স্বপনের সমাধি খোঁড়া এ জীবন ... মনের গোপন ঘরে যে শ্বাপদ ঘর করে তাকেই লালন করে চলা এ জীবন!
“অন্যের জন্যে”- একটি স্বপ্নের নাম। সামাজিক/ধর্মীয় দায়বদ্ধতা থেকে নিজের স্বার্থ রক্ষার পাশাপাশি অন্য মানুষের জন্য কিছু করার অভিপ্রায়ের নাম “অন্যের জন্যে"। প্রথমে গ্রামের কিছু ছাত্রছাত্রীর “একাডেমিক অভিভাবকত্ব” গ্রহন করার মধ্য দিয়ে কাজ শুরু করেছি।
প্রথমে আমি আমার গ্রামের ছাত্র-ছাত্রী যাদের ক্লাশ রোল নং ২৫% এর ভিতরে এবং আর্থিক অবস্থা তুলনামূলক অস্বচ্ছল তাদের বেছে নিয়েছি। তাদের ও তাদের অভিভাবকদের সাথে কথা বলে আমার বৃত্তি দেওয়ার উদ্দেশ্য এবং শর্তাবলী আলোচনা করেছি।
আমি তাদের সম্পূর্ণ শিক্ষা ব্যয় বহন করার মত মাসিক বৃত্তি দিব। ওদের তিনটি পরীক্ষার ফিও আমি দিব; শুনলাম ওরা সরকার থেকে ফ্রী বই পায়। --- অনেক খরচ চিন্তা করছেন?? মোটেও তা নয়! পরিমাণটা উল্লেখ করতে লজ্জা লাগছে, তবে একটু ধারনা দেয়, একজনের মাসিক বৃত্তির পরিমান এখানে (জাপানে) আমার এক কাপ চায়ের দামের (১০০ টাকার) চেয়েও কম। আমার বা ব্লগের অনেকের কাছে পরিমাণটা অনেক কম হলেও ওদের কাছে এটা অনেক টাকা; অন্তত ওদের প্রতিক্রিয়া দেখে আমার তা মনে হয়েছে।
“একাডেমিক অভিভাবকত্ব” কথাটা এই জন্য বলছি যে আমি শুধু কিছু টাকা ওদের হাতে ধরিয়ে দিয়ে আমার দায়িক্ত শেষ করব না; আমি প্রতি মাসে অন্তত একবার ফোন করে তাদের পড়ালেখার খোজ খবর নিব।
ভাল রেজাল্টে স্পেশাল গিফট আর খারাপ রেজাল্টে বৃত্তি সাময়িক স্থগিতসহ মটিভেশনমূলক কথা বলে তাদের অনুপ্ররণা দিব। আমি জানি আমার একটা ফোন ওদের অনেক উৎসাহ দিবে। বলেছি গ্রামে যতজন ২৫% এর মধ্যে রোল আনতে পারবে সবাইকে এই বৃত্তি দেওয়া হবে। এতে গ্রামের অন্যরাও ভাল রেজাল্ট করতে অনুপ্রানীত হবে। আসলে আমি ওদের মধ্যে সুন্দর একটা প্রতিযোগীতা সৃষ্টি করতে চাচ্ছি।
বৃত্তির শর্ত সমূহঃ
১) (প্রধান শর্ত) কোন ছাত্র/ছাত্রী যতদিন এবং যেভাবে ‘অন্যের জন্যে’ প্রকল্প থেকে বৃত্তি গ্রহন করবে, স্বাবলম্বী হয়ে কমপক্ষে ততদিন এই প্রকল্পের নামে কমপক্ষে ২ (দুই)জন ছাত্র/ছাত্রীকে অনুরুপ ভাবে বৃত্তি প্রদানের ওয়াদা করতে হবে।
২) বৃত্তির টাকা শুধুমাত্র শিক্ষা সংস্লিষ্ট কাজে ব্যবহার করতে হবে।
৩) ছাত্র/ছাত্রীর ক্লাশে উপস্থি্তি কমপক্ষে ৮০% হতে হবে এবং মেধা তালিকার ২৫% এর মধ্যে থাকতে হবে।
৪) প্রতি মাসের স্কুলফি প্রদান রশিদ দেখাতে হবে এবং প্রতি সেমিষ্টারের রেজাল্টের কপি জমা দিতে হবে।
৫) যেকোন সময় এক মাসের নোটিশে বৃত্তি প্রদান বাতিল করা যেতে পারে।
যারা বৃত্তি পাচ্ছেঃ
সৌরভ রায়, ৮ম শ্রেনী
মোর্তজা মৃধা, ৮ম শ্রেনী
মোঃ রাসেল হোসে্ন, ৮ম শ্রেনী
মোছাঃ ইতি খাতুন, ৭ম শ্রেনী
মোঃ তরিকুল ইসলাম, ভকেশনাল ইন্সটিটিউট
টোকন মৃধা, টেকনিক্যাল কলেজ
সোনিয়া খাতুন, ৭ম শ্রেনী
এই ব্লগ লেখার অন্য একটা উদ্দেশ্যও আছে; আমার উদ্যোগ দেখে অন্তত একজনও যদি অনুপ্রানিত হয়ে অনুরুপ কিছু একটা শুরু করে, আমার খুব ভাল লাগবে।
শুধু কথা নয়, আমাদের কাজ শুরু করা দরকার। আমি শুরু করেছি, এবার আপনিও...
শুভ কামনা চাইছি।
ভাল থাকবেন!!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।