কোন একদিন.. এদেশের আকাশে... কালেমার পতাকা দুলবে, সেদিন সবাই ... খোদায়ী বিধান পেয়ে দু:খ বেদনা ভুলবে..
শুরুটা হয়েছে চার-পাচশ বছর কিংবা তারও আগে। গ্রানাডার মুসলিমদের নের্তৃত্বের দুর্বলতাকে পুঁজি করে সাধারন মুসলিম জনগনকে ধোঁকা দেয়ার ষড়যন্ত্র করেছিল হিংস্র খ্রিস্টানগন। যে মুসলিমগন ইউরোপকে জ্ঞানের আলোয় উদ্ভাসিত করেছে, তাঁদের অনেককে তারা ধোঁকা দিয়ে পুড়িয়ে মেরেছে। যারা তাদের প্রিয় জন্মভূমিকে ত্যাগ করে সাগর পাড়ি দিয়ে ইসলামি রাষ্ট্রগুলোতে আশ্রয় নিয়েছিল তারাই শুধু বেচে গিয়েছিল। আর যারা পালাতে পারেনি, তাদেরকে খ্রিস্টান রাজার আদেশে চরম অত্যাচার সহ্য করতে হয়েছে।
সে অত্যাচারে অনেকে শহীদ হয়েছেন, কেউ কেউ আবার অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে অপমানজনক "মরিস্কো" খেতাব নিয়ে অন্ত:স্বার শুন্য হয়ে ধুঁকে ধুঁকে জীবনের বাকিটা সময় কাটিয়েছেন।
"মরিস্কো"। হয়তোবা মুসলমানদের বিরুদ্ধে এটিই ইউরোপের প্রথম অপমান। মুসলিমগন সাতশ বছর স্পেন শাষন করেছে। তাদের পতনের পর মুসলিমদের প্রধান শক্তি অর্থাৎ তাদের মূল পরিচয়কে কেড়ে নিয়েছে স্পেনের নতুন শাষকগন।
মুসলিমদেরকে এমনভাবে কোনঠাসা করে ফেলা হয়েছিল যে, তাদেরকে হয় মরতে হতো নয়তো নিজের ধর্মকে ত্যাগ করতে হতো। শেষ পর্যন্ত ধর্মান্তরিত হয়েও তাদের শেষ রক্ষা হয়নি, তাদের কে নতুন পরিচয় দেয়া হল, মরিস্কো। তাদের সকল নাগরিক সুবিধা কেড়ে নেয়া হল। তাদেরকে নিজদেশে শরণার্থী মত জীবন যাপন করতে হয়েছে।
সময় পরিবর্তন হয়েছে।
এখন আর গীর্যার পবিত্র পানি ছিটিয়ে কাউকে মরিস্কো ঘোষনা করে পার পাওয়ার উপায় নেই। ইউরোপ এখন আর কারো নাগরিক সুবিধা কেড়ে নিয়ে আন্তর্জাতিক কমুনিটিতে নিজেদের বিভৎস রূপ সহজে বের করতে আগ্রহী নয়। তাই তারা বেছে নিয়েছে নতুন কর্ম পদ্ধতি। ফ্রান্সের আদালত নারীদের হিজাব পরার উপর বিধি নিষেধ জারি করেছে। ডেনমার্কের পত্রিকায় মহানবীর (সা) কার্টুন ছেপে তাদের হৃদয়ের জিঘাংসাকে নগ্ন করে দেখিয়েছে।
তারা ইসলামকে হেয় করে মুক্তি দিয়েছে "ফিতনা" চলচ্চিত্রকে। এভাবে চলছেই। আজ সুইজারল্যান্ডের প্রতিক্রিয়াশীল নাগরিকগন মসজিদের মিনার নিষিদ্ধকরনের পক্ষে রায় দিয়েছে।
একজন মানুষ কোন পোষাক পরবে, তার বাড়ি কিংবা ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে কেমন চিহ্ন ব্যবহার করবে তার উপর কোন সরকারের হস্তক্ষেপ করার কোন কারন আছে কিনা আমার মাথায় ধরেনা। প্রায় শতভাগ মুসলিম দেশের নাগরিক হিসেবে আমি হিন্দুদের মন্দির কিংবা খ্রিস্টানদের গীর্জার আকৃতি পরিবর্তনের পক্ষে রায় দেয়ার পক্ষপাতি নই।
বৌদ্ধদের প্যাগোডায় মিনার থাকবে কি থাকবেনা তা নিয়ে আমার কোন মাথা ব্যথাও নেই। তবে কেন আধুনিকতার ধামাধারী, মৌলবাদবিদ্বেষী ইউরোপীয়রা সংখ্যালঘুদের সব ব্যপারে হস্তক্ষেপ করতে আগ্রহী?
ঘৃনা করি এ আধুনিকতা। যে আধুনিকতা মানুষকে উদার করে না, বরং আরো সংকীর্নমনা করে দেয়। এই আধুনিকতার ধারে কাছে যেতেও আমি আগ্রহী নই। আমি মুসলিম, ইসলাম আমায় উদার হতে শিখিয়েছে, আমি ভাল মুসলিম হতে চাই।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।