তক মোহাম্মদ আলী বোখারী, টরন্টো থেকে
ধারণা করা হয়, ভারতের কালোটাকার ১.৫ ট্রিলিয়ন ডলার বিদেশের ব্যাংকে গচ্ছিত। উইকিপিডিয়ার তথ্যানুসারে, ভারতের কালোটাকা বিশ্ব তালিকায় সর্বশীর্ষে। প্রায় ১ হাজার ৪ শত ৫৬ বিলিয়ন ডলার সুইস ব্যাংকে জমা আছে। ২০০৬ সালের সুইস ব্যাংকিং অ্যাসোসিয়েশনের রিপোর্ট অনুসারে ভারতের কালোটাকা সারাবিশ্বের যেকোনও দেশের তুলনায় বেশি।
বিশ্লেষণে দেখা যায়, সুইস ব্যাংকে যে পরিমাণ ভারতীয় অর্থ আছে, তা দেশটির ঋণের ১৩ গুণ।
১৯৯১ থেকে ২০১১ সাল পর্যš- প্রকাশিত স্বতন্ত্র তথ্যানুসারে ক্ষমতাসীন নেহেরু-গান্ধি পরিবারের অর্থের পরিমাণ ৯.৪১ বিলিয়ন ডলার থেকে ১৮.৬৬ বিলিয়ন ডলারের মাঝখানে অবস্থান করছে। রাশিয়ান হার্ভাড স্কলার ও অনুসন্ধানী সাংবাদিক ইভজেনিয়া মারকোভনা অ্যালবাটস ‘ইজভেস্টিয়া’ পত্রিকায় প্রকাশিত তার এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছেন, ১৯৮৫ সালে কমিউনিস্ট পার্টি অব সোভিয়েত ইউনিয়ন (সিপিএসইউ) থেকে কেজিবি প্রধান ভিক্টর মিখাইলভিচ ডলারে অর্থ দিয়েছেন রাজিব গান্ধি ও তার পরিবারকে, তারা হচ্ছেনÑ সোনিয়া গান্ধি, রাহুল গান্ধি ও সোনিয়া গান্ধির মা, পলা মাইনো। কেজিবির কর্মকাণ্ডসংক্রাš- ইভজেনিয়া অ্যালবাটসের রচিত বই ‘দ্য স্টেট উইথইন এ স্টেট’-এর উদ্ধৃতি দিয়ে সে কথা স্বয়ং জনতা পার্টির সভাপতি ড. সুভ্রামানিয়াম স্বামী জনসম্মুখে ফাঁস করেছেন এবং একইসঙ্গে তার নিজস্ব আইনগত উদ্যোগ ভণ্ডুল হয়ে যাওয়ার কথাটি বলেছেন।
স¤প্রতি ড. মনমোহন সিংয়ের ইউপিএ (ইউনাইটেড প্রোগ্রেসিভ অ্যালায়েন্স) সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির সংবাদ মিডিয়ায় স্থান পায়। সে কারণে কমিউনিস্ট পার্টি অব ইন্ডিয়া (মার্কসিস্ট) বা সিপিআই (এম)-এর দাবি, ইউপিএ সরকারের দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়ার কোনও নৈতিক অবস্থান নেই।
তাই দলটি জবাবদিহিতার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে জন লোকপাল বিলে অš-র্ভুক্ত করতে মরিয়া হয়ে ওঠেছে। প্রশ্ন জাগা স্বাভাবিক, কেন নকশাল, সিপিআই (এম) এবং আপামর সিভিল সোসাইটি আন্না হাজারের পেছনে সমর্থন জোগাচ্ছে? টাটা, আম্বানি, মিত্থাল এবং বিরলাসহ তাদের রাজনৈতিক সহযোগীরা ভারতের ৯০ শতাংশ সম্পদ যেখানে দখল করে আছে, কেন সেখানে সাধারণ দিনমজুররা নিদারুন দৈন্য ও দারিদ্র্যে দিনাতিপাত করবে?
এখানেই আন্না হাজারের নাটকীয় উত্থান ও জাগরণ! ৭৪ বছর বয়স্ক অতিশয় ‘গ্রাম্যবৃদ্ধ’ সিংহের মতো গর্জে উঠেছেন!
ই-মেইল:
amadershomoy ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।