গ্রামীণ সমাজের বাস্তবতা আর অশ্লীলতার বিপক্ষে অবস্থান।
প্রথমে আসুন কোথায় পাবেন বীজ, দাম কত, কেমন করে চাষ করবেন।
চলে যান ঢাকার সিদ্দিক বাজারে মল্লিকা সীড কম্পানীতে ৫ গ্রাম (যমুনা) মরিচ কিনুন। দাম ২৫০ টাকা। এক গ্রামও আছে।
মেয়াদ উত্তির্ণ কিনা দেখে নিন। নামধারী মালীক কম্পানীর এন, এস ১৭০১ ও কিনতে পারেন।
এখানে আপনার বাড়ীর আঙ্গিনায় বা ছাদে শোভাবর্ধনকারী অথবা আপনার বাৎসরিক চাহিদা মেটাতে পাঁচটি মরিচ গাছের উৎপাদন কৌশল বর্ননা করা হল।
প্রথমে বীজগুলী পত্রিকার উপর ছিটিয়ে ছয় ঘন্টা রোদে শুকান তারপর ছয় ঘন্টা ঠান্ডা করুন,
যেহেতু আপনি স্বল্প পরিসরে করবেন ২০/৩০ টি বীজ ৩০ ঘন্টা ঠান্ডা পানিতে ভিজিয়ে রাখুন,
তার পর একটি চটের বস্তাকে ভাল করে পানিতে ভিজিয়ে নিন, পানি থেকে উঠিয়ে ভাল করে ঝেড়ে নিন। তার পর চটের বস্তাকে চার ভাজে ভাজ করুন , দুভাঁজের মাঝ খানে বীজ গুলো ছিটিয়ে দিন।
কোন এক নিরাপদ জায়গায় রাখুন , পিপড়ার আক্রমন থেকে বাচার জন্য ভাঁজ করা বস্তার চার পাশে পিপড়ার ঔষধ ছিটিয়ে দিন।
তিন দিন পর বস্তার ভাঁজ উল্টালে দেখবেন বীজ গুলির অধিকাংশ এর অংকুর উদ্গম ঘটেছে।
দশটি ৪ইঞ্চি ও ৬ ইঞ্চি সাইজের পলি ব্যাগ সংগ্রহ করুন , দুই ভাগ মাটি ও এক ভাগ গোবর সার মিশ্রণ ঘটিয়ে ব্যাগ ভর্তি করুন। পলি ব্যাগের এক ইঞ্চি পরিমান যায়গা খালি রাখুন। অবশ্যই পলি ব্যাগ ছিদ্র যুক্ত হতে হবে নচেত নিজেই ছিদ্র করে দিন যাতে পানি জমে না থাকতে পারে।
এক মুষ্ঠি বালি , এক মুষ্ঠি শুকনো মাটি, এক মুষ্টি শুকনো গোবর সার মিশ্রণ ঘটিয়ে আলাদা করে রাখুন।
মাটি ভরাট পলি ব্যাগ গুলি সারি করে সাজিয়ে রাখুন , মাঝখানে দুটি করে বীজ ফেলুন , গোবরসার,বালি,মাটির মিশ্রণ দিয়ে আধা ইঞ্চি পুরত্ব করে ঢেকে দিন। হালকা পানি দিন, চটের বস্তা দিয়ে ঢেকে দিন , চারদিকে পিপড়ার ঔষধ ছিটিয়ে দিন। প্রয়োজনে চটের বস্তার উপর পানি দিন।
তিন চার দিন পর বস্তা উল্টিয়ে দেখুন মাটি ভেদ করে বীজের অংকুর উদগম ঘটেছে কিনা।
দুটি অংকুরিত বীজের দুটি চারা হলে একটি নস্ট করে ফেলুন বা অন্যত্র সরিয়ে কাজে লাগান। মাঝে মাঝে পানি দিন রৌদ্রে রাখুন। ১৫ দিন অপেক্ষা করুন।
পাঁচটি বড় সাইজের টব নিন অথবা ১৫ লিটার পানি ধারন সম্পন্ন প্লাস্টিক বালটি নিন, নিচে একটি ছোট ছিদ্র করুন।
ছিদ্রের উপর দেড় ইঞ্চি সাইজের ইটের টুকরা দিন।
প্রতিটি টবের জন্য অর্ধেক দোয়াশ মাটি অর্ধেক শুকনো গোবর সার অথবা কম্পোস্ট সার দশ গ্রাম টি,এস,পি, দশ গ্রাম মিউরিয়েট অব পটাশ সার,চায়ের চামচে এক চামচ ইউরিয়া ভাল করে মিশিয়ে টব ভর্তি করে দশ দিন রেখে দিন।
বি:দ্র: রুটেন নামক শিকড় বর্ধনকারী একজাতীয় পাউডার পরিমান মত ব্যবহার করুন, মাটিগুলোকে শোধন করতে কড়াইয়ে রেখে ভেজে নিতে পারেন অথবা ফরমাল ডি হাইড দিয়ে শোধন করুন।
দশদিন পর প্রতি টবের মাটি বের করে উল্টিয়ে পাল্টিয়ে আবার ভরাট করুন , এক ইঞ্চি পরিমান খালি রাখুন।
এপর্যায়ে আপনার চারা বয়স ২৫ দিন অথবা ৩০ দিনের চারা রোপন উপযোগী হবে। অবশ্যই টবের নিচে ছিদ্রে এক টুকরা ইট দিয়ে ঢেকে দিন।
পলি ব্যাগ ব্লেড দিয়ে কেটে ফেলে দিয়ে , প্রতিটি টবে একটি করে সতেজ , শক্তিশালী চারা টবের মাঝখান বরাবর লাগিয়ে দিন এবং তিন ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট একটি করে বাঁশের খুঁটি পুটে দিন। প্রয়োজন মত হালকা পানি সেচ দিন।
পলিব্যাগ কাটার সময় খেয়াল রাখতে হবে যাতে চারা গোড়া হতে মাটি সরে না যায়।
আস্তে আস্তে পরিচর্যা করুন। গরু ছাগলের পাশাপাশী মুরগীর আক্রমন হতে রক্ষা করুন , কারন মুরগী পাতা খেয়ে ফেলতে পারে।
গাছের সতেজতার উপর নির্ভর করে ইউরিয়া প্রয়োগ করতে হবে , এক্ষত্রে ইউরিয়া দ্রবণ দিতে পারেন ,
দেড় লিটার ¯স্প্রে মেশিনে এক টেবিল চামচ ইউরিয়া মিশিয়ে ¯স্প্রে করুন তবে মাটিতে প্রয়োগ করলে ভাল ফল পাওয়া যায় । গাছের গোড়া হতে ছয় ইঞ্চি দুরে টবের মাটি খুড়ে এক টেবিল চামচ ইউরিয়া ভাগ করে দিতে পারেন।
প্রয়োজনে লিবরেল জিংক ও লিবরেল বোরন নির্দেশনা অনুযায়ী দিতে পারেন। ভাল ফলাফল পাবেন।
মরিচ গাছে ফুল আসা আরম্ভ করলে হরমন প্রয়োগ করুন মেগডোনাল্ড কম্পানীর (এগনল) নামক হরমন নির্দেশনা অনুযায়ী দিন , তাতে ফুল ঝরা কমে যাবে ফুল ফলে পরিনত হবে।
মাঝে মাঝে পানি সেচ দিন , গাছের অবস্থা বুঝে পরিমান মত সার প্রয়োগ করুন। বাশেঁর খুটির সাথে গাছকে বেধে রাখুন। পোকা মাকড়ের আক্রমন হতে রক্ষা পেতে নগজ বা সুমিথিয়ন নির্দেশনা অনুযায়ী মাঝে মাঝে প্রয়োগ করুন।
বি:দ্র: দেশের উন্নয়নের জন্য প্রয়োজন কৃষি পেশায় শিক্ষিত নাগরিকের অংশগ্রহন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।