আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

প্রেমিক যুগলকে ‘শাস্তি’, বিবস্ত্র ছবি তুলল পুলিশ

চারিদিকে দেখো চাহি হৃদয় প্রসারি এই খবরটি সংবাদপত্রের পাতায় প্রকাশিত হয়েছে। ভারতের একটি প্রদেশ আসামে রাষ্ট্র ও নৈতিকতার নিজস্ব মৌলবাদী ধারণার ধ্বজাধারী এরকম কাণ্ড ২০১১ সালেও ঘটানোর সাহস ও উৎসাহ পেল কিছু মরাল পুলিশ! ইতোমধ্যেই ঘটনাটি নিয়ে ব্যাপক আলোড়ন তৈরি হয়েছে। প্রতিবাদ হয়েছে। আজকের খবরে জানা যাচ্ছে তিনজন পুলিশ এর মধ্যেই কড়া শাস্তি পেয়েছেন। সংবাদটিতেখানে যেভাবে এসেছে, অর্থাৎ ফটোগ্রাফাররা উপস্থিত হয়ে সোৎসাহে ছবি তোলেন, পরে জানা গেছে আসলে তা নয়।

পুলিশ নগ্ন ছবি তুলে স্থানীয় কেবল চ্যানেলে তা প্রদর্শন করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হিসেবে। ছেলে মেয়েটির সম্মানহানি যা হবার তা হলোই, কিন্তু এবার দেখা দরকার ওই পুলিশদের এমন কঠোর শাস্তি প্রদানের, যাতে আর এরকম মরাল পোলিশিং এর উৎসাহ কমার প্রবণতা তৈরি হয়। প্রেমিক যুগলকে ‘শাস্তি’, বিবস্ত্র ছবি তুলল পুলিশ নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি শরীরী সম্পর্ক স্থাপনের ‘অপরাধে’, প্রেমিক-প্রেমিকাকে নগ্ন করে দাঁড় করিয়ে রাখা হল প্রায় আধঘণ্টা। সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরাও এলেন। ইচ্ছামতো ছবি তুললেন।

মন্তব্য ছুঁড়লেন। তারপর ফের শরীর ঢাকার অনুমতি মিলল। ঘটনাটি ঘটেছে কাল, অসমের মরিগাঁওতে। স্থানীয় কলেজের এক ছাত্র কলেজের কাছেই ঘর ভাড়া নিয়ে থাকে। যে সহপাঠিনীর সঙ্গে তাঁর প্রণয়, সেই মেয়েটি প্রায়ই তাঁর ঘরে আসতেন।

পাড়ার লোকের কাছে খবর পেয়ে কাল বিকেলে পাঁচ পুলিশকর্মী কোনও ভাবে পিছনের দরজা দিয়ে ঘরে ঢুকে পড়েন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ওই ছাত্রছাত্রী তখন নগ্ন অবস্থায় ছিল। পুলিশ এসে তাদের জামাকাপড় কেড়ে নেয়। খবর দেওয়া হয় সংবাদমাধ্যমে। স্থির ও ভিডিও চিত্রগ্রাহকরা এসে ছবি তুলতে শুরু করেন।

তার পর তাদের জামাকাপড় ফেরত দেওয়া হয়। ঘটনার পরে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তদন্তের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। তবে এসপি জিতমল দোলের দাবি, “ওই দু’জনকে নগ্ন থাকতে বাধ্য করা হয়নি। তবে, পুলিশের তরফে কোনও বাড়াবাড়ি করা হয়েছিল কী না জানতে, ঘটনাটি নিয়ে ডিএসপিকে তদন্ত করতে বলা হয়েছে।

” পুলিশকর্তাদের বক্তব্য, সংবাদমাধ্যমকেও পুলিশ খবর দেয়নি। কোনও প্রতিবেশীর কাছ থেকে খবর পেয়ে হাজির হন সাংবাদিকেরা। পুলিশের ভূমিকায় ক্ষিপ্ত রাজ্যের বেশ কিছু মানবাধিকার সংগঠন ঘটনার প্রতিবাদে সরব হয়েছে। সকলেরই বক্তব্য, সাবালক দু’টি ছেলেমেয়ে প্রেম করলে, তাদের অসম্মান করার অধিকার পুলিশকে কে দিয়েছে! ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.