির উপর নির্যাতনের কিছু বিবৃতি...

পারলে নিজেকে ইকারাকাস বানিয়ে ... বাপ্পি আর ছন্দা বিয়ের পরে বাপ্পির মায়ের সাথে ছিল। কিন্তু ছন্দা কখনো বাপ্পির মায়ের সাথে থাকতে চায় নি। প্রটিদিন ঝগরা-বিবাদ লেগেই থাকতো। বাপ্পির মা কে নিয়ে ছন্দার মুখের ভাষা ছিল অস্বাভাবিক রকমের খারাপ আর নোংরা। বাপ্পির মা শেষ পর্যন্ত নিজ থেকেই বলে বাপ্পিকে "আমি বরং একা আলাদাই থাকি।

তোরা ভাল থাক। " চিরন্তন মায়ের মন, সন্তানের সুখের কথা ভেবে মা সব কিছুই মেনে নিতে পারে। কিন্তু তার এ সিদ্ধান্তে ছন্দা এটো খুশি হয়েছিল কেন এখন তা সবাই জানতে পারেছে, আর বাপ্পির মা জেনেছে সন্তানকে চিরতরে হারি্যে। বাপ্পি আর ছন্দা বিল্ডিং এর ৬ তলায় থাকতো । ঐ বিল্ডিং এর অন্যান্য ভাড়াটিয়াদের কাছ থেকে জানা যায় যে বাপ্পি কে নির্যাতনের জন্য মাঝে মাঝে ছন্দার খালা এসে যোগ দি্ত, শ্বশুর বাড়ির লোকেরা বাপ্পিকে সুযোগ পেলেই পেটাতো।

এমন ঘটনা হয়ে উঠেছিল খুব স্বাভাবিক ব্যাপার যে বাপ্পি মার খাওয়ার ভয়ে জুতা জামা কাপড় ছাড়াই দেয়াল টপকে ভাগছে। একটা মানুষকে এতো পরিমান অত্যাচারের মধ্যে রাখতো যে প্রন ভয়ে নিজের বাসা থেকে পালাতে হত বাপ্পিকে। বাপ্পি শ্বশুর বাড়ির লোকদের এ অত্যাচারের জন্যে শেষ পর্যন্ত মিরপুর থানায় একটা জিডি করেছিল বলে জানা যায়। গত কয়েক মাড ধরে ও অনেক পাল্টে গিয়েছিল। হয়তো নিজে বাপ হয়েছিল বলে ওর ভেতরের মানুষটা কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে গি্যেছিল সংসারের এমন পরিস্থিতিতে।

নিজের মায়ের সাথে বাপ্পি সুযোগ পেলে মাঝে মাঝে দেখা করতে যেত, আর এ খবর কোন এক ভাবে যদি ছন্দা জনতে পারতো তাহলে সেদিন নাকি ঘরে প্রলয় চলতো, এমন কি ছন্দার বাসার লোকজন এসে বাপ্পিকে মারধোর করতো। প্রতিবেশিদের কাছ থেকে এসব ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়। কোন কোন দিন তারা নিজেরাই বাপ্পিদের ফ্ল্যাট এ চলে আসতো বিশৃঙখল অবস্থা থামাতে , কিন্তু ছন্দা বা ওর খালা কেউ তাডের কথা তো শুনতোই না বরং উল্টো ঝাড়ি মেরে বিদায় করে দিত এি বলে যে নিজেদের কাজে মন দেন,আমরা ওকে পেটাই নাকি আদর করি তা দেখতে হবে না। যদি বেশি হাউ কাউ হয় তাহলে কানে তুলো দিয়ে রাখেন , আমাদের পারিবারিক বিষয়ে কথা বলতে আসবেন না। সব কিছু মিলি্যে বাপ্পি ওর ৭ মাসের মেয়ে টাকে নিয়ে ছিল ভয়ানক বিপদে।

ও হয়তো ভেবেছিল সব ঠিক হয়ে যাবে কোন একদিন, নিজের মেয়ের কথা ভেবে ছন্দা ও ঠিক হয়ে যাবে, কিন্তু কাল নাগিনী ছন্দা তা হতে দিল না। এ মেয়ে কলেজে থাকতেই অন্য ছেলেদের সাথে ঘনিষ্ট মেলা মেশা শুরু করে দিয়েছিল যখন বাপ্পি ময়মংসিং কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে চলে যায়। ও মাঝে মাঝে আসতো কলেজে। আমার সাথে দেখা হলে চায়ের দোকানে বসতাম, আড্ডা মারতাম। সবই ঠিক ছিল কিন্তু ছন্দার বিষয়ে কিছু বলতে গেলেই এড়িয়ে যেত।

ওর এই অন্ধ ভালবাসা এতো টাই তীব্র ছিল যে ও কোন ভাবেই ছন্দাকে নিয়ে কোন কিছু বলার প্রশ্রয় দিত না। আর আজ ওকে নিজের মায়ের বুক খালি করে, নিজের মেয়েটাকে এতিম বানি্যে খেসারত দিতে হল এ অন্ধ ভালবাসার। বাপ্পি হত্যা মামলার বিষয়ে দায়িত্বরত আই.ও ওমর আলি বলেন যে এটি আসলে আত্নহত্যা নাকি খুন তা আমরা মেডিকেল রিপোর্ট ছাড়া নিশ্চিত করে বলতে পারছি না। তবে পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে এটি খুন বলেই সন্দেহ করা হচ্ছে। (চলবে) বাপ্পি হত্যার সুবিচার চাই আমরা সকলে।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।